ঈশ্বরের সৃষ্টি মানুষ।
source |
---|
Hello Friends,
আজ আমি আপনাদের সাথে একটি শিক্ষনীয় গল্প ভাগ করে নিব। আশা করি গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। পুরো গল্পটা অবশ্যই মনোযোগের সাথে পড়তে হবে। তাহলে চলুন বন্ধুরা আমরা গল্পের দিকে চলে যাই।
বেশ আগের কথা, তখন মানুষ উন্নত প্রযুক্তির স্পর্শ পাইনি। একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন, উন্নত প্রযুক্তি যত আমাদেরকে সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, ততটাই আমরা যেন আমাদের সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যাচ্ছি।
source |
---|
ওই সময় এক সহজ সরল ব্যক্তি ছিলেন। যিনি সবসময় ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস রাখতেন । তার বেশ খারাপ সময় যাচ্ছিল। একদিন মন্দিরে ঈশ্বরের পূজা করতে গিয়ে, তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন বা মনের ভাব প্রকাশ করলেন। তিনি বললেন তার কেন এত খারাপ সময় যাচ্ছে। তিনি কারো ক্ষতি করেন না, বরং খুব বেশি পরিশ্রম করেন।
কিন্তু ঈশ্বরের কাছ থেকে কোনো উত্তর এলো না। ঈশ্বরের মূর্তি যেভাবে ছিল, ঠিক সেভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো। তিনি প্রতিনিয়ত ঈশ্বরের কাছে এই অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে থাকে। একদিন মনের ভাব প্রকাশ করার সময়, ঈশ্বর তাকে বললেন, "তুমি আমার জায়গায় একদিনের জন্য আসো, তবে কোনো কথা বলতে পারবে না। তোমার সামনে যা ঘটবে তুমি শুধু দেখবে।"
ঈশ্বরের অসাধ্য কিছুই নেই। যেমন কথা তেমনি কাজ। ওই ব্যক্তি ঈশ্বরের মূর্তিতে অবস্থান করলেন। প্রথমেই তিনি দেখলেন একজন ব্যবসায়ী পূজা করতে এসেছেন। তিনি ঈশ্বর কে বললেন, বেশ লাভ হয়েছে। তাই তিনি হাজার এক টাকা দক্ষিণা দিলেন। তবে মন্দির থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময়, তার হাতে থাকা টাকার ব্যাগটি মন্দিরের মধ্যেই ভুলে রেখে গেলেন।
এবার আর একজন মানুষ মন্দিরে প্রবেশ করলেন। তিনি শুধুমাত্র কিছু ফুল নিয়ে এসেছিলেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিলেন, তার খুব খারাপ সময় যাচ্ছে। টাকার অভাবে তার ছেলে কলেজে ভর্তি হতে পারছে না।
ঈশ্বরকে প্রণাম করে ফেরার পথে তিনি এই টাকার ব্যাগটি দেখতে পেলেন। খুব খুশি হলেন তিনি এবং ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। তবে মূর্তির মধ্যে থাকা লোকটির কিছু বলার উপায় নেই। ঈশ্বর কোনো কথা বলতে বারণ করেছিলেন।
এরপর একটি অল্প বয়সী ছেলে মন্দিরে প্রবেশ করল। তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন, তিনি বিদেশে যাচ্ছেন, একটু পর তার ফ্লাইট। তিনি যেন সুস্থভাবে পৌঁছাতে পারেন।
source |
---|
এই ছেলেটি মন্দিরে থাকা অবস্থায় প্রথম ব্যক্তি পুলিশ নিয়ে প্রবেশ করলেন মন্দিরে। ওই ব্যবসায়ী বললেন, আমি চলে যাওয়ার পর এই ছেলেটি এখানে এসেছে। অর্থাৎ আমার টাকার ব্যাগ এই ছেলেটির কাছে রয়েছে।
তখন মূর্তির মধ্যে থাকা মানুষটি আর চুপচাপ থাকতে পারলেন না। তিনি বলে উঠলেন যে এই ছেলেটি টাকা নেয়নি। তার পূর্বে আরো একজন মানুষ এই মন্দিরে এসেছিলেন তিনি টাকাটি নিয়েছেন।
ঐদিন সমাপ্ত হলো। পরের দিন ঈশ্বরের মূর্তিতে অবস্থান করা লোকটি, বললেন তিনি খুব ভালো একটি কাজ করেছেন। একটি নির্দোষ ছেলেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তখন ঈশ্বর বললেন, তুমি মোটেও ছেলেটিকে বাঁচাও নি বরং মেরে ফেলেছ।
তারপর ঈশ্বর বললেন, তুমি যদি তখন কথা না বলতে ছেলেটি বেঁচে থাকত। হয়তো পুলিশ কিছুক্ষণ তার সাথে কথোপকথন করতো। তারপর একটা সময় ছেড়ে দিত।
প্রথম ব্যক্তি একজন লোভী মানুষ। তাই তার টাকাটা ওই দরিদ্র মানুষের কাছে গেলে লোভী ব্যক্তির পাপের ভার কিছুটা হলেও কমতো। অন্যদিকে যে ছেলেটির বিদেশে যাওয়ার কথা, পথে তার বিমানটি ক্রাশ করেছে। অর্থাৎ ছেলেটি আর বেঁচে নেই। এটা শুনে মূর্তির মধ্যে অবস্থান করা লোকটি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেললেন।
আমি জানিনা আপনারা এই গল্পটিকে কিভাবে নিয়েছেন । তবে যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তার চিন্তাভাবনা আর আমাদের চিন্তা ভাবনা এক না। আর এটা মানতেই হবে যে ঈশ্বর যা করেন, আমাদের ভালোর জন্যই করেন।
আপনার লেখার একটি জায়গায় আমি গভীর চিন্তাই ডুবে গেছি, সেটি হল প্রযুক্তির কারণে যেমন আমরা সুবোধে পেয়েছি, তেমনি ভাবে আমাদের ঈশ্বরকে ভুলতে বসেছি। আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি।
খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
সৃষ্টিকর্তা পারেন না এমন কিছু নেই এই পৃথিবীতে! সৃষ্টিকর্তার কাছে আমরা যখন আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করি! তিনি কোন না কোন ভাবে আমাদের মনের আশা গুলো পূরণ করেন ঠিকই! কিন্তু আমরা কিছু সময় বুঝতে পারি,,, আবার কিছু সময় সেটাকে না বুঝে,,, সৃষ্টিকর্তাকেই দোষারোপ করি।
আপনার গল্পটি সত্যিই শিক্ষনীয় এই গল্প থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত! সৃষ্টিকর্তার উর্ধ্বে কিছুই নয়,,, কারণ তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন।
আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে আমি ছোট করবো না! আপনি খুবই সুন্দর একটা গল্প আমাদের সাথে উপস্থাপন করেছেন! যে গল্পের সারমর্ম অনেক বিশাল! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
আমাদের সৃষ্টিকর্তা সব করতে পারেন। আপনি খুব সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন যা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমরা সবাই জানি শুকরিয়ার সর্বনিম্ন স্তর হলো আল্লাহর নেয়ামতকে সঠিক স্থানে ও সঠিকভাবে ব্যবহার করা এবং আল্লাহর নাফরমানিতে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।এমন কোন প্রযুক্তি পণ্য বা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নেই।যেটা ইসলামের খেদমতে ব্যবহারযোগ্য নয়। তবে প্রতিটি জিনিসকে ভালো কাজেও ব্যবহার করা যায়, আবার মন্দ কাজেও ব্যবহার করা যায়। দোষ কিন্তু জিনিসের বা প্রযুক্তির নয়। বরং এখানে ব্যবহারকারী মূলতঃ দায়ী। যেমন টেলিভিশনের মাধ্যমে মন্দ ছবিও দেখ যায়, আবার সারাদিন ইসলামিক অনুষ্ঠানও দেখা যায়। লক্ষণীয় যে, প্রযুক্তিকে আমরা কোন কাজে ব্যবহার করছি সেটাই বিবেচ্য বিষয়। আমরা যদি প্রযুক্তিকে ইসলাম প্রচারের কাজে লাগাই তাহ’লে সব ধরনের প্রযুক্তিই কল্যাণের মাধ্যম হবে। আর যদি এই কথা বলে পিছিয়ে থাকি যে, এগুলো ব্যবহার করা হারাম। তাহ’লে এগুলোর সুফল থেকে জাতি বঞ্চিত হবে। সব নবী-রাসূলই তাদের যামানায় তৎকালীন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন এবং নিজস্ব ধর্মের প্রচার-প্রসার করেছেন। তাঁরা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করেছেন। আমরাও যদি প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করি তাহলে আমাদের সবার জন্য কল্যাণকর হবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন আপু