Better Life With Steem || The Diary game || 05 December 2023|| Economic Diary.
![]() |
---|
Hello Friends,
Hope all you are healthy and fine. I am also fine by the Almighty. Now I will will share with you how to catch fish from our pond. That moment was really enjoyable to me. And I hope that it will be enjoyable to you all. So let's start the main point.
Morning: |
---|
![]() |
---|
মা আমাকে সকালেই ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়েছিল কিন্তু আমি আবার রীতিমতো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ পরিচিত একটি কন্ঠস্বর আমার কানে ভেসে আসতেই তড়িঘড়ি করে বিছানা ছেড়েছিলাম। তারপর খুব দ্রুত নিজেকে পরিষ্কার করে ওষুধ খেয়েছিলাম।
সকালে আজ খাওয়া হবে না। কারণ মাছ ধরতে যেতে হবে। তাই মা'কে এক কাপ চা করে দিতে বলেছিলাম। আমি বলার আগেই মা চা তৈরি করতে গিয়েছিল। এক পিচ টোস্ট খেয়ে তারপর চা খেয়েছিলাম। আবহাওয়া ও খুব খারাপ ছিল, মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছিল।
তাই আমি একটি গরম পোশাক পরিধান করেছিলাম। পুকুরের পাড়ে পৌঁছে দেখি আমার ছোট কাকু ক্ষেত প্রস্তুত করছে। কয়েকদিন পূর্বে যে কাকুর কথা বলেছিলাম যে ডেঙ্গুজ্বর হয়েছিল, এই সেই কাকু।
![]() |
---|
পাঁচজন জেলে মাছ ধরছিল। জাল এবার গভীর জলে প্রবেশ করার সময়। জলের বাইরে ভীষণ ঠান্ডা মনে হচ্ছিল, তাহলে জেলেদের কতোটা কষ্টই না হচ্ছিল। মাছ ধরার দিন সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছিল না। আকাশ সাদা মেঘে আচ্ছাদিত ছিল।
![]() |
---|
আমার এক ঠাকুরদা মাছ ধরা দেখতে এসেছি, পাশেই আমার পিসোমশাই শীতের জন্য গরম পোশাক পরিধান করছিল। কারণ ভেবেছিল যে হয়তো এটা প্রয়োজন হবে না, কিন্তু বাতাসের প্রবণতা এতোটাই বেশি ছিল যে আর না পরিধান করে থাকতেই পারছিলেন না।
![]() |
---|
তারপর আমি আমার স্থান পরিবর্তন করেছিলাম। কারণ জাল উঠানো হবে পুকুরের উত্তর পাশে। আমি খুব দ্রুত পুকুরের উত্তর পাশে গিয়েছিলাম। তবে যাওয়া মাত্রই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছিল।
![]() |
---|
আমি দৌড়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম ছাতা আনার জন্য। এমনিতেই আমার ঠাণ্ডা লেগেছিল পূর্বেই। আবার এখনকার বৃষ্টির জল মাথায় লাগলে অবস্থা ভীষণ খারাপ হয়ে যেতে পারে।
হাঁ হাঁ হাঁ! ছাতা ☔ নিয়ে পুকুরের উত্তর পাশে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
তখন কেমনটা লাগে ?
![]() |
---|
মাছ ধরার সময় সন্নিকটে ছিল। আমার বাবা ড্রাম ও অন্যান্য মাছ রাখার পাত্র গুলো নিয়ে এসেছিল। আমিও মোবাইলটা সতর্কতার সাথে মায়ের কাছে দিয়েছিলাম। কারণ একটু এপাশ ওপাশ হলেই মোবাইল জলের মধ্যে পড়ে স্নান করতে পারে।
Noon: |
---|
![]() |
---|
![]() |
---|
পরবর্তী ১ঘণ্টার মধ্যে মাছ ধরা শেষ হয়েছিল। তবে আশানুরূপ গলদা চিংড়ি পাওয়া যায় নি। তাছাড়া রাক্ষুসে কিছু মাছ জালে ধরা পড়েছিল। আমাদের ধারনা যে ঐ রাক্ষুসে/খাদক প্রকৃতির মাছ গুলো গলদা চিংড়ির জন্য দেয়া খাবার খেয়ে ফেলেছে। তার ফলে মাছের বৃদ্ধি অনেকটা কম ছিল।
![]() |
---|
সাদা মাছ তেমন একটা ধরা হয়নি। তবে খাওয়ার জন্য ৪/৫টি বড় রুই মাছ রেখেছিলাম। এই মাছ গুলো বিগত বছরের মাছ, তাই এরা মনে হয় শক্তির জোরে নিজেদের খাবার ঠিকমতো বুঝে খেয়েছে। যার ফলে এই রুই মাছ গুলো অনেক বড় ও হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে।
![]() |
---|
সকালে তো খাওয়া হয়নি, তাই ভীষণ ক্ষুধার্ত ছিলাম। কোনো রকম স্নান সেরেই দুপুরের খাবার খেতে বসেছিলাম।
ওহ! গলদা চিংড়ি ভাজি! দেখেই খিদে যেন আরো বেড়ে গিয়েছিল। যাহ! বাবা! অবশেষে সকালের খাবারটাও পুষিয়ে নিলাম।
Afternoon: |
---|
![]() |
---|
আমার বাবা ও মাছ বিক্রি করে বাড়িতে চলে এসেছিল। কিছু বলার আগেই মায়ের কাছে আমার টাকাটা দিয়েছিল। বিকেলে একটু বাজারে গিয়েছিলাম। আমার বাটন মোবাইলটার ব্যাটারী নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আমি মোবাইল মডেলটা জানিয়ে এসেছিলাম। কারণ ঐ পুরনো ভার্সন এখন আর পাওয়া যায় না।
বার্তা:- আমার আজকের লেখাটিকে আমি Economic Diary বলেছি। কারণ মাছ চাষের সাথে আমার পরিবার অর্থনৈতিক ভাবে জড়িত।
শেষ বিকেলে বাজারে গিয়েছিলাম, তাই স্বল্প সময়ের মধ্যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল। এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।
END |
---|
আপনার লেখায় মাছ ধরার কথা পরো আমার ছোটবেলার কথা মনে পরলো।আমাদের নিজেদের একটা পুকুর ছিলো।মাঝে মাঝে সেখানে মাছ ধরতো৷ যদিও আমি কখনো ধরতে দেখি নাই। আমাদের বাড়ি থেকে বেশ দূরে ছিলো সেই পুকুর। যেদিন মাছ ধরতো সেদিন অনেক মাছ আনতো বাসায়।
আপনাদের পুকুরের গলদা চিংড়িগুলো অনেক সুন্দর। সাথে আপনার ছবি দেখে মনে হচ্ছে শীত ভালোই পরে গেছে। আজকে অবশ্য ঢাকতেও বৃষটির কারনে শীত লাগছে।
এত সুন্দর করে আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
This post has been supported through the account Steemcurator06 for containing good quality content.
Curated by : @solaymann
আপনার ডাইরি গেইমে প্রায়শই মাছ দেখতে পাই, যেটা আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক লাকি যে এই চিংড়ি গুলো জীবিত দেখতে পাচ্ছেন। আমাদের কাছে আসতে আস্তে এরা প্রায় বরফ হয়ে যায়, কারণ দীর্ঘক্ষণ এদের বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। তাই আমরা আর টাটকা খাবার স্বাদ পাই না।
আপনার গলদা চিংড়ি দেখে ভীষণ লোভ লাগিছে। একদিন খেতে যেতে হবে।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি দিন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে।
আপনাদের পরিবার মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল এবং এটি আপনাদের জীবিকার অন্যতম উৎস। আজকে সকালেই আপনি প্রস্তুত হয়ে গেলেন মাছ ধরার জন্য। এদিকে মেঘলা আকাশ ও হিমেল হাওয়া বারবার সবাইকে কষ্ট দিচ্ছিল ।এক ঘন্টা পর যখন মাছ ধরলেন তখন দেখতে পেলেন যে চিংড়ি মাছগুলো অতটা বড় হয়নি। রাক্ষুসে মাছ তাদের খাবার খেয়ে ফেলার কারণে এটা হতে পারে বলে আপনি মনে করলেন। দুপুরে বড় গালদা চিংড়ি মাছ ভাজা খেয়েছেন ।বিকেলে আপনার বাবা মাছ বিক্রি করতে গিয়েছিলে এবং এসে আপনার মায়ের কাছে টাকা দিয়েছিল। আর আপনি আপনার বাটন মোবাইলটা ঠিক করতে দোকানে গিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে আপনি ইকোনমিক ডায়েরি লিখেছেন। পড়ে খুব ভালো লাগলো।
আপনার দিনটা বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই কেটেছে। আপনি আপনার বাবার সাথে মাছ ধরার কাজে সাহায্য করেছেন। এত পরিমাণে গলদা চিংড়ি দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছে। কেননা আমাদের এখানে গলদা চিংড়ি তেমন একটা দেখা যায় না আর কেউ চাষ করে না।
রাক্ষসের মাছ গলদা চিংড়ি মাছের খাবার খেয়ে ফেলেছে। এটাই স্বাভাবিক এরা অন্যান্য মাছ খেয়ে ফেলে এবং অন্যান্য মাছের খাবার খেয়ে ফেলে। এরা খুবই দুষ্ট প্রকৃতির। বিকেলবেলা আপনি আপনার বাটন মোবাইলের ব্যাটারি কেনার জন্য দোকানে গিয়েছেন। পরিশেষে জানতে পারলাম, আপনাদের পরিবার মাছ চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। এবং মাছ চাষ করার ক্ষেত্রে আপনাদের পরিবার সম্পৃক্ত।
উফ্ আপু, গলদা চিংড়ি গুলো দেখে কিন্তুু পুরো লোভ লেগে গেল। আপনার বাবার মত আমার বাবা ও মৎস্য চাষ করে কিছুদিন হলো, তবে সেখানে গলদা চিংড়ি চাষ করা হয় না কিন্তুু আমি গলদা চিংড়ি অনেক বেশি পছন্দ করি ।বলা যায় পছন্দের তালিকায় এই মাছ টা প্রথম।
তার উপরে আবার আপনার চেয়ে সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো যেটা প্রশংসা না করলেই নয়।
হাঁ হাঁ হাঁ 😁 বৃষ্টি দেখে ছাতা আনতে গেলেন কিন্তুু ছাতা নিয়ে আসা মাত্রই বৃষ্টি থেমে গেল বৃষ্টিও আপনার সাথে একটু দুষ্টামি করতে ছিল তখন মনে হয়। ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখা ভাগ করার জন্য।