বাংলাদেশের অর্থকারী ফসল বা ফল সুপারি।
পাঠক বন্ধুগণ,
আশাকরি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আমি গ্রামে থাকা সুপারি ও সুপারি গাছ নিয়ে কিছু কথা উপস্থাপন করতে চলে এসেছি।
এই গাছটি অনেকেই হয়তোবা দেখেছেন। গাছটি ত্রিশ-চল্লিশ ফুট বা তার বেশি ও লম্বা হতে পারে। আমি দেখেছি আমাদের গ্রামে অনেকেরেই এই সুপারি বাগান আছে, বছরে একবার সুপারি হয়।
তবে লবণাক্ত বা নিচু এলাকাতে এই গাছ ভালো হয় না। যদি কেউ লাগায়, তাহলেও ভালো ফসল আশা করা যায় না। একটা সময় দেখা যাবে গাছটি মারাও গিয়েছে।
সুপারি গাছের মূল বেশি গভীরে যায় না, যার জন্য ঝড়ে সুপারি গাছ মাঝেমধ্যেই মূলসহ উপড়ে পড়তে দেখা যায়। একটি সুপারি গাছ ৫-৬ বছর বয়সে ফল বা ফসল দিতে পারে।
তবে এর ব্যতিক্রম যে হয় না, তা ঠিক না। যেহেতু আমারা এখন প্রযুক্তির যুগে আছি, তাই অনেক উন্নত ও উচ্চফলনশীন ফসল বা ফল ও প্রযুক্তির এক উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার। সুপারি ও তার মধ্যে একটি।
আমার দাদু একটি উন্নত জাতের সুপারি গাছ লাগিয়েছিলেন, যা থেকে বারো মাস সুপারি পাওয়া যেত। একটু স্যাঁতসেতে ও বেলে-দোঁয়াশ জায়গাতে সুপারি গাছ ভালো হয়।
তবে তেঁতুল গাছের মতো ঘন সবুজ পাতা ও ছায়াযুক্ত স্থানে ভালো হয় না কোনো গাছ।
- যেহেতু এই গাছ থেকে ফল বা ফসল বিক্রি করে আমরা অর্থ পাই, তাই বলা যায় যে এটা আমাদেরকে অর্থের জোগান দেয় ।
যে ব্যক্তির এক-বিঘা জায়গার একটি সুপারি বাগান আছে, তার পরিবার যথেষ্ট স্বাবলম্বী।
এক মণ অর্থাৎ চল্লিশ কেজি সুপারির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় বিশ হাজার টাকা।
এবার আমাদের বাজারে এক কুড়ি (২৭০পিচ), সুপারির সর্বোচ্চ মূল্য হয়েছিল এক হাজার টাকা।
একটি গাছে বছরে দুইশত সত্তর এমনকি তার দ্বিগুণ সুপারিও হয়।
এক বিঘা জায়গার একটি সুপারি বাগানে কম হলেও প্রায় দুইশত সুপারি গাছ থাকতে পারে। সব মিলিয়ে দেখা যাবে এক বছরে প্রায় চার-পাঁচ মণের মত সুপারি হয়।
প্রতিবছর সুপারি বাগানের মাটি আলগা করে দিতে হয়। এটা করার সময় সুপারি গাছের ভেসে থাকা শিকড় গুলো কেটে যায়। তার জন্য আবার নতুন শিকড় গজায়। এটার জন্য লোক দিয়ে কাজ করাতে হয়। যার জন্য দেখা যায় একজন মানুষ এখান থেকে তার পারিশ্রমিক পায়।
প্রত্যেকটা জিনিসের একটি কর্মক্ষম বয়স রয়েছে। সুপারি গাছ ও তার ব্যতিক্রম না। যার জন্য দেখা যায় একটা সময় সুপারি গাছ ফল কম দিতে শুরু করে। আর তখনই আমরা এই গাছ কেটে বিক্রি করি অথবা আমাদের অন্যান্য কাজে ব্যবহার করি।
একটি সুপারি গাছের মূল্য চারশত বা পাঁচশত টাকা হয়। কাকড়া চাষ যারা করে তারা এটি বেশি মূল্য দিয়ে ক্রয় করে। যার ফলে দেখা যায়, গাছ বিক্রি করেও বেশ ভালো পরিমাণের একটি অর্থ পাওয়া যায়।
দেশি যে সুপারি গাছগুলো রয়েছে সাধারণত পাঁচ-ছয় বছর না হলে এগুলো ফসল দেয় না। যার জন্য দেখা যায়, এই কয়েকটি বছর ওই জায়গা থেকে কোনো অর্থ উপার্জন করা সম্ভব না।
আর অর্থ না পাওয়া মানে ওই জায়গার কোনো মূল্য নেই তখনও পর্যন্ত।
যেহেতু সুপারি গাছের শিকড় একটু ভাসা অবস্থায় থাকে, তাই ঝড়ের সময় এই গাছ মূলসহ উপড়ে পড়তে পারে। যার জন্য দেখা যায় ঘর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে এই সুপারি গাছ রোপন করা উচিত।
তা না হলে ঝড়ের সময় গাছ পড়ে ঘর এবং প্রাণ হানির সম্ভাবনা থাকে।
সুপারি গাছের শরীর একটু চিকন প্রকৃতির এবং স্যাঁতসেতে হয়। আর সুপারি গাছের উপরে উঠে সুপারী পাড়া লাগে, তাই এই সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। অনেক সময় অসতর্ক থাকলে এই গাছ থেকে পড়ে গিয়ে মানুষের প্রাণ হানি পর্যন্ত হতে পারে।
আসলে আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি এই লেখাটি আপনাদেরকে উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। হয়তো আমার না জানা আরও অনেক তথ্য রয়েছে। যদি আপনাদের কাছে মনে হয় কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমি ভুলে গিয়ে থাকি উল্লেখ করতে, অবশ্যই আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
সুপারি গাছ আমরা সবাই চিনি বা জানি আপনার এই সুপারি গাছ আজ দেখে আমার সেই ছোট্ট বেলার কথা মনে পড়ে গেল আমি খুব সুপারি গাছে উঠেছে এক গাছ থেকে আরেক গাছে চলে গিয়েছি বাঁদরের মতো।
খুবই ভালো লাগলো আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে আপনি সুপারি গাছ নিয়ে অনেক তথ্য আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন আপনি ঠিকই বলেছেন বাংলাদেশের সুপারি গাছ চাষ করে অনেকদিন থেকে লাভবান হওয়া যায়।
#miwcc
সুপারি গাছ আমাদের সবার বাড়িতে কম বেশি রয়েছে ৷ আর বর্তমান সময়ে সুপারি ফল কেনা বেচা চলতেছে ৷ অনেক মানুষ রয়েছে সুপারি পাইকারি বা ব্যবসা করতেছে আবার কেউ সুপারি বিক্রি করতেছে সব মিলিয়ে এই সুপারি ফলে অনেক অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে ৷ সাথে নিজের ইনকাম থেকে শুরু করে সংসারের অভাব দুর হচ্ছে ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
#miwcc
আমার শ্বশুর আমাদের ছোট্ট একটা বাগানে মোট ৫০ টার মতো সুপারি গাছ রোপন করেছে। প্রতিবছর প্রায় তিন মন সুপারি উনি বাগান থেকে উত্তোলন করে।
ওনারা যেহেতু পান খায়, সেজন্য সুপারি একটু খরচ হয়। কিন্তু বাড়তি যে সুপারি গুলো রয়েছে। সেগুলো ওনারা বিক্রি করে দেয়, এবং বেশ মোটা অংকের কিছু টাকা পায়।
আপনি দেখছি সুপারি গাছের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে, আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। তবে আমি আপনার পোস্ট পড়ে যতটুকু বুঝতে পারলাম। সুপারি গাছের অপকারিতার চাইতে, উপকারিতাই অনেক বেশি।
আমাদের মধ্যে যাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে জমি রয়েছে। তারা চাইলে এই সুপারি গাছ রোপন করে। বেশ ভালো একটা মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারে।
যদিও কিছুটা সময় কষ্ট করতে হবে। কিন্তু সব জিনিসেরই কষ্টের পরেই ভালো একটা দিক খুঁজে পাওয়া যায়।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
#miwcc
আপু আপনার লেখাটি পরে নতুন অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমাদের দেশে সুপারি একটি অর্থকারী ফসল হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ফসলের অনেক সুনাম রয়েছে।
ধন্যবাদ দিদি এমন সুন্দর পোষ্ট করার জন্য।
#miwcc
Saludos amigo
Muy interesante saber acerca de esta nuez, las propiedades y los beneficios que aportan son espectaculares para el organismo; además de ellos se ve que es un árbol muy grande y que las personas puedan venderlo y así ayudarse es bueno.
Por cierto tus fotos están espectaculares! 🤩Me encantan la calidad de las fotos😊 Qué bueno que hayas compartido esta información con todos nosotros feliz noche.
#miwcc