Better Life with Steem|| The Diary Game|| 13th June 2024
![]() |
---|
Hello Friends,
আমার আজকের দিনটি শুরু হয়েছিল কাক ডাকা ভোরে অর্থাৎ আমি খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠেছিলাম। যদিও অনেকদিন এতো সকালে ঘুম থেকে ওঠা হয় না। যখন নিজের ওপরে কোনো দায়িত্ব এসে বর্তায় তখন সেই পরম শান্তির নষ্ট হয়, আমার সাথেও আজ সেটাই হয়েছিল।
আজও সকাল থেকে মাঝেমধ্যেই আকাশে মেঘ দেখেছি কিন্তু এটা কি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস সেটা সঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। যতোবারই কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে ঠিক সেটার কিছুদিন পূর্বে আবহাওয়ার অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখেছি।
যাইহোক, এখন আর বিলম্ব না করে আমার আজকের কার্যক্রমে ফিরে যাই।
Morning |
---|
![]() |
---|
বাবার আজ সকালে বাগদা চিংড়ির পোনা বা ছোট বাগদা চিংড়ি ক্রয় করতে যাওয়ার কথা ছিল। তাই আমিই বাবার সাথে সকালে ঘের বা পুকুর থাকা জাল থেকে বাগদা চিংড়ি ধরতে গিয়েছিলাম।
এরপর আবার বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল কারণ একটু দূরেই যেতে হবে। সূর্যোদয় হওয়ার পূর্বে বাগদা চিংড়ির পোনা নিয়ে ফিরতে হবে। নচেৎ জল গরম হয়ে ছোট পোনা মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই যে বাগদা চিংড়ি গুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এগুলো যদিও আমাদের পুকুরের কিন্তু আমাদের পোনা ছাড়া ছিল না। ঐ যে আগে একদিন বলেছি আমার একটা পোস্টের মধ্যে যে আমি বন্যার সময় পুকুরে খাবার দিয়েছিলাম সেই কাজের ফলাফল এটা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে আমাদের কিচ্ছু করার নেই কিন্তু হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
সঠিক সময়ে নিজেকে সঠিক কাজে নিয়োজিত করতে হবে কিছু না কিছু তো হবেই। আমার বাবা একদমই নারাজ ছিল খাবার দিতে আমিই লুকিয়ে খাবার নিয়ে এসেছিলাম। যদিও বাবা পরে বাধ্য হয়েই দিয়েছিল খাবার। কারণ আমি যেখানে হাল ছাড়িনি আমার বাবাকেও আমি হাল ছাড়তে দিবো না।
![]() |
---|
আমি বাজারে থাকতে থাকতেই বাবা ও আমার এক জ্যাঠাতো ভাই শুভ বাগদা চিংড়ির পোনা নিয়ে ফিরে এসেছিল। আমাকে বিলের কাগজটা দিয়েছিল এবং আমি সেই অনুযায়ী টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।
![]() |
---|
সকাল সকাল বিড়াল ভায়ার সাথে কিছুটা সময় অতিবাহিত করে আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। তারপর কমিউনিটির কিছু পোস্ট পরিদর্শন করেছিলাম ও ডিসকর্ড বার্তাতে মনোযোগী হয়েছিলাম।
Noon |
---|
![]() |
---|
ফ্যানের বাতাসে ও যেন শরীর শীতল হচ্ছিল না। মা বলল বাইরে নাকি অনেক বাতাস তাই আমি বাড়ির সামনে রাস্তাতে বেরিয়েছিলাম। আমাদের গ্রামে অনেকেই ছাগল পালন করে যে কারণে রাস্তায় ছাগল দেখা যায়।
ছাগল পালন অনেক লাভজনক কারণ এটাতে অন্যান্য পশুর মতো খরচ করতে হয় না। আবার একটি মা ছাগল বছরে ২/৩টি বাচ্চার জন্ম দেয়। যে কারণে ছাগলের পালে ছাগল সংখ্যা ও দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
আমার এই ছবিতে যে ছাগলের ছবি আমি তুলে ধরেছি এটা দেশি ছাগল এবং এই দেশি ছাগলের মাংস অনেক সুস্বাদু হয়। তাছাড়া বর্তমানে এক কেজি ছাগলের মাংস ১০০০/এক হাজার টাকা।
Afternoon |
---|
এরপরে আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম ও একটি পোস্ট ভেরিফাই করে বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটের কিছুটা পূর্বে স্নান করতে গিয়েছিলাম। আমি স্নান শেষ করে এসে মোবাইলটা হাতে নিয়েই দুপুরের খাবার খেতে বসেছিলাম।
খাবার শেষ করে আমি আমার রুমে গিয়ে আবারো দুইটি পোস্ট ভেরিফাই করে একটু কার্টুন দেখি। প্রায় ছয়টা বেজে ছিল তখন হাত-মুখ পরিষ্কার করে আমি বাজারে গিয়েছিলাম।
![]() |
---|
এমন কিছু বন্ধু থাকে যেগুলো থাকলে আলাদা করে আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না। বাপি তো রীতিমতো আমাকে পাখি কেনার জন্য ধরেই নিয়ে গিয়েছিল। অথচ আমিই জানতাম না যে আমি কেন এই দোকানের সামনে যাচ্ছি। তবে পাখি গুলো দেখতে ভারী সুন্দর ছিল।
এগুলো নাকি বিক্রি করা হবে, যেহেতু আমি নিবো না তাই মূল্য জিজ্ঞেস করার প্রশ্নই আসে না। তবে পাখি গুলো আমাদের দেখে অনেক ভয়ই পাচ্ছিল। আমি একটু কাছে গিয়েই কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম।
![]() |
---|
আজ আমার বাজারে কোনো কাজই ছিল না তাই আর বিলম্ব না করে বাড়িতে ফিরেছিলাম। ওহ! রণিত- আমার কাজিন দেখলাম আবার স্নান করছে। গরম যেন কেউই সহ্য করতে পারছে না।
এভাবেই আমি আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
END |
---|
মানুষ চেষ্টা করলে সব কিছু করতে পারে। আপনি হয়তো হাল ছাড়েননি এজন্য আপনাদের পুকুরের মাছগুলোকে রক্ষা করতে পেরেছেন। আসলে যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বন্যার সময় হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। আপনাদের পুকুরে বাগদা চিংড়ির পোনা ছাড়ার জন্য পোনা নিয়ে এসেছে।
সত্যি পাখিগুলো দেখতে খুব সুন্দর ছিল।
সারাদিনের খানিক মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
দিদি ফটোতে যে পাখিগুলোর ছবি দেখিয়েছেন এদের নাম হলো বাজরিগাড়। আমার বাসায় দুজোড়া আছে। ভীষণ সুন্দর দেখতে পাখিগুলো। এই পাখিগুলো বিভিন্ন রঙ্গের হয়ে থাকে। সাদা, গোলাপী, হলুদ, নীল ইত্যাদি। আমার নীল রঙের পাখি সবথেকে বেশি ভালো লাগে। বেশ কিছুদিন আগে একজন ভাইয়ের বাড়ি থেকে পাখি জোড়া আমি ক্রয় করে এনেছি। অনেকেই এই পাখিগুলো এখন ব্যবসার উদ্দেশ্যে পালন করছেন। বাজারে বেশ ভালোই দাম পাওয়া যায় পাখিগুলোর।
পাখিগুলো বাসায় থাকলে সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনি এর বাচ্চা বড় হলে সেগুলোকে বিক্রি করে কিছু অর্থ লাভ করা যায়। যদিও বা খাঁচায় পাখি পোষা অন্যায়। যাইহোক দিদি আপনার দিনের কার্যক্রম পড়ে ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন।
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই পাখির নাম বলার জন্য। যদিও আমি ছবি উপস্থাপন করেছি কিন্তু আমি এটা সঠিক নাম জানিনা। পাশাপাশি আমি গুগল থেকে নেওয়ার চেষ্টাও করিনি। কারণ আমাদের অপারেট করা ভুল হলে google ও ভুল তথ্য দেয়।
সকালে বাগদা চিংড়ি কিনতে গিয়েছিলেন বাবার সাথে। আপনাদের পুকুরে তো ঝড়ের পর ভালোই চিংড়ি এসেছে। এজন্যই সব কাছে আমাদের ধৈর্য্য ধরা উচিত। দিন দিন সবকিছুর দাম বাড়ছে। এই যে ছাগলের মাংসের দাম ১০০০ টাকা কেজি। সাধারণ মানুষের কি এটি কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আছে? বিকালের দিকে বাজারে গিয়েছিলেন। সেখানে পাখির ছবি তুলেছেন। এরকম রং বেরং এর পাখি দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।