নারীরা ও এখন অর্থ উপার্জনে সক্ষম।
Hello Everyone,
পাঠক বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আবারো আজ আমি চলে এসেছি একটি লেখা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। তাহলে চলুন আমরা লেখাতে চলে যাই।
নারীরা কি অর্থ উপার্জনে অংশগ্রহণ করতে পারে?
অবশ্যই নারীরা অর্থ উপার্জনে অংশগ্রহণ করতে পারে। জন্ম থেকে প্রতিটি মানুষ স্বাধীন। কিন্তু কিছু দেশ ও কিছু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায় নারীদেরকে সমাজের শৃঙ্খলে অর্থাৎ পরাধীনতার মধ্যে রাখা হয়েছে।
যার জন্য একটা কুসংস্কার প্রচলিত সেই পূর্ব থেকে যে নারীরা অর্থ উপার্জনে অনেকটা অক্ষম। আদৌ এ বিষয়টি সঠিক না। নারীরাও এখন আসতে উপার্জনে নিজেকে সামিল করেছে।
পুরুষের সাথে তারাও প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এমনকি সেখান থেকে তারা এই প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেই কর্ম ক্ষেত্রে অর্থাৎ অর্থ উপার্জনের অংশগ্রহণ করেছে।
|
---|
ফটোগ্রাফিতে যে দৃশ্যগুলো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এগুলো আমাদের গ্রামের গৃহিণীদের হাতের কাজ। সুতা ও কাটা সেই সাথে নিজেদের হাত ব্যবহার করে এই পুতুল তৈরি করেছে।
প্রথমত এই হস্তশিল্পের কাজে যারা সম্পৃক্ত তারা আসলে অধিকাংশই নিরক্ষর। কিন্তু তাদের এই নিরক্ষরতা তাদের প্রতিভাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
তবে সেই সাথে উল্লেখ না করলেই নয় কারণ আমাদের গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পরিবারের পুরুষেরা যথেষ্ট সচেতন। এক কথায় বলতে পারেন অতীতের সেই কুসংস্কারের মধ্যে আর তারা নেই।
যার জন্য গৃহবধূকে সুযোগ করে দিয়েছে তার অবসর সময়ে কাজে সম্পৃক্ত থাকার জন্য। এজন্য আসলে ভালো লাগে যে নারীদের কেউ পুরুষেরা মূল্যায়ন করতে জানে।
|
---|
সাধারণত গ্রামের মানুষ ধরে নিতে হবে সকলেই মধ্যবিত্ত। সরকারি চাকরি ছাড়া অন্যান্য যে পরিবার রয়েছে প্রতিটা পরিবার দিনমজুর বলা যায়। আবার কেউ বা কৃষি পেশার সাথে সম্পৃক্ত। তবে স্বয়ংসম্পূর্ণ বা একেবারেই যে স্বাবলম্বী কোন পরিবার এটাও বলা যায় না।
যার জন্য দেখা যায় একজন গৃহিনী বা মা যদি এভাবে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারে তাহলে পরিবারের বিভিন্ন কাজে সেই অর্থ ব্যয় করা সম্ভব।
মাঝেমধ্যে সন্তানের বাবার অনুপস্থিতে অর্থের প্রয়োজন হতে পারে। আর সে ক্ষেত্রে দেখা যায় ঘরের গৃহিণী বা মা যদি নিজেই এই অর্থ উপার্জন এর কাছে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তার কাছে কিছু টাকা থাকবে। এক কথায় অতি প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে এই টাকাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মায়েদের কাছে যদি টাকা থাকে তাহলে দেখা যায় তাদের মন মানসিকতার একটু পরিবর্তন হয়। নিজেদেরকে কারো উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল মনে করে না।
|
---|
একটা কথা হয়তোবা আমাদের সকলেরই জানা আছে অলস মস্তিষ্ক অনেক খারাপ হয় নিজের ও সমাজের জন্য।
সেক্ষেত্রে দেখা যাবে কেউ যদি কর্মব্যস্ত থাকে তাহলে তার মাথায় কোন খারাপ চিন্তা ধারা থাকবে না। তারমধ্যে নিয়ম শৃঙ্খলার একটা ব্যাপার থাকবে এবং সময় সম্পর্কে সচেতনতা থাকবে।
মায়ের এই গুণাবলী গুলো সন্তানের উপর প্রভাব বিস্তার করে। সেই ক্ষেত্রে দেখা যায় সন্তানেরাও নিয়ম শৃঙ্খলা এবং সময়ের মূল্যায়ন করতে শিখবে যথাযথভাবে।
বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে একটি খারাপ জিনিস চোখে পড়ে মাঝেমধ্যেই। বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলারা আবারও অনৈতিক কিছু সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। এটার প্রধান কারণ হিসেবে ধরা যেতে পারে এই অবসর সময়ে কোন কাজ না থাকা।
|
---|
- মানসিকভাবে একজন নারী অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। কারন সে নিজেকে সবসময় অন্যের বোঝা মনে করে।
মধ্যবিত্ত বাঁদরিত্র পরিবারের অতিব জরুরী প্রয়োজনে যখন অল্প কিছু টাকার ঘাটতি পরে তখন সেটা আর কোন ভাবে ম্যানেজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এটার জন্য পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে যেতে পারে।
বিশেষ করে মধ্যবিত্ত বা দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা অর্থ সমস্যাতে থাকে। এক্ষেত্রে পরিবারের নারীরা যদি অর্থের যোগান না দিতে পারে তাহলে অনেক সময় ওই পরিবারের সন্তান শিক্ষা থেকে ছিটকে পড়ে।
|
---|
নারীদেরকে অর্থ উপার্জনের গুরুত্ব বোঝাতে হবে এবং উৎসাহিত করতে হবে। তারাও যে পুরুষের মতো অর্থ উপার্জনে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারে এই বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবে অনুধাবন করাতে হবে।
পৃথিবীতে এখনো অনেক দেশ রয়েছে যেখানে নারীদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। সাধারণত দেখা যায় এটার জন্যই নারীরা বেশিরভাগ পিছিয়ে পড়ে। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা খুব জরুরী।
শিক্ষার ক্ষেত্রে তাদেরকে সুযোগ করে দিতে হবে। নারীদের শিক্ষার গুরুত্ব কোন অংশে কম না পুরুষদের থেকে।
আমি আসলে এটাই উপস্থাপন করতে চেয়েছি যে, শুধুমাত্র আমাদের পরিবারের না বরং আমাদের সমাজ ও দেশের জন্য ও নারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারাও নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের অংশগ্রহণ না থাকলে আমরা অনেকটা পিছিয়ে যাব। এবং নারীদেরকে দুর্বল ভেবে কখনোই ছোট করে দেখা উচিত না।
হুম দিদি বর্তমানে এই সব হস্তশিল্প কারুকার্যে নারীরা অনেক এগিয়ে আছে ৷ তারা বাড়িতে বসে বসে এই সব ধরনের কাজ করে দৈনিক টাকা ইনকাম করতেছে ৷ তাছাড়া গার্মেন্টস করে এমন অনেক নারী রয়েছে ৷
তার জন্য নারীরাও এখন অর্থ উপার্জনে সক্ষম ৷ যাই হোক দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷
#miwcc
নিরক্ষর বলে কখনোই কাউকে ছোট করে দেখতে নেই! তার কাজের প্রতি সম্মান জানানো উচিত,,, আপনি বলছেন যারা হস্তশিল্পের কাজ করে তারা নিরক্ষর! কিন্তু তারা নিরক্ষর বলে কি হয়েছে! তাদের যে প্রতিভা,,,,, তারা কিন্তু সেটা তাদের কাজের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে।
একজন নারী অর্থ উপার্জন করলে,,, তার পরিবারের জন্য কতটুকু সুবিধা হয়! একজন নারী অর্থ উপার্জন না করলে,, কি সমস্যা হয়। এ সমস্ত বিষয় আপনি আজকে আপনার পোস্টে তুলে ধরেছেন। আসলে বিষয়গুলো সম্পর্কে,,, আমি বলব আমি অনেকটাই অজানা।
তবে আজকে আপনার পুরো পোস্ট পড়ে আমি বুঝতে পারলাম। একজন নারীর অর্থ উপার্জন করার অধিকার রয়েছে। সে অর্থ উপার্জন করে তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারে,,,, নিজের দায়িত্বটা নিজের কাঁধে নিতে পারে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন অজানা কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। যেগুলো আমি জানতে পেরে খুবই উপকৃত হয়েছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন।
#miwcc