পদ্মফুল// ঈশ্বরের এক অপরূপ সৃষ্টি।
source |
---|
Hello Everyone,
পাঠক বন্ধুগণ, বৈশাখের এই উষ্ণ দুপুরের সকলে কেমন আছেন? হয়তো গরমে অনেক কষ্ট হচ্ছে সবারই তবে সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাতে আমি বেশ ভালো আছি। আজ হঠাৎ করে অনলাইনে থাকা অবস্থায় পদ্ম ফুলের দৃশ্য চোখে আসলো।
তাই এটা নিয়ে লিখতে বসে পড়লাম। আশা করি অনেক কিছু ভালো লাগবে কারণ পদ্মফুল দেখতে অনেক সুন্দর এবং অনেকেই পছন্দ করেন। হয়তোবা বাংলাদেশের মিষ্টি এলাকার দিকে এই ফুলগুলো সচরাচার দেখাও যায়।
প্রকৃতির প্রত্যেকটি সৃষ্টি কোনো না কোনো গুরুত্ব বহন করে। হয়তো কোনোটি তার সৌন্দর্য যোগ করে প্রকৃতিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করে। আবার কোনোটি তার গুণাবলী দিয়ে প্রকৃতিকে উপকৃত করে।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে কেন আমি নিজের ফোনে তোলা ছবি ব্যবহার করিনি? বিষয়টি হচ্ছে এই পদ্মফুল আমাদের গ্রামে থাকা সত্ত্বেও একটু দূরে হওয়ার জন্য সেখানে সব সময় যাওয়া সম্ভব নয়।
তবে এটা সৌন্দর্য আমার মনের মধ্যে গাথা রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে আমাদের গ্রামে যে বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে এই ফুলটি ব্যবহৃত হয়েছিল, দূর্গা (পূজার) উদ্দেশ্যে।
আমার দেখা যতগুলো পুকুর রয়েছে আর যেখানে আমি পদ্মফুল দেখেছি এ পর্যন্ত, প্রত্যেকটা পুকুরের প্রায় পুরোটা অংশ জুড়ে এই পদ্ম ফুলের বিস্তৃতি থাকে।
source |
---|
শুধুমাত্র এই পদ্মফুল না বরং যে কোনো ফুল শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না। বড় এটি বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকের রুটি-রুযির পথকে সুগম করে।
আপনারা এই ফটোগ্রাফিটিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি শৈশবের থাকা শিশু পদ্ম ফুল সংগ্রহের জন্য পুকুরে নেমেছে।
যদিও ছবিটি আমি অনলাইন থেকে নিয়েছি তবে বাস্তবের সাথে এই দৃশ্যটির অনেক মিল রয়েছে। কারণ এখনো এই বয়সেই অনেক শিশুরা যারা শুধুমাত্র তাদেরকে নয় বরং তাদের পরিবারকেও নিয়ন্ত্রণ করে।
অর্থাৎ কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই ছোট্ট শিশুদের উপর নির্ভর করে তার পরিবার। আর সেই সকল পরিবারের ক্ষেত্রে এই শিশুদেরকে মাঠে নামতে হয় অর্থ উপার্জনের জন্য।
বিষয়টা ভাবলেই কেমন জানি একটা অনুভূতি হয়। কারণ যেখানে আমরা এই বয়সে পরিবারের ছাত্র ছায়ায় থেকে বড় হয়েছি কখনো খাবারের অভাব বুঝিনি, আর সেই বয়সে দাড়িয়ে কিছু শিশু যারা নিজেদেরকে নিয়ে ভাবেনা বরং তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ভাবে।
source |
---|
এই ফটোগ্রাফিতে আপনারা একটু মন দিয়ে লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন যে এটা কোন সাধারণ ফেলে রাখা পুকুর না। বরং এই ফুলটা হয়তো ব্যবসায়িকভাবে কেউ চাষ করেছে।
এই পদ্মফুলের জীবনকাল আবার বেশিক্ষণ স্থায়ী না। আমি আসলে এই ফুলটিকে কখনো ডাঙ্গায় দেখিনি। শুধুমাত্র চোখে পড়েছে পুকুরের মধ্যে।
তবে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে এই ফুল যে পুকুরে জন্মায় সেই পুকুরের জল অনেক শীতল থাকে। সেই সাথে কিছুটা হলেও পরিষ্কার থাকি বলা যায়।
পদ্মফুল সাধারণত মিষ্টি জলে জন্মায়। আমাদের উপজেলাতে নামকরা তিনটি দেখিয়ে রয়েছে যেখানের জল এখনো মানুষ পান করে।
আমরা চোখে ভালো দেখায় বলে অনেক সময় গাছ থেকে এই ফুলগুলো ছিঁড়ে হাতে নিয়ে নেই। এবং পরক্ষণে দেখা যায় ফুল তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে।
প্রকৃতির প্রত্যেকটা জিনিসের নিজস্ব একটা সৌন্দর্য রয়েছে। যেটা কখনোই ধরে রাখা সম্ভব নয় তার স্থান পরিবর্তন এর মাধ্যমে।
সর্বশেষ আমি একটা কথাই বলবো শুধুমাত্র মুখে নয় প্রত্যেকটা জিনিসের গুরুত্ব মন থেকে উপলব্ধি করা উচিত। যে চেষ্টা আপনার বা আমার প্রয়োজন না এটা অন্যজনের জীবনের জন্য অতিব জরুরী হয়ে বসতে পারে।
তাছাড়া আরেকটি বার্তা যে প্রকৃতি তার নিজস্ব জায়গায় সবসময় সুন্দর এবং তার কার্যকারিতার ক্ষেত্রের সক্ষম থাকে। এটার অন্যথা ঘটলে সে তার সৌন্দর্য এবং কার্যকারিতার যে গুণাবলী সেগুলোকে হারিয়ে ফেলে।
অনেক ধন্যবাদ সকল বন্ধুরা, আমার আজকের লেখাটি আমার এখানেই সমাপ্ত করছি। আগামীকাল আবার কোনো নতুন লেখা নিয়ে দেখা হবে আপনাদের সাথে।
হুম দিদি এই পদ্ম ফুল আমাদের গ্রাম অঞ্চলে নাই বলেলেই চলে ৷ কিন্তু এই ফুলটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে ৷ আর আপনি ঠিক বলেছেন দিদি পদ্ম ফুল সাধারনত মিষ্টি পানিতেই জন্মায় ৷
যাই হোক দিদি অসম্ভব সুন্দর একটি ফুলের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই ৷
#miwcc
আসলে আপু সত্যি কথা বলতে,,, এই পদ্মফুল আমাদের এদিকে তেমন একটা দেখা যায় না। তবে আমি আরো প্রায় তিন বছর আগে,,, একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন ওই জায়গায় আমি এই পদ্মফুল দেখেছিলাম।
আপনি দেখছি পদ্মফুল সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আসলে পদ্মফুল দেখতে খুব সুন্দর। যদি আমরা এটাকে হাতের মধ্যে ছিঁড়ে নিয়ে নেই,,, তাহলে কিন্তু এর সৌন্দর্যটা অনায়াসে হারিয়ে যায়। প্রকৃতির সৌন্দর্য প্রকৃতির মধ্যেই ভালো লাগে,,, নিজেদের হাতে নয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ পদ্মফুল সম্পর্কে এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
#miwcc