Better Life with Steem|| The Diary Game|| 11th August 2024
Hello Friends,
কেমন আছেন সবাই? আমরা কেউই জানিনা আমাদের আগামী দিনটি কেমন যাবে। তবে ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ যে আবারো একটি সকাল দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। এখন আমি আমার আজকের দিনের কার্যক্রম আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চলে এসেছি।
Morning |
---|
আমার সকালের ঘুমটা ভেঙেছিল ঝমঝম বৃষ্টির শব্দে, তারপর প্রাতঃকৃত্য শেষে একটু আপনজনদের সাথে কথোপকথন হয়েছিল। যদিও পড়ার টেবিলে বসেছিলাম কিন্তু বই পড়তে পারিনি। বিভিন্ন কারণে পরিবার-পরিজনের কথা মনে পড়ছিল।
ঘন কালো মেঘের জন্য দিনের আলোর খুবই স্বল্পতা যে কারণে বৈদ্যুতিক বাতি ছাড়া কোনো কিছুই স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না। তবে হঠাৎ আমি একটি প্রজাপতি দেখতে পারি যেটা ছিল আমার পড়ার টেবিলের কাছে। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছিল মনে হয় মৃত।
তবে হাত দিয়ে স্পর্শ করতেই প্রজাপতিটি উড়ে যাওয়ায প্রচেষ্টা করছিল। বৃথা প্রচেষ্টা দেখে বুঝতে পারলাম যে প্রজাপতিটি হয়ত আহত। আবার সামনেই একটি টিকটিকি ওত পেতে বসে আছে প্রজাপতি টিকে ধরার জন্য। সবাই সকলের আহারের জন্য চিন্তা করে।
আমি অন্য কোন উপায় না পেয়ে একটি নারকেলের পাতার সাহায্যে প্রজাপতিটিকে একটু দূরে সরিয়ে রেখে দিয়েছিলাম। কিছুটা সময় পড়ে যখন দেখতে এসেছিলাম তখন স্থান পরিবর্তন এবং একটু স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। অবশেষে আমার উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল অর্থাৎ প্রজাপতিটি উড়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।
যদিও মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না কিন্তু সকাল সকাল জীব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে বেশ ভালোই লাগছিল। ঈশ্বরের সৃষ্টি প্রতিটি জীবের কোনো না কোনো গুরুত্ব আছে। তাই ধ্বংস না বরং সৃষ্টি এবং রক্ষা করার মধ্যেই সার্থকতা।
Noon |
---|
আপনারা পূর্ব থেকেই জানেন যে বিড়াল আমি ভীষণ পছন্দ করি। সকালের খাবার শেষ করে কাকুর বাড়িতে গিয়েছিলাম বিড়াল ধরতে। কিছুটা সময় বিড়ালের সাথে অতিবাহিত করে আবারো ঘরে ফিরে এসেছিলাম।
বাড়িতে ফিরতেই আমার ছোট কাকিমা কল করে বলল গরু ধরে দিতে হবে। বৃষ্টি থামতেই কাকিমা গোয়ালের গরু ছেড়ে দিয়েছিল মাঠে নিয়ে যাওয়ার জন্য। দীর্ঘ সময় পর ছাড়া পেয়ে গাভী ও গাভীর বাছুর এলোপাথাড়ি দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিয়েছিল।
অনেকক্ষণ আমরাও দৌড়াদৌড়ি করে অবশেষে ধরতে সক্ষম হয়েছিলাম। তারপর স্নান শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম।
Afternoon |
---|
এরই মধ্যে ইন্ডিয়া থেকে এক মামা কল করেছিলেন আমাদের সকলের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। আমরা সকলে মিলে মামার সাথে প্রায় এক ঘন্টার মতো কথা বলেছিলাম। মামার ওখানে অর্থাৎ মামার বাড়িতে আজ ছিল শিব ঠাকুরের পূজো।
মামা, ভিডিও কলেই বাড়ির পূজো ও বাড়িটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন। এভাবে মামাকে বাড়িতে পাওয়া বড্ড মুশকিল। যেহেতু, নিজেরই একাধিক কোম্পানি আছে যে কারণে ব্যাবসায়িক কাজে মামাকে প্রায়শই বাইরে থাকতে হয়।
যদিও আমাদের এখানে শিবরাত্রি পালন করা হয় এবং মাঝেমধ্যেই তিননাথ ঠাকুরের মেলা হয়, তবে এভাবে ও শিব ঠাকুরের পূজো হয় যেটা আমি জানতামই না। তবে একটু হলেও ভালো লাগছিল ঐ মুহুর্তে পূজোর সকল দৃশ্য দেখে।
পড়ন্ত বিকেলে একটু বাড়ির পশ্চিম দিকে গিয়েছিলাম যেখানে দাঁড়িয়ে মনে হয় আকাশটা হয়তো মাটিতে নেমে এসেছে। তাছাড়া মেঘের ভারে যেন আকাশটা নিচু হয়ে আছে। মাটিতে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল কিছুটা উপরে গেলেই হয়তো আকাশে ভেসে থাকা মেঘ স্পর্শ করা যাবে।
কাঁদা যুক্ত পথ তাই বেশি দূরে ও জুতো পরে যাওয়া সম্ভব না। অন্যদিকে সন্ধ্যা প্রায় আগত, তাই আর বিলম্ব না করে বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
Evening |
---|
বর্তমানে আবার বেড়েছে দূর্বিত্তদের উৎপাত। যে কারণে আমাদের বাড়ির সামনের সকল রাস্তাতে চলছে বৈদ্যুতিক বাতি লাগানোর কাজ। আমিও সেখানে আজ অংশগ্রহণ করেছিলাম।
এভাবেই আজকের দিনটি অতিবাহিত করেছি। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
END |
---|
Congratulations, your post has been successfully curated by Team 7 via @𝐢𝐫𝐚𝐰𝐚𝐧𝐝𝐞𝐝𝐲
@irawandedy,
আপনার উপস্থিতি ও মূল্যায়নের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। 🙏
আপনি যে বিড়াল কতটা ভালোবাসেন সেটা আমি জানি। বিড়াল নিয়ে আপনার অনুভূতিগুলো সত্যি ভালো লাগে। প্রজাতির ছবিটা ভালো লাগছে, কত বিচিত্র রকমের প্রজাতি যে রয়েছে আমাদের আশেপাশে সেটা আমরাও জানি না। যে যার প্রয়োজন মিটানোর জন্য ব্যস্ত থাকে। টিকটিকি হয়ত প্রজাতিকে শিকার করার চেষ্টা করছিলো। ভালো করেছেন এটাকে সরিয়ে দিয়ে। ভালো থাকবেন।