সবুজ বৃক্ষরাজির মধ্যে কিছু দৃশ্যের মুহূর্ত
|
---|
প্রিয়
পাঠক বন্ধুগণ,
প্রচন্ড শীত ২/৩ দিন ধরে কোনো সূর্যের আলো দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ আজ বিকেলে সূর্যের দেখা মিলছে। সবাই যেন সূর্যের প্রতীক্ষায় ছিল। কনকনে শীতে আমাদের দরিদ্র সমাজের কিছু বাস্তব চিত্র সামনে চলে আসে।
কনকনে শীতে ও বাড়ি আরাম করার কোনো উপায় নেই। গরু নিয়ে মাঠে যাচ্ছে বৃদ্ধ দাদু। না হলে গরু অভুক্ত থাকবে। আর যা ই হোক গরু মাঠে নিয়ে যেতেই হবে।
প্রকৃতির প্রত্যেকটা দৃশ্যের মধ্যে রয়েছে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সৃষ্টির এক অপরূপ মহিমা। সবুজের মাঝে একগুচ্ছ সাদা ফুল, এবং এটার উপরে রয়েছে ছোট্ট একটি মাছি।
এখানে আপনারা যে ছোট্ট গোল আকৃতির ফল গুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো আমাদের গ্রামের ভাষায় বলা হয় কূল বা বরই। এই ছোট্ট ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আমরা জানি শারীরিক বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানের ভিতর একটি হচ্ছে ভিটামিন "সি।"
বিশেষ করে আপনার চোখে পড়বে শীত কালে অধিকাংশ মানুষের ঠোঁট ফেটে যায় এবং গালের বিভিন্ন অংশে ঘা দেখা যায়। আর কম বা বেশি সর্দি-কাশি তো লেগেই থাকে। এই ভিটামিন "সি" এর ঘাটতি যদি একটা মানুষের শরীরে না থাকে তাহলে সেই মানুষটি ঘন ঘন সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয় না।
আপনারা গোলপাতা গাছের নাম শুনেছেন অবশ্যই এবং সুন্দরবনের গোলপাতা খুবই বিখ্যাত। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় গোলপাতা এক প্রকার হারিয়ে যাচ্ছে, তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে গোলপাতার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
যেমন বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে এখনো মুরগির খামারে গোলপাতা ব্যবহার করা হয়। আর আপনারা দৃশ্যে গোলপাতা গাছে একটি ফল আকৃতি দেখতে পাচ্ছেন এটা আসলে গোল পাতার ফল। এক কথায় এটিকে বলা হয় গোল ফল। এটি হালকা লোনা স্বাদযুক্ত।
গ্রামের এক কৃষকের ক্ষেতে এই বাঁধাকপি গাছ দেখতে পেলাম। পড়ন্ত বিকেলে এই ছবিটি সংগ্রহ করেছি কিন্তু দেখুন দেখেই মনে হচ্ছে কুয়াশা লেগে রয়েছে এখনো।
লাউ গাছের পাতাগুলো খুবই সবুজ। এ যেন এক সবুজের মেলা বসেছে। বাঙ্গালীদের একটি প্রিয় খাবার হচ্ছে এই লাউ শাক। আর সাথে যদি ইলিশ মাছ হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই।
প্রকৃতি আমাদের অমূল্য সম্পদ। প্রকৃতি যদি ভালো থাকে আমরাও ভালো থাকতে পারবো। আমরা প্রতি বছর বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হই যেমন বন্যা, ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এই সবগুলোকে বলা হয় প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
এবং এটা কেন হয় আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন। প্রকৃতি একসময় আমাদের অত্যাচারগুলো আর নিতে পারেনা তাই প্রকৃতির উপর প্রতিনিয়ত বয়ে যাওয়া অত্যাচারগুলো একসময় এই বৃহৎ রূপ আকারে ফিরে আসে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের চেহারাতে।
অর্থাৎ আমি এটাই বুঝাতে চাচ্ছি সবাইকে আমাদের উচিত বৃক্ষ নিধন না করে বৃক্ষরোপণ করা। প্রয়োজনে আমাদের বৃক্ষ নিধন করতে হবে কিন্তু আমরা যদি একটা বৃক্ষ নিধন করি তাহলে আমাদের হিসাব রাখতে হবে যে আমরা দুইটি বৃক্ষ লাগাবো।
যাইহোক বন্ধুরা আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং লেখা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme8 |
Location | Bangladesh |
Shot by | @piya3 |
আপনার যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের কমিউনিটির ডিসকোর্ড চ্যানেলে অথবা টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন।
√Discord
✓Telegram
হুম কিছুদিন যাবত কনকনে শীত পড়েছে। দরিদ্র মানুষের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। পশু-পাখি গুলোরও নাজেহাল অবস্থা। এই সময়ে রোদের দেখা পেলে ছুটে যায় সবাই রোদ পোহাতে। সেই রোদের ছোয়া অনেক মিষ্টি।
আপনার ফোনে তোলা পিকগুলোর মায়ায় পড়ে গেছি। ফটোগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে। শাক সবজি, ফলমূলে ভরা আপনার ছবিগুলোতে। যাইহোক ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
শীতের কথা আর কি বলি। একেবারে জবুথবু অবস্থা। আরও রে কতদিন এমন থাকবে ,এখন আমি সেই টেনশন করছি।
আপনার তোলা কুলের ছবি গুলো দেখে ছোটোবেলায় সরস্বতী পূজার আগে কুল খেতে না পাড়ার কষ্টের কথা মনে পড়লো।
ভালো থাকবেন।