Better Life With Steem || The Diary Game || 12th February, 2024||
Hello Friends,
এখন বিকেল চারটা ত্রিশ, আমি সবেমাত্র পোস্ট লেখা শুরু করেছি। আশাকরি, আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের আশীর্বাদে ভালো আছি। আজকের দিনটি, একটু অন্যরকম ভাবে অতিবাহিত করেছি।
১৪ই ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পূজা তাই আমাদের সার্বজনীন মন্দির প্রাঙ্গনেই সরস্বতী পূজার আয়োজন করছি । এখানে প্রতিবছরই আমরা গ্রামের সকলে মিলে মিশে সরস্বতী পূজা উদযাপন করি। এই বছর ও একই ধারাবাহিকতায় উদযাপন করবো। যাইহোক, এখন আমি আমার দিনলিপিতে চলে যাবো।
Morning |
---|
আমি সকাল দশটায় ঘুম থেকে উঠেছিলাম। তবে সেটাও মা ডাকাডাকি করার জন্য, না হলে হয়তো দুপুর গড়িয়ে যেতো। এতো বিলম্ব করে ঘুম থেকে উঠেও শরীরটা অনেক ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। তারপর আমি প্রাতঃকৃত্য শেষ করে ওষুধ খেয়েছিলাম ও পড়ার টেবিলে বসেছিলাম।
প্রায় ত্রিশ মিনিট পরে আমি সকালের খাবার খেয়েছিলাম। তারপর আমার ভাগ্নে কল করে বলল, আমাকে ওর সাথে মহেশ দা'র বাড়িতে যেতে হবে। ঐ দাদার বাড়িতে কুকুর আছে যে কারণে সচরাচর কেউ প্রবেশ করতে পারে না।
দাদার ঘরের উঠোনে গাঁদা ফুলের একটি ছবি তুলেছিলাম। তারপর দাদা চাঁদা দিতেই আমি ও ভাগ্নে, দাদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম। অন্যদিকে পাড়ার ছোট ভাইয়েরা রাস্তায় দল বেঁধে এসেছিল।
আমি অনেক ব্যস্ত কিন্তু ওরা সবাই নাছোড়বান্দা, আমাকে ওদের সাথে যেতেই হবে। আমি সবাইকে সাথে করে নিয়ে বাজারে গিয়েছিলাম। তারপর কিছু টাকা ক্যাশ করেই ফিরে আসি মন্দিরে।
Noon |
---|
সরস্বতী পুজোর জন্য প্রতিমা রাখার স্থান প্রস্তুত করতে হবে, তাই নির্দিষ্ট একটি স্থান নির্বাচন করি। এবার পাশের ছোট একটি খাল থেকে খড়ি মাটি নিয়ে আসতে হবে। অন্যদিকে ৫/৬ জন ইট সাজানোর কাজটি শেষ করলো। আবার উৎস ও প্রিতম মাটি আনছে ঝুড়িতে করে। এবার প্রয়োজন নরম কাঁদা, তাই বস্তার ব্যবস্থা করেই ৩/৪ জনকে সেইটা বলা হয়েছে ।
বাহ! সবাই উঠে পড়ে লেগেছে, তাই ১০ মিনিটের মধ্যেই প্রয়োজনীয় কাঁদা মাটি নিয়ে হাজির হলো। এবার দরকার একটি জল ভর্তি বালতি, পাশের বাড়ির বৌদির থেকে একটি বালতি নিয়ে এসেছিল ছোটরা।
আমি সাধারণত মাছ ধরা ছাড়া কাঁদায় তেমন একটা হাত লাগাই না। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার জন্য এই মুহূর্তে একটু সহযোগী কম থাকায় আমাকেই হাত লাগাতে হয়েছিল। মোটামুটি কাজ প্রায় শেষের পথে, এবার আমরা সবাই যে যার মতো একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম।
হঠাৎ এই ভদ্র মহাশয় কোত্থেকে দৌড়ে এসে আমাদের করা কাজ নষ্ট করে দিল। কেমন লাগে!? কিন্তু আমরা দলে ভারী থাকার জন্য ঐ গরুর বাছুরটা ধরেছিলাম। তবে বাছুরটার একদমই দোষ ছিল না, ছোটাছুটি করতে গিয়েই এটা করেছে। বাছুরটিকে গরুর মালিকের কাছে পৌঁছে দিয়ে আমরা আবারো ঠিক করলাম সব কিছু।
Afternoon |
---|
এই পর্বের কাজ শেষ, এবার সব কিছু পরিষ্কার করার সময়। উৎস, ভাগ্নে ও প্রিতম পুকুরে গিয়ে সব কিছু পরিষ্কার করলো। আজ তুলনামূলক শীত একটু কমই ছিল, তাই আমি উৎসকে পুকুরের জলে ফেলে দিই। কারণ একটু আগেই বলেছে ও নাকি দুইদিন স্নান করে না।
এটা কি মেনে নেয়া যায়? আমার তো স্নান না করলে ঘুমই হয় না। ওহ! সেখানে দুইদিন স্নান না করে থাকা তো অসম্ভব। তারপর আমি বাড়িতে ফিরে এসে স্নান শেষ করি।
আজ আবার মা সকালে রান্না করেছিল, তাই এখন ভাত ও তরকারি ঠাণ্ডা। আমার ভাত খেতে একদমই ইচ্ছা করছিল না। আমি ফ্রিজ থেকে মিষ্টি নিয়ে আসি কাকুর কক্ষ থেকে। ৪/৫ টা বড় বড় রসগোল্লা খাই এবং মোবাইলটা হাতে নিই।
মোবাইলটা হাতে নিয়েই দেখি নাজমুল ভাই আমাকে স্মরণ করেছেন। আমি অনুপস্থিত ছিলাম, তবে সকলকে অবগত করেছিলাম। তারপর আমি ভাইয়ের সাথে কথা বলি ও ভয়েসে আসতে বলি।
আমি ও সবুজ ভাই কথা বলছিলাম, নাজমুল ভাইয়ের সাথে। তারপর আপু, ম্যাম ও আমাদের শ্রদ্ধেয়া দিদি ও এসেছিলেন। সবাই মিলে নাজমুল ভাইকে কাজ বিষয়ক কিছু তথ্য দিই।
কথা শেষ করেই আমি আমার পোস্ট লিখতে বসেছি। কিন্তু দেড় ঘণ্টার মতো লেখার পর মনে হলো আমার একটু বাজারে যেতে হবে। কারণ সকালে যখন টাকা ক্যাশ করেছিলাম, কিছু টাকা সবুজের প্রয়োজন ছিল তাই রেখে এসেছিলাম।
তারপর আমি হাঁটতে হাঁটতে বাজারে গিয়েছিলাম। আর সবুজের দোকানের সামনে পৌঁছেই একটি ছবি তুলেছিলাম। যেহেতু, সন্ধ্যা নিকটে তাই আমি দ্রুত বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। এভাবেই আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছি।
END |
---|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা। তাই আপনারা আগে থেকেই সরস্বতী পূজার প্রতিমা তৈরি করার জন্য কাজে লেগে পড়েছেন। এত পরিমাণে রসগোল্লা খেয়েছেন। সাবধান পরবর্তীতে আবার কিন্তু ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস হয় না এটা আমার জানা নেই। তবে ডায়াবেটিস একটি বংশগত রোগ এবং ইনসুলিন নামক হরমোনের নিঃসরণের জন্য হয় যতোটা আমি জানি।