Better Life with Steem|| The Diary Game|| 19 September 2023||Villagers Lifestyle .
Hello Friends,
আজ আমার গ্রামকে উপস্থাপন করবো, আপনাদের সামনে। আমার দেশ গ্রাম প্রধান দেশ এবং আঞ্চলিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এখানে বিদ্যমান। আসুন সবাই ঘুরে দেখি বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি গ্রাম।
আমার জন্মস্থান বাংলাদেশের এই ছোট গ্রামে। আজ কোনো কাজ নেই, তবুও ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছিলাম।
হাঁটতে হাঁটতে বাজারের একটি চা'য়ের দোকানে পৌঁছালাম। চিনিমুক্ত একটি লাল চা নিয়েছিলাম। প্রথমেই অবগত করে রাখি যে লাল চা চিনিমুক্ত হলে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শরীরের কথা বিবেচনা করে, আমি চিনিমুক্ত লাল চা নিয়েছিলাম।
আমাদের গ্রামে গবাদিপশু পালনের প্রাধান্য আছে। প্রায় প্রতি ঘরেই সর্বনিম্ন একটি গাভী আছে। এই দৃশ্যে দেখুন একজন রাখাল গাভীকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে নিয়ে যাচ্ছে । এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে হলে, আপনাকে গ্রামে আসতে হবে।
গাছের ছায়াযুক্ত বাড়ির আঙ্গিনা, তাই সূর্যের আলো কদাচিৎ দেখা যায়। হঠাৎ কখন আবার আকাশে মেঘ এসে বৃষ্টি শুরু হবে, বোঝার উপায় নেই। তাই গৃহবধূ রাস্তার পাশের জামা-কাপড় শুকানোর জন্য মেলে দিচ্ছেন। শহরের তুলনায় গ্রামে ধুলো বালির পরিমাণ একদমই কম। তাই এভাবে জামা-কাপড় নিশ্চিন্তে মেলে দেওয়া যায়।
এখন গাভী পালকদের খড়ের স্বল্পতা, এই সুযোগে চড়ামূল্যে খড় বিক্রির উদ্দেশ্যে গ্রামে প্রতিদিন ২/১ জন খড় ব্যবসায়ীর আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। শীতের ধান ওঠার সময় এখনো আসেনি।
গ্রামে এই মিষ্টি দৃশ্য আপনারা অহরহ দেখতে পারবেন। দেখুন ছেলে ও বাবা একইসাথে শৈশবের আনন্দ উপভোগ করছে। সন্তানের কাছে পিতা-মাতার দেওয়া সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
গ্রামাঞ্চলে ও এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই। মেয়েদের শিক্ষার কথা বিবেচনা করে গড়ে উঠেছে বালিকা বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টি আমাদের গ্রামেই অবস্থিত। শিক্ষার হার বৃদ্ধি তখনই সম্ভব, যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো ঘাটতি থাকবে না।
অনেক সময় ঘোরাফেরা হলো, এবার বাড়িতে ফিরেই স্নান সেরে নিলাম। তারপর মধ্যান্হের খাবার শেষ করলাম। আজ দুপুরে খাবারের পদে ডিম ছিল।
আমাদের বাড়িতে দেশি মুরগি পালন করা হয়। আমাদের পরিবারের সবার সাথেই যেন ওদের বন্ধুত্ব। আমাকে দেখা মাত্রই বসে পড়লো আমাদের ডিম দেওয়া মুরগিটি। তাকে এখন খাবার দিতে হবে।
এরপর মোবাইল হাতে নিয়ে বসে পড়লাম। সন্ধ্যায় বাবার সাথে পুকুরে মাছ ধরতে যাবো, এরকমটাই কথা হয়েছিল।
বাবার সাথে পুকুরে গিয়েছিলাম। তারপর বেশ কিছু বাগদা চিংড়ি ধরলাম। বারবার কেন এই বাগদা চিংড়ি। কারণ, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অবস্থান বঙ্গোপসাগরের উপকূলে। এখানে লবণ জলের মেলা।
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য এই বাগদা চিংড়ির উপর নির্ভর করতে হয়। আমাদের এখানে প্রচুর পরিমাণে বাগদা চিংড়ি উৎপাদিত হয় পুকুর।
সাথে আবার পেয়েছিলাম দুইটি বড় কাঁকড়া। ধারনা করলাম যে চারশত টাকা মূল্যে বিক্রি করতে পারবো। মজার ব্যাপার হলো, এই কাকড়ার টাকা আমার।
এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করলাম। আজ এখানেই সমাপ্ত করছি। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Your post has been successfully curated by @kouba01 at 35%.
Thanks for setting your post to 25% for @null.
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
@kouba01,
Thank you so much 🙏 for your encouraging words and support.
আপনি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে থাকেন ওখানকার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে গলদা চিংড়িচাষ করে।কাকড়া ও চিংড়ি গুলো দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আমার বিশ্বাস খেতেও খুব ভালো লাগবে আপনার গ্রামের দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ। আমি একসময় আপনার এলাকায় ঘুরতে আসবো ইনশাআল্লাহ। ভালো থাকবেন ।শুভকামনা রইল।
অবশ্যই আসবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন ।শুভকামনা রইল।
আজকে আপনি খুব সুন্দর ভাবেই আপনাদের গ্রামটা আমাদের ঘুরিয়ে দেখালেন। মনে হচ্ছিল একসাথে মনে হয় গ্রাম ঘুরতে বের হয়েছিলাম। আপনার পোস্ট পড়ার পরে,, এরপর আপনি বাগদা চিংড়ি ধরেছেন,, কারণ আপনাদের ওখানে বাগদা চিংড়ি। ওখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য চাষ করা হয়ে থাকে।
কত বড় একটা কাঁকড়া পেয়েছেন। ওটা বিক্রি করবেন এবং এর টাকা আপনার,, খুবই খুশির একটা বিষয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, আপনাদের গ্রামটা এত সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
বাংলাদেশের গ্রামগুলি আসলেই খুব সুন্দর। যদিও আমার এরকম গ্রামে খুব একটা যাওয়া হয় না
আপনার মুরগীটাকে দেখে ভালো লাগলো।সাথে কাকড়া দেখেও।ভাবতেছিলাম ধরলেন কিভাবে?!
ভালো থাকবেন দিদি।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য