কবুতরের ঝাল মাংস রান্না (রেসিপি)
হ্যালো বন্ধুরা,
আশা করি সকলে ভালো আছেন সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এবং আমিও ভাল আছি আপনাদের প্রার্থনা ও সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায়। আমার সকল প্রিয় ভাই ও বোনদেরকে জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে স্বাগতম, আমার আজকের রেসিপি সম্পর্কিত লেখাতে।
মাংস রান্না ও পরিবেশন
যেভাবে রান্না করেছি
মাংস রান্নার পূর্ব প্রস্তুতি
প্রথম ধাপ
মাংস রান্না করার জন্য মসলাগুলো আমি প্রস্তুত করে নিয়েছি। এবং তার পূর্বে মাংস ছোট ছোট টুকরো করে নিয়েছি। এবং আমি এই ঝাল মাংস তে গোল আলু ব্যবহার করব তার জন্য ছোট ছোট টুকরো করে নিয়েছি। এবং আলু ও মাংস পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
তেল গরম করা
দ্বিতীয় ধাপ
সবকিছুই যখন মোটামুটি প্রস্তুত তারপর আমি শুকনো কড়াইতে সরিষার তেল দিয়েছি ১০০ গ্রাম সমপরিমাণ। তারপর তেল যখন গরম হয়ে গিয়েছে তখন আমি পরিষ্কার মাংসের টুকরোগুলো এই গরম তেলের উপর ছেড়ে দিয়েছি।গরম তেলে মাংস ছেড়ে দেওয়া
মাংসতে মসলা দেওয়া
মসলা মাংসতে মেশানো
তৃতীয় ধাপ
তারপর পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে মাংসগুলোকে তেলের সঙ্গে একটু নেড়ে নিয়েছি। এবং এভাবে নেড়েছি যেটার জন্য মাংসের সঙ্গে তেল ও লবণ হলুদ সুন্দরভাবে মিশে যেতে পারে। তারপর আমি শুকনো মরিচ বাটা ও জিড়রা এবং ধুনে বাটা দিয়েছি এবং আবারও নেড়ে নিয়েছি সুন্দর করে মিশিয়ে নিয়েছি। এবং আগুনের তাপটা একটু কমিয়ে দিয়েছি। তাপ কমিয়ে দিয়েছি এই কারণে যে অনেক বেশি তাপ হলে মাংস সুন্দর করে কসানো না হলেও রঙটা হয়ে যাবে সহজে। তাই আগুনের তাপ কমিয়ে দিলে রং এবং কসানো দুটোই ভালোভাবে হয়।গোল আলু দেওয়া
চতুর্থ ধাপ
তারপর আমি ছোট ছোট টুকরো করে রাখা গোল আলু এটার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি। এবং মাংস ও আলু একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছি।
মাংসতে জল দেওয়া
পঞ্চম ধাপ
কিছুক্ষণ এভাবে রেখেছি তারপর যখন মনে হয়েছে মাংস ভালোমতো কসানো হয়ে গিয়েছে এবং আলুটাও মোটামুটি ভাজা হয়ে গিয়েছে, ঠিক তখনই পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিয়েছি। এবং জল দেওয়ার পরে এটার সাথে পরিমাণ মতো লবণ ও হলুদ দিয়ে নিয়েছি। তারপর জলটা যখন শুকিয়ে গিয়েছে আবারো পরিমাণ মতো জল দিয়েছি।রান্না শেষে গামলায় রাখা
ষষ্ঠ ধাপ
এবং মাংসটা যখন রান্না সম্পন্ন হয়েছে তখন এটাকে কড়াই থেকে নামিয়ে রেখেছি একটা গামলার মধ্যে। এবং এটাকে আমি নিজে পরিবেশন করেছি এমনকি খেয়ে দেখলাম খুবই সুস্বাদু/মজাদার হয়েছে।প্রয়োজনীয় উপাদান
- ৫০০ গ্রাম কবুতরের মাংস।
- ৩টি মাঝারি আকৃতির গোল আলু।
- ১০০ গ্রাম সরিষার তেল অথবা সয়াবিন তেল।
- ২ টেবিল চামচ শুকনো মরিচের গুড়া।
- ৩ টেবিল চামচ জিরা ও ধুনে বাটা/গুঁড়া।
যাহোক, প্রিয় বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। তবে বিষয়টি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং একবার হলেও যদি কখনো সুযোগ হয় চেষ্টা করে দেখবেন। খুবই মজা লাগবে এই পদটি এবং আবারও খেতে ইচ্ছা করবে।
লেখাটির জন্য ধারণকৃত ফটোগ্রাফি গুলো আমার নিজস্ব মোবাইল ক্যামেরা থেকে ধারণ করা হয়েছে এবং নিজ বাড়িতে তৈরি রেসিপি।
Mobile:- Realme8
Subject:- cooking recipe photography
Location:- Bangladesh Rampal Bagerhat
@piya3আমি কোনদিন পায়রার মাংস খাইনি। আপনার নতুন কিছু রান্না দেখে আমার ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ দিদি,
আমার লেখাটি মূল্যায়ন করার জন্য। আশা করি আগামীতে এভাবে পাশে থাকবেন।
আমি চিকেন, মাটন এর পাশাপশি ডাক পাখির মাংস, হাঁস এর মাংস, কোয়েল পাখির মাংস খেয়েছি, এর বাইরের অভিজ্ঞতা হয়নি কারণ সব জায়গায় সব কিছু পাওয়া যায় না।
@sduttaskitchen
শ্রদ্ধা দিদি,
আপনার নিমন্ত্রণ রইল। অবশ্যই সময় সুযোগ করে আমার বাড়িতে চলে আসবেন। একটা নতুন অভিজ্ঞতা, অবশ্যই আপনার জন্য নতুন একটি উপভোগ্য মুহূর্ত হবে।
Passport আছে শুধু ভিসার অপেক্ষা, পেলেই রওনা দেব। 😂
অপেক্ষায় রইলাম কখন শ্রদ্ধেয় দিদি কে স্বচক্ষে দেখার সুযোগ করে দেন মহান সৃষ্টিকর্তা।
এই প্রথমবার পায়রার মাংস রান্না দেখলাম, ভালো লাগলো একটু অন্যরকম রান্না দেখে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্য ও এর জন্য। আপনাদের এই মূল্যবান মন্তব্য আমাদেরকে উৎসাহ প্রদান করে সৃজনশীল নতুন নতুন লেখা উপস্থাপন করতে।