প্রচন্ড গরমে একটু প্রশান্তির আশায় ঘরের বাইরে ঘুরতে যাওয়া।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি আপনাদের আজকের দিনটি ভালোই অতিবাহিত হয়েছে। যদিও লেখার মাধ্যমে আমি কিছু বার্তা দেয়ার চেষ্টা করবো, তবে আমিও নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করবো।
তাহলে আজকের লেখাটিতে চলে যাওয়া যাক। আমাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য যেমন আছে, ঠিক তেমনি করে কাজ বা অন্যান্য ক্ষেত্রে ও ভিন্নতা রয়েছে।
প্রতিদিনের মত আজও আমি বাংলাদেশ সময় ০৯:৩০ এ ঘুম থেকে উঠেছিলাম। ফ্রেশ হয়ে সকালের হালকা নাস্তা করে নিয়েছিলাম। যদিও কোনো ইচ্ছা ছিল না বাইরে যাওয়ার, তবে কি জানি হঠাৎ প্রস্তুত হয়ে বের হলাম।
উদ্দেশ্যে একটাই যে প্রকৃতির ছায়াঘেরা রাস্তাতে একটু হাঁটাহাঁটি। তবে হাতে ছাতাটা নিতে ভুল করিনি। কারণ রাস্তায় কিছু জায়গায় গাছের ছায়া নেই। যার ফলে সরাসরি সূর্যের প্রখর তাপ যেন শরীরকে আঘাত করে, এরকমটাই অনুভূতি হয়।
বেশ ভালো একটা শীতল স্পর্শ বৃক্ষ ছায়াতে। এভাবে মিনিট পাঁচেক হাঁটার পর আমাদের স্থানীয় ছোট্ট বাজারে পৌঁছালাম।
বাজারের কাছে যেতেই দেখলাম, ভ্যান গাড়ির ওপর ঝুড়িতে করে এক অপরিচিত "মামা" টাইগার চিংড়ি ও ছোট চিংড়ি মাছ বিক্রি করতে এসেছেন। এক প্রকার অবাকই হলাম এটা দেখে। কারণ আজ আমাদের এখানকার সাপ্তাহিক বাজারের দিন না।
এটা আমি দেখেছি আমাদের জেলা ও বিভাগীয় শহরে, বাড়ির সামনে ফেরিওয়ালার মতো করে মাছ ও সবজি বিক্রি।বেশ ভালো লাগলো মাছ বিক্রেতাকে দেখে। কারণ খাল বিল এখন শুকিয়ে চৌচির। কোথাও জলের দেখা নেই।
কিছু ঘেরে(বড় পুকুর, যেখানে মাছ চাষ করা হয়।) জল থাকলেও মাছ নেই। কারণ লবণ জলে সাদা মাছ গুলো মার যায়। অর্থাৎ মিষ্টি জলের মাছ আর দেখা যাচ্ছে না এখন। অন্যদিকে বাগদা, রেণু পোনা ও রুই-কাতল পুকুরে দেওয়ার সময় এখন।
চিংড়ি মাছের মূল্য জেনে একটু ভ্যাবাচ্যাকাই হলাম। আমি তাজা মাছ খেতে বেশি পছন্দ করি। তাই এই মাছের মূল্য আমার কাছে কিছুটা অবাক করার মতো মনে হচ্ছে। ছোট চিংড়ি মাছের মূল্য, প্রতি কেজি= ২০০৳(বি ডি)। টাইগার চিংড়ি মাছের মূল্য প্রতি কেজি=৩৫০৳(বি ডি)।
আসলে আমরা তো "মাছে-ভাতে বাঙ্গালি"। মূল্য যা'ই হোক না কেন; মাছ ছাড়া চলবেই না। আর এই সময়ে মাছ পাওয়াটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এই ফলটি আপনারা সবাই দেখেছেন বা খেয়েছেন কিনা; আমার জানা নেই। এটাকে ডেউয়া বলে আমাদের গ্রামে। ফলটি টক-মিষ্টি স্বাদযুক্ত।
ফলটির ভেতরে কাঁঠালের মতো দেখতে। ফলটিতে ভিটামিন "সি" আছে। আসলে অনেকেই না দেখতে পারেন ফলটি। কারণ গ্রামেও বিলুপ্তির পথে প্রায়। তবে ফলটি সামনে কখনো পেলে, টপ করে নিয়ে নিবেন।
পরিশেষে, এটাই বলবো যে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বাইরে এসে অনেক কিছুই দেখে নিলাম। যদিও স্মার্টফোন হাতে থাকা মানে, পুরো পৃথিবীটাই যেন হাতের মুঠোয়। তবে স্ব-চক্ষে দেখে অর্জন করা অভিজ্ঞতাটা বেশি কার্যকরী। ঘর থেকে বেরিয়ে পড়তে হবে, তাহলেই অনেক কিছু স্ব-চক্ষে দেখা/জানা সম্ভব।
¡Congratulations!
This post has been supported through the account Steemcurator06. for containing good quality content.
একদমই ঠিক বলেছেন,, পুরো বিশ্বকে দেখার সুযোগ থাকলেও! যদি আমরা নিজের স্বচক্ষে কিছু দেখতে পাই! সেটাই আমাদের সবচাইতে বড় পাওয়া! আমরা সেখানে অন্যরকম এক তৃপ্তি পাই।
আসলে চিংড়ি মাছ গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো! গতকালকে আমাদের বাড়িতেও এরকম একজন মাছ বিক্রেতা! ছোট ছোট চিংড়ি মাছ নিয়ে এসেছে বিক্রি করার জন্য! আমিও নিয়েছিলাম 200 টাকা করে! আপনি যেমনটা আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন।
উত্তপ্ত গরমে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ছাতাটা হাতে নিতে ভুলেনি! এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো!কারণ রাস্তার মধ্যে ছায়া থাকলেও! মাঝে মাঝে শরীরের মধ্যে সরাসরি সূর্যের আলো এসে পড়ে,,, এতে করে খুব খারাপ লাগে।
যাইহোক আপনি বাড়ি থেকে বের হয়ে বেশ আনন্দঘন একটা মুহূর্ত পার করেছেন! আর পরিশেষে যে ফলটির কথা আপনি বলেছেন ডেউয়া,, এটা আসলে আমাদের গ্রামেও পাওয়া যায়! আমাদের বাড়ির পাশেই একটা গাছ আছে! আমরা কালকে ওখান থেকে পেড়ে এই ফলটি খেয়েছিলাম।
যাইহোক আপনি উত্তপ্ত গরমে বেশ ভালো একটা দিন কাটিয়েছেন! এবং সেটা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন,,, এটা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো! অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
Amigo me imagino que el calor debe ser muy intenso en lo particular yo prefiero el frío en la zona donde vivo el clima es caliente pero cuando llega el tiempo de lluvia comienza a cambiar y hace un poco de frío.
La fruta que nos muestra primera vez que la veo, debe ser muy sabroso. Gracias por compartir tu día. Saludos y bendiciones.🤗