Hello Friends,
প্রথমেই আমার দেশের পক্ষ থেকে সকল স্টিমিয়ানদের জন্য শুভেচ্ছা। আশাকরি, সকলেই ভালো এবং সুস্থ্য আছেন। ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আবারো একটি দিন আপনাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
এখন সময় বিকেল ৩.২৪ (BD). কমিউনিটির কিছু কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছি। তাই আমার পোস্ট লিখতে বসার প্রয়োজন মনে হলো। মাঝেমধ্যেই আমাদের উচিত নিজের জন্য কিছু করা। কারণ আত্মিক প্রশান্তি ও জরুরি। আজ আমি আপনাদের সাথে ভাগ করবো, আমার বিগত দিনের কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্পৃক্ত দিনলিপি।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে ওষুধ নিয়েছিলাম। এটা আমার একটি নিত্য নৈমিত্তিক কাজ। তারপর মায়ের হাতে রান্না করা গরম ভাতের সাথে মিষ্টি কুমড়োর ফুল ভাজি দিয়ে ভাত খেয়েছিলাম। তারপর কিছুক্ষণ কমিউনিটির পোস্ট পরিদর্শন করেছিলাম। সকল স্টিমিয়ানদের জন্য একটা বার্তা অন্যদের যতো বেশি পরিদর্শন করবেন, ততোই লেখার মান উন্নত হবে। আমি বর্তমানে এই কাজটি করতেছি।
অনেক দিন হলো আমাদের পশ্চিম পাশের পুকুরে ও ধান এবং সবজি ক্ষেতে যাওয়া হয় নি। তাছাড়া অর্থনৈতিক দুরবস্থা বিরাজমান, সব কিছু চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একটু পুকুরের দিকে যাবো। ইতিমধ্যে, আমার এক কাজিন আমাকে দেখেই আবদার করেছিল যে সে ও আমার সাথে যাবে।
দুই ভাই-বোন হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম। চারদিকে সবুজ পাতায় ঘেরা পরিবেশ। তবে আমরা খুবই সাবধানতা অবলম্বন করে হাঁটতেছিলাম। মাঝেমধ্যেই রাস্তা একটু খারাপ, একটু অন্যমনস্ক হলেই নিজেকে জলের মধ্যে দেখতে হবে। যদিও আমি এবং আমার কাজিন দু'জনই সাঁতার কাটতে পারি, তবুও ঠাণ্ডা লাগার ভয় তো আছেই।
সময় যেন খুব দ্রুত অতিবাহিত হচ্ছিল। দুপুর বারোটা বেজেছিল, তখন দেখলাম আমার এক ঠাকুরদা আগাছা পরিষ্কার করতেছিল। আগাছা গাছের জন্য খুবই ক্ষতিকর। গাছের যথাযথভাবে যত্ন নেওয়া কাজের মধ্যে এটিও একটি।
আমার কাজিনের নাম রণিত। আমি ও রণিত আমাদের ২য় পুকুরের কাছে পৌঁছে দেখলাম পলিথিন লাঠির মাথায় অনেক জায়গায় বেঁধে রাখা। আপনারা হয়তোবা অবাক হয়েছেন, এটা আবার কি? হ্যাঁ, এই প্রশ্নটা যুক্তি সংগত। এই সাদা পলিথিন পাখির থেকে মাছ রক্ষার জন্য এভাবে লাঠির মাথায় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাতাসে এই পলিথিন শব্দ করে, ঐ মুহুর্তে পাখিরা জলে নামতে ভয় পায়।
রণিত ও আমি তখন ধান ক্ষেতের দিকে যাচ্ছিলাম। দূর থেকে মনে হচ্ছিল, সবুজের মেলা বসেছে। একটা মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছিলাম, কারণ ধান গাছে ফুল এসেছে।
হাঁটতে হাঁটতেই একটা সল্প সময়ের ভিডিও ধারণ করেছিলাম, আমার মোবাইল ক্যামেরার সাহায্যে।
আমি ও রণিত ৪/৫ মিনিটের মধ্যেই সেই কাঙ্ক্ষিত স্থান অর্থাৎ ধান ক্ষেতে পৌঁছেছিলাম । ধানের ফুল যেন বহুগুণে এই ধান ক্ষেতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে এতো বড় মাঠ অথচ কোনো গবাদি পশু নেই। কারণ এই ধান যেমন আমাদের দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য শস্য, অন্যদিকে খড় ও গবাদি পশু গরু, মহিষের প্রধান খাদ্য।
তাছাড়া গবাদি পশু কচি সবুজ ধানের পাতা ভীষণ পছন্দ করে। মোট কথা এই ক্ষেতের শস্যের নিরাপত্তার জন্য এখন মানুষ গবাদি পশু চারণভূমিতে নিয়ে আসে না। তারপর আমি ও আমার কাজিন বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম।
দুপুরে বাড়িতে পৌঁছে স্নান সেরে, সয়াবিন ভাজি দিয়ে মধ্যান্হভোজ সম্পন্ন করেছিলাম। বর্তমান আমাদের বাড়িতে নিরামিষ আহার চলছে। শরীরের দিক বিবেচনা করে অল্প পরিমাণ খাবার খেয়েছিলাম।
যদিও এটা দুপুরের কাজ ছিল কিন্তু সময়ের স্বল্পতার জন্য তখন আর হয়ে ওঠেনি। তাই বিকেলে আবারো গিয়েছিলাম। তবে বিকেলে আমি এক একা গিয়েছিলাম।
আমি দেখলাম যে ইঁদুরের উপদ্রব বেড়েছে। একটি ৫/৬ কেজি ওজনের মিষ্টি কুমড়ো খেয়ে নষ্ট করেছিল। আমার যথেষ্ট মাথা গরম হয়েছিল, সবজি ক্ষেতের এই চিত্র দেখার পর।
তখন প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল, তাই বিলম্ব না করে আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম। বাড়িতে ফিরে আমার বাবাকে সব কিছু বুঝিয়ে বলেছিলাম। ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য একটা ব্যবস্থা শীঘ্রই গ্রহণ করবে, আমার বাবা আমাকে এরকমটাই বলেছিল।
এভাবেই আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করলাম। আজ এখানেই সমাপ্ত করছি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Your post has been successfully curated by @msharif at 35%.
Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
@msharif,
Thank you so much big brother for your encouraging support 🙏.
প্রথমেই আমি আপনার পোস্টের মধ্যে থাকা ছবি গুলোর প্রশংসা করতে চাই সত্যি অসাধারণ। আমার কাছে সব সময় গ্রাম ভালো লাগে, কি সুন্দর দৃশ্য ছবিতে দেখতে পেয়েছি ধান গাছ তবে, আমাদের এখানে আরো কিছুদিন পরে ধান গাছ লাগানো হবে। মিষ্টি কুমড়া ফুল ভাজি করে খাওয়া যায় সেটা জানতাম না আপনার পোস্ট টা মাধ্যমে জানতে পেরেছি। একদিন বাসায় চেষ্টা করে দেখবো কেমন হয় খেতে।
জি দিদি ঠিকই বলেছেন, ইঁদুরের উপদ্রব দিন দিন বেড়েই চলেছে, তবে আমার মনে হয় বর্ষাকাল প্রায় শেষের দিকে এখন হয়তো একটু কমতে পারে। এ সমস্যা টা আমাদের এদিকে ও হয়েছে অনেক, কোন সবজি গাছ লাগিয়ে রাখা সম্ভব নয় ইঁদুরের জন্য।
ধন্যবাদ দিদি, খুব সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য ভালো থাকুন আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে সাজিয়ে আপনার এলাকার বিভিন্ন সময়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছেন ফটোগ্রাফি র মাধ্যমে।আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ওখুব সুন্দর হয়েছে । খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন সবসময় আপু।