Better Life with Steem|| The Diary Game||06 September 2023|| জন্মাষ্টমীর পূর্ব প্রস্তুতি।

প্রিয় স্টিমিয়ান বন্ধুগণ,
এখন বাংলাদেশ সময় রাত নয়'টা বাজে। যথেষ্ট ব্যস্ততার মাঝে আজকের দিন অতিবাহিত করেছি। আমার গতকালকের কিছু কার্যক্রম এখন উপস্থাপন করবো। আশাকরি, আপনাদের কাছে উপভোগ্য হবে।

তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভুলেই গিয়েছি, আপনাদের সাথে কুশল বিনিময় করতে। তবে এটাই প্রার্থনা করি, ঈশ্বর যেন সবাইকে সুস্থ্য রাখেন।

06 September,, 2023--জন্মাষ্টমীর পূর্বপ্রস্তুতি

সকালটা শুরু করেছিলাম চা নেওয়ার মাধ্যমে। তবে হ্যাঁ তার পূর্বে ফ্রেশ হয়ে, ৩০মিনিট বই পড়েছিলাম। মোবাইলে নেটওয়ার্ক তখন ও অন করিনি। তারপর মাঝরাতে লিখে রাখা একটি কন্টেন্ট দুইবার দেখেছিলাম ও কিছু মার্কডাউন যোগ করেছিলাম।

তারপর মা-বাবা ও আমি সকালের খাবার খেতে বসলাম। যেহেতু, আজ জন্মাষ্টমী তাই পূর্বের দিন আমরা নিরামিষ রেখেছিলাম খাবারের তালিকায়। আলুভর্তা ও মুখ ডাল, সাথে ঘি ও বেগুন ভাজি। গরম ভাতের সাথে ঘি , আমার কাছে অনেক মজাই লাগে।

তারপর বুমিংয়ের জন্য কিছু পোস্ট পরিদর্শন করলাম, যেগুলো আমাদের কমিউনিটির এডমিন ম্যাম আমাকে বলেছিলেন।

দুপুরে স্নান সম্পন্ন করে, একটু বাজারে গিয়েছিলাম। আমাদের সার্বজনীন মন্দিরের জন্মাষ্টমীর কিছু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ক্রয় করার জন্য। তবে পৌঁছেই দেখলাম এক ছড়া কাঠালী করা, কে জানি বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসছে।

কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর করার মালিককে পেলাম। তারপর বারোটা কলা ক্রয় করে নিয়ে রেখে, বাকি কাজ সেরে বাড়িতে ফিরলাম। সন্ধ্যা আগত, তাই চারিদিক অন্ধকারে আচ্ছাদিত।

হঠাৎ করেই আমার প্রিয় প্রাণী বিড়াল এসে উপস্থিত হলো। এটা আমাদের পোষা না হলেও আমার পরিচিত। কারণ এটা আমার এক কাকুর পোষা বিড়াল। হয়তো পথ ভুলে চলে এসেছে। আমাকে দেখা মাত্রই কোলে উঠে বসলো।

আবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে, তাই কিছু সময় বিড়ালের সাথে অতিবাহিত করলাম। বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূর হওয়া মাত্রই, আমি বিড়ালটিকে পৌঁছে দিতে গেলাম, কাকুর বাড়িতে।

বাড়িতে ফিরে আবার স্নান সেরে নিলাম। গরমে শরীর ঘেমে অবস্থা খারাপ। যেহেতু, মন্দিরে যেতে হবে, এটা ও একটা কারণ। স্নান করে অনেকটা সতেজতা অনুভব করেছিলাম।

মন্দিরে পৌঁছে দেখলাম লুচি তৈরির পূর্বের কাজ চলছে। প্রায় ১৫/১৬ জন, হাত লাগিয়েছিল। আবার নাড়ু তৈরি করবে, তাই নারকেলের খোসা ছাড়িয়ে রেখেছিল প্রায় ৬০টার মতো।

আমি নারকেল ভাঙ্গার কাজে সহযোগিতা করেছিলাম। তখন প্রায় রাত দশ'টা। যথেষ্ট রাত হয়েছিল। তবে অনেক কাজ, আমি বুঝতে পারলাম যে সম্পূর্ণ রাত লাগবে সব কাজ শেষ করতে। কারণ বিশ কেজি ময়দার লুচি, তারপর এতো গুলো নারকেলের নাড়ু।

সবেমাত্র লুচি ভাজি করার কাজ শুরু করেছিল আমার দুই দিদা ও একজন কাকিমা।

আলোর স্বল্পতার জন্য সবার একটু অসুবিধা হচ্ছিলো। তাই আমি আলোর ব্যবস্থা করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। অন্যদিকে দুই দিদা একটা আবদার করেছিল। সেইটা আর উল্লেখ করলাম না। কি আর করা মেনে নিতেই হবে।

এভাবে সকল কাজ শেষ করতে রাত তিনটা। তারপর দুই দিদাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আমিও বাড়িতে ফিরলাম। তখন রাত চারটা। শরীর ভীষণ ক্লান্ত। ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছিল। তারপর হাত-পা ধৌত করে ঘুমের রাজ্যে অবতরণ করেছিলাম।

এটাই ছিল আমার গতকালকের কার্য বিবরণী। আজ এখানেই সমাপ্ত করছি।