Better Life With Steem || The Diary game || 06 November 2023|| My Real Life Activities.
![]() |
---|
Hello Everyone,
বন্ধুরা, কিছু কারণে এখন মনটা একটু বিষন্ন। তবে খুব শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে, এটাই হয় আমাদের সাথে। আমি মন খারাপ হলে একা থাকতে পছন্দ করি এবং প্রকৃতির মধ্যে বিচরণ করতে ভালোবাসি। তবে এই মুহূর্তে বাইরে যেতে ইচ্ছে করছে না। তাই বিকল্প পন্থা অবলম্বন করলাম অর্থাৎ কন্টেন্ট লিখতে বসলাম।
মনের চাপে জিজ্ঞেস করতে ভুলেই গিয়েছিলাম, যাইহোক কেমন আছেন সবাই? আজ আমার লেখার বিষয় দিনলিপি। আমি সর্বদাই চেষ্টা করি দিনলিপির মাধ্যমে কিছু বার্তা ও আমার দৈনন্দিন জীবনের চিত্র তুলে ধরতে।
আমার আজকের লেখাটিতে ও এরকম বার্তা থাকবে। তাহলে আর বিলম্ব কেন! এখনই শুরু করছি, আমার দিনলিপি।
|
---|
![]() |
---|
আমি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম, তখন ভোর ৫টা বেজে ৭মিনিট। তবে এতো সকালে ঘুম থেকে ওঠার পেছনে একটি কারণ ছিল। আমার কাকুর পুকুরে কোনো এক দুষ্কৃতিকারীর দল বিষ প্রয়োগ করেছিল, মাছ ধরার জন্য।
সৌভাগ্যক্রমে আমার কাকুর ও ঘুম হালকা হওয়ার দরুন, কাকু ব্রাশ করতে করতে পুকুরে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু কাকুর হাত থাকা টর্চের আলোর রশ্মি দেখেই, তাঁরা নিজেদেরকে সরিয়ে নিয়েছিল ঐ স্থান থেকে।
অভাবে স্বভাব নষ্ট।
অজানা।
হয়তো এটা একটা বাংলা প্রবাদ। তবে এটা বাস্তব যে কারো পেটে ক্ষুধা থাকে, তখন তিনি হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়।
![]() |
---|
বিগত বছর আমন ধানের ফসল একদমই হয়ই। মাঠ ছিল শস্যহীন। যার ফলে যেন চারদিকে মানুষের খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। মাঠে ফসল না হলে, টাকা থাকলেও কোনো ফায়দা নাই। শস্যই যদি না থাকে, তাহলে টাকার বিনিময়ে তো শস্য পাওয়া সম্ভব না।
সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায়ঃ
সমস্যা বিহীন আমরা কেউই না। তবে এটা উত্তরণের উপায় আছে। যেহেতু আমার দেশ কৃষিনির্ভর দেশ, তাই আমাদের সকলের উচিত কৃষিকাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। বিকল্প ভাবে শস্য উৎপাদন করাটা জরুরি।
বর্তমান সরকার কৃষির ওপর অনেক সচেতন। আমাদের প্রতিটি উপজেলাতে কৃষি অফিস রয়েছে। সেখানে শস্য উৎপাদনের জন্য উন্নত প্রযুক্তির বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থআ আছে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উকরণ ফ্রিতে বিতরণ করা হয়, প্রতিবছর। প্রয়োজনে আবেদন করতে হবে।
আশাকরি সরকারের নেওয়া উদ্দ্যোগের সকল সুবিধা যদি আপনি বা আমি গ্রহণ করতে পারি, তাহলে শস্য উৎপাদন অনেক গুণে বৃদ্ধি পাবে। এটা খাদ্যভাব পূরণের পাশাপাশি আমাদের আর্থিকভাবে ও সচ্ছলতা এনে দিতে সহায়তা করবে।
|
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
কাকুর সাথে মাছ ধরেছিলাম। তারপর বাড়িতে ফিরে স্নান সেরে আমাদের পুকুরে গিয়েছিলাম। একটি পুকুরের মাছ ধরেছিলাম। ঐ পুকুরের পাশেই ছিল আর একটি পুকুর। সকালে নাস্তা করার কোনো সময়ই পাইনি গতকাল।
গলদা চিংড়ি, রুই মাছ , মৃগেল মাছ, পারশে মাছ(Chelon subviridis) ইত্যাদি নানারকমের মাছ ধরেছিলাম। বিক্রি করার জন্য কিছু মাছ আলাদা করে বাকিটা আমার মায়ের কাছে দিয়েছিলাম।
|
---|
![]() |
---|
স্নানে যাওয়ার পূর্বে মাকে বলেছিলাম, পারশে মাছ ভাজি করার কথা। মা কুমড়ো পাতা দিয়ে পারশে মাছ ভাজি করে রেখেছিল। কোনোরকম স্নান শেষ করে এসেই মধ্যান্হভোজ করতে বসেছিলাম। এতোটাই ক্ষুধার্ত মনে হচ্ছিল এক গামলা খবার খেতে পারবো।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য এই শুধুমাত্র একটি পারশে মাছ ও শেষ করতে পারলাম না। এতোক্ষণ ঠিকই ছিলাম কিন্তু খাবার খাওয়ার পর নিজেকে অনেক বেশি ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। তাছাড়া গতকাল আমার সাপ্তাহিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করার ছিল। সকাল থেকে শুরু করে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার মতো সময় অতিবাহিত করতে হয়েছিল, প্রতিবেদনি প্রস্তুত করতে।
|
---|
![]() |
---|
সন্ধ্যায় মোবাইল হাতে নিয়ে বসেছিলাম। কমিউনিটির কিছু কাজ করতে করতে প্রায় রাত আটটার কাছাকাছি সময় হয়েছিল। তারপর বই নিয়ে বসেছিলাম। প্রায় নয়'টার দিকে আমার এক কাকু whatsApp এ ভিডিও কল করেছিলেন। তিনি এখন আন্দাবান থাকেন। দীর্ঘ ৩০বছর পূর্বে বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমিয়েছিলেন আন্দাবান। এখন তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী।
![]() |
---|
অনেক দিন বাদে কাকুর একমাত্র সন্তান অর্থাৎ আমার ছোট্ট ভাইকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। ভাই অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। কাকু বললেন, ভাই এখন ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় (বিইউ) ভারতের কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোর এখানে আছে অধ্যয়নরত। বর্তমান স্নাতকোত্তরে , সামনেই চূড়ান্ত পরীক্ষা।
আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম যখন শুনেছিলাম ছোট ভাই সম্পূর্ণ সরকারী বৃত্তির আওয়াতাভুক্ত। স্নাতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বর পেয়েছিল। আগামীকাল ১৫-১১-২০২৩ কাকুর ইয়ারের টিকিট বুকিং হয়েছে। কলকাতা আসবে, তারপর বাংলাদেশে আসবেন।
এটাই ছিল আমার বিগত দিনের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কার্যক্রম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
END: |
---|
আপনার দিন লিপি টি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। একটু ভিন্ন ধর্মী ছিল। অনেক দিন পর
কাকুর সাথে ভিডিও কলে বলেছেন। এবং কাকা ছেলের কথা শুনে মহাখুশি। আপনার খুশি তে আমরা ও সবাই খুব খুশি।কারন একই পরিবারের একজনের খুশি তো সবার জন্য ই তো অনেক আনন্দদায়ক ব্যাপার।আর বেশ বড় একটা মাছ নিয়ে খেতে বসছেন। অনেক ভালো। শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে মাছ অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।