খুলনা-মোংলা রেলপথ।
![]() |
---|
Hello Everyone,
আমার আজকের লেখাটিতে সকলকে স্বাগতম। বেশ ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সারাটি দিন অতিবাহিত করেছি আজ। তবুও কনটেন্ট লেখাটা যেন প্রতিদিনের একটি রুটিনে পরিণত হয়েছে।
মাঝেমধ্যে কিছু অভিজ্ঞতা এবং চলমান অনেক ঘটনা যেগুলো আপনাদের সাথে ভাগ করে না নিয়ে পারি না।
আজ আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব,
খুলনা মংলা রেলপথ সম্পর্কিত কিছু তথ্য এবং এটি সম্পর্কে আমার অভিমত।
![]() |
---|
![]() |
---|
এটা হচ্ছে খুলনা মংলা রেলপথ। বেশ কিছুদিন পূর্বে এখানে একবার গিয়েছিলাম আমি সহ আমার কিছু বন্ধুরা। বেশ কিছুটা সময় পড়ন্ত বিকেলে উপভোগ করেছিলাম এখানে।
![]() |
---|
![]() |
---|
রক্তিম সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাচ্ছে, এতোটা সময় অতিবাহিত করে ফেলেছিলাম। কারণ ওইখানকার পরিবেশটা এতই ভালো ছিল যে কখন যে সময় পার হয়ে যাচ্ছিল বুঝতেই পারিনি আমরা।
আর এই রেলপথের প্রথম দিকে যখন নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছিল তখনকার কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা বা মজার ঘটনা ও রয়েছেঃ- |
---|
যখনই রেলপথের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল লোকমুখে এবং সংবাদ মাধ্যমে,
তখন থেকেই এই বিলের মধ্যকার জমির মূল্য হুড় হুড়করে বাড়তে শুরু করেছিল।
যে জমির প্রতি একর বিশ থেকে পঁচিশ লক্ষ টাকা ও ছিল না। সেই ছবির মূল্য হয়ে গেল প্রায় দুই কোটির কাছাকাছি অর্থাৎ প্রতি বিঘা জমি প্রায় এক কোটি টাকা মূল্য।
বাংলাদেশের জনবহুল শহর ঢাকা যেখানে ডিস হিসেবে জায়গা বিক্রি হয় একপ্রকার সেরকম চড়ামূল্য।
এবার মজার ব্যাপার হচ্ছে এই রেলপথ যেখানে অর্থাৎ নির্দিষ্ট যে সীমানাতে ম্যাপ করে রাখা হয়েছিল, সেখানকার প্রতিটি জিনিসের ক্ষতিপূরণ দেয়া হচ্ছিল- গাছপালা বা ঘর বাড়ি যেটাই ছিল না কেন সেইটার মালিকদের।
কিছু অসাধু লোক বুঝতে পেরে বিভিন্ন অসৎ উপায় অবলম্বন করতে শুরু করল। এই ঘটনাটি ও প্রচারিত যে একটি কলা গাছ ও এক হাজার টাকা মূল্য দিয়ে নিয়েছিল এই রেলপথ কর্তৃপক্ষ।
আবার অনেকে তো রীতিমতো তিন বাঁশ দিয়ে ঘর তৈরি করে ফেলেছিল। প্রথম দিকে এরকম কিছু অসৎ লোক বেশ ফাইদা লুটে নিয়েছিল।
পরবর্তীতে এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং তারা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
এই রেলপথ একপ্রকার খুলনা মোংলার মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ:- |
---|
প্রথমত বিলের মধ্যে যাদের অল্প পরিমাণ জমে ছিল তারা কখনোই দখলে আসতে পারতো না কিন্তু দেখা যায় রেলপথের সুবাদে তারা চড়ামূল্যে জমিটি বিক্রয় করে তাদের পরিবারকে স্বাবলম্বন করতে সক্ষম হয়েছে।
হয়তো দেখা গিয়েছে এই অল্প পরিমাণ জমি বিক্রি করে তাদের বসবাসের জন্য ভালো একটি জায়গা ক্রয় করতে পেরেছে।
অনেকে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করেছে এখান থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে।
স্থানীয় দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে।
শুধুমাত্র স্থানীয় না দেখা যায় যখন রেলপথ কার্যক্রম সমাপ্ত হবে এবং তখন সরকারিভাবে জনবল নিয়োগ করা হবে এখানে। সেক্ষেত্রে সারা বাংলাদেশের মানুষ এখানে আবেদন করতে পারবে এবং তাদের পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে পারবে ও সেই সাথে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবে।
মোংলা শিল্প এলাকায় পরিণত হয়েছে যার জন্য ঢাকাতে শুধু যানজট দেখা যায় না বর্তমান মোংলার এই ছোট্ট রাস্তাতেও যানজট পরিলক্ষিত হয়।
সেক্ষেত্রে দেখা যাবে রেলপথের জন্য এই যানজট কমে যাবে রাস্তাঘাটের।
শুধুমাত্র একটি রাস্তা যোগাযোগের জন্য ব্যবহার হওয়ার ফলে দেখা যায় প্রচুর পরিমাণে গাড়ি-ঘোড়া এবং এক লেন্থের রাস্তা।
যার ফলে বিপরীতমুখী গাড়ি ক্রসিং করার সময় দুর্ঘটনা দেখা দেয় প্রতিনিয়ত দুই একটি।
সর্বশেষ একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে আজকের এই রেলপথ এক কথায় দৃশ্যমান তার পিছনে সব থেকে বড় অবদান। বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত।
আজকের লেখাটি আমি এখানে সমাপ্ত করছি, আশা করি একটু হলেও লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে কারণ এটা বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তথ্য বলা যায়।
অনেক ধন্যবাদ সকলকে আমার আজকের লেখাটি পরিদর্শন করার জন্য।
বিশেষ করে আমরা যখন সব বন্ধুরা মিলে কোথাও ঘুরতে যাই। কিংবা এই জায়গার পরিবেশটা যদি অনেক সুন্দর হয়। সেখানে কাটানো সময় গুলো কখন যে পার হয়ে যায়। টেরও পাওয়া যায় না। মনে হয় এইতো মাত্র কয়েক মিনিট আগেই তো এখানে এসেছিলাম। এত তাড়াতাড়ি এত সময় কিভাবে অতিবাহিত হয়ে গেল। বুঝতেই পারলাম না। আপনাদের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ছাড়া আর কিছুই হয়নি।
আসলে একটা কথা আছে বর্তমান সময়ে। বাংলাদেশের যদি কোন সরকারি কাজের জন্য কোন একটা জায়গাতে নির্বাচন করা হয়। সে জায়গার আশেপাশে যত জায়গা আছে। সবগুলোর দাম বেড়ে যায়, যেমনটা আপনি ওই জমিগুলোর কথা বলেছেন। যে জমিগুলোর দাম 20 থেকে 25 লাখ টাকা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সেই জমিগুলোর দাম কোটি কোটি টাকা।
একদমই ঠিক বলেছেন মোংলার মানুষের জন্য এই রেলপথ এক ধরনের আশীর্বাদ। আসলে যখন সেই জায়গায় কোন একটা সরকারি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। তখন কিন্তু অনেক মানুষ সেখানে কাজ করতে পারে। অনেক মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের বৃদ্ধি হতে থাকে। অসহায় দরিদ্র মানুষ নিজেদের কর্মস্থান খুঁজে পায়। যেমনটা আপনি আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন।
এই রেলপথের পিছনে আপনি উল্লেখ করেছেন।আমাদের বাংলাদেশের বন্ধু ভারতের কথা। আসলেই একদম ঠিক বলেছেন। ভারতের সাথে যবে থেকে বাংলাদেশের একটা বন্ধুত্বসুলভ আইন তৈরি হয়েছে। তখন থেকেই বাংলাদেশের কিছুটা উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার বন্ধুরা সহ সেই রেলপথ এ ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতাটা, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। এবং সেইখানকার মানুষের সুবিধা অসুবিধাগুলো আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন।
#miwcc
একটি রাস্তা একটি সফল প্রতিষ্ঠান যেমন একটি এলার সার্বিকভাবে উন্নয়ন করে তলে সব দিক দিয়ে , সেম পরিনত হয়েছে আপনাদের এই এলাকায়।
যেমন প্রথমে তাদের জমি থেকে ডাবল টাকা পেলো, তেমনি এলাকা উন্নয়ন হলো, শিল্প প্রতিষ্ঠান হলো। রেলপথ যেমন সরল পথে চলে ঠিক তেমনি যেই এলাকায় রেলপথ কিংবা রাস্তা, শিল্প প্রতিষ্ঠান যে এলাকায় হোক ওই এলাকার জন্য আশীর্বাদ নিয়ে আশে।
আপনি আরো বলেছেন কিছু মানুষ অসাধু উপায় অবলম্বন করে জমির দাম, ঘর ইত্যাদি উপায়ে তাদের জমি চড়া মূলে বিক্রি করেছে।
সেম ভাবে আমাদের এলাকায় ব্রিজ হওয়ার সময় কিছু মানুষ এরুপ করেছিল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
#miwcc