ঔষধি গুণসম্পন্ন থানকুনি পাতা।
Hello Everyone,
শুভ দুপুর, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনাদের আজকের দিনটি যে যার মত করে উপভোগ করছেন। আজ হঠাৎ থানকুনি পাতার বিষয়বস্তু মাথায় কাজ করতে শুরু করল।
তাই ভাবলাম আমার জানা তথ্যগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি। পৃথিবীতে একটা জিনিস আছে যেটা কখনোই কমে না বরং মানুষকে দিলে আরো বেড়ে যায়। আর সেটা হচ্ছে কোনো কিছু সম্পর্কে জ্ঞান।
আমি যে আসলে থানকুনি পাতা সম্পর্কে অনেক জ্ঞান রাখি এরকমটা না। তবে আমার জানা তথ্যগুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করে আমি আমার নিজের জ্ঞানকে আরো একটু প্রশস্ত করতে পারব বলে আমার মনে হয়।
থানকুনি পাতা সম্পর্কে সকলেরই মনে হয় জানা।সবুজ প্রকৃতির এক উপকারী অংশ। পাতাগুলো দেখতে গোলাকৃতির। ডগাটা চিকন, নরম ও রসালো।
অনেক গুনে গুনান্নিত এই থানকুনি পাতা। রান্নাতেও ব্যবহার করলেও তরকারির স্বাদ বৃদ্ধি করে। এদের বংশ বিস্তার অনেকটা কচু গাছের মনো।
কোন স্থানে এই গাছ জন্মায়?
একটু ছায়াযুক্ত স্থানে ভালো হয় থানকুনি পাতা গাছ। এটি লতার বেয়ে চলে। আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন যে এই থানকুনি পাতা এক এক জায়গায় তিন/চারটি পাতা থাকে।
আর এটা মাটির দিকের অংশে শিকড় ও থাকে। হাতের দুটো আঙ্গুলের সাহায্য নিয়ে আপনি শিকড়সহ তুলে নিতে পারেন।
পাতাগুলো আলাদা করে আপনি যদি শিকড়সহ অংশটুকু মাটিতে একটু যত্ন করে রোপন করেন, তাহলে সেখান থেকেই আপনি অনেক থানকুনি পাতা খাওয়ার জন্য পেতে পারেন কিছুদিন পরেই।
তবে সূর্যের আলো যদি সরাসরি সেখানে পড়ে, তাহলে একটু মুশকিল হবে। সবসময় চেষ্টা করবেন এই থানকুনি পাতা গাছের জন্য ছায়াযুক্ত স্থান নির্বাচন করতে।
থানকুনি পাতার উপকারী দিক:-
থানকুনি পাতা গাছ ঔষধি গাছ নামে পরিচিত। শুধুমাত্র এটার পাতা নয় গাছটির প্রত্যেকটি অংশ ঔষধি গুনসম্পন্ন। এখন আমরা এই থানকুনি পাতার কিছু উপকারী দিক সম্পর্কে জানব।
প্রতিদিন যদি কেউ এই থানকুনি পাতা খায়, তাহলে তার মাথার চুল থেকে শুরু করে সারা শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আমরা গ্যাসের সমস্যার সাথে প্রায় প্রতিটি মানুষ পরিচিত। অনেক সময় প্রয়োজনই হোক বা অপ্রয়োজনে আমরা অনিয়মে খাবার দাবার গ্রহণ করি। যার ফলে আমাদের অস্বস্তি বোধ হয় এই গ্যাসের জন্য।
সেই ক্ষেত্রে মিসৃর সঙ্গে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে যদি আমরা পান করি তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যায় এই গ্যাসের সমস্যা দূরীভূত হয়। আবার যদি তাৎক্ষণিকভাবে কাজ না হয় তাহলে একটা না ছয় সাত দিন এটা পান করলে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়।
আমরা অনেকেই ঋতু পরিবর্তন হওয়ার সময় জ্বরের প্রকোপে পড়ে যাই। এখানে তাৎক্ষণিকভাবে যদি আমরা থানকুনি পাতার রস পান করতে পারি তাহলে জ্বরের প্রভাব অনেকটা কমে যায়।
আমরা আমাদেরকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রত্যেকদিন খাবার খাই। তবে এটা আমাদের ও জানা যে প্রত্যেকটা খাবার যে শুধুমাত্র উপকার করে শরীরের জন্য তা কিন্তু না।
তাই প্রতিদিন যদি থানকুনি পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া যায় এই ক্ষতিকর উপাদান গুলো শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন কতটা উপকারী এই ক্ষেত্রে।
আমাদের মাঝেমধ্যেই ভিটামিন সি এর অভাব ও ঋতু পরিবর্তন জনিত কারণে কাশি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে থানকুনি পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যদি একবার খেলে কাজ না হয়, তাহলে একটা না ৫-৬ দিন খেলে সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাভ করতে পারি আমরা এই কাশির সমস্যা থেকে।
তাছাড়া আমাদের জিরো পরিচিত কিছু সমস্যা রয়েছে শারীরিক যেমন লিভারের সমস্যা, আমাশয় এই সমস্যা গুলো দূর করতে থানকুনি পাতার রস কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও আসলে অনেক গুণাবলী রয়েছে। আমার সেগুলো সঠিকভাবে জানা নেই। প্রকৃতপক্ষে থানকুনি পাতার সকল গুণাবলী আমি উল্লেখ করতে চাই তাহলে সারা দিনেও হয়তোবা শেষ হবে না।
সর্বশেষ একটি বার্তা আমি সকলকে পৌঁছে দিতে চাই। থানকুনি পাতা খুবই উপকারী আমাদের সব বয়সের মানুষের জন্য। এতকিছু মিশ্রণ করে খাওয়া হয়তো বা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তবে আমরা প্রতিদিন সকাল বেলা থানকুনি পাতা পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে চিবিয়ে খেতে পারি।
অনেক ধন্যবাদ সকলকে আমার লেখাটি মনোযোগের সাথে পরিদর্শন করার জন্য। থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আপনাদের কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
থানকুনি পাতা নয়! এর প্রত্যেকটা অঙ্গ আমরা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকি! বিশেষ করে আমাদের নোয়াখালীর ভাষায়,,, এটাকে আদামনি বলা হয়ে থাকে।
এই থানকুনি পাতা আমরা ভর্তা করে খাই! অথবা কেউ কাচা ভর্তা বানিয়ে খায়! আবার কেউ আলু সিদ্ধ করে,,, ভর্তা বানিয়ে খায়! এর ভর্তা অসাধারণ।
আপনি দেখছি আজকে থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে,, আমাদের সাথে অনেক কিছুই আলোচনা করেছেন! আপনার আলোচনার মধ্যে কিছু জিনিস আমার জানা ছিল! আবার কিছু জিনিস অজানা,,, অসংখ্য ধন্যবাদ এই অজানা তথ্যগুলো,,,,, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
যেগুলো জানতে পেরে বিশ্বাস করে আমি অনেক উপকৃত হয়েছি! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল,,,,ভালো থাকবেন।
#miwcc
ক্ষুদ্র পরিসরের জীবনের অনেক কিছুই থেকে যায় অজানার আড়ালে। প্রত্যেকটা উদ্ভিদই উপাকারি গুণসম্পন্ন । যা আমরা জানিনা বলেই উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয় না৷ ধন্যবাদ দিদি আপনাকে পোস্টের মাধ্যমে আমাদেরকে অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
#miwcc
থানকুনি পাতা মহাঔষুধ নামে পরিচিতি ৷ এই গাছের গুনাগুন অনেক বৃদ্ধি রয়েছে ৷ সহজেই কাজ করে থাকে এই থানকুনির পাতা ৷ এটি এলাকায় খুবই কম দেখা যায় ৷ তবে এই গাছের ব্যবহার প্রতিনিয়ত হয়ে থাকে কোন না কোন রোগের জন্য ৷
ধন্যবাদ দিদি থানকুনি ঔষুধি গাছ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম ৷
#miwcc
আমাদের বাড়ির আশেপাশে এই গাছের উৎপত্তি অনেক,,, এটি একটি ঔষধি গাছ হিসেবে কাজ করে এই বিষয়ে আমি জানতাম কিন্তু আপনি আমাদের মাঝে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
এই ঔষধি গাছ কোন রোগে কাজ করে তা আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে ক্লিয়ার হয়ে গেলাম,, এই ওষুধে গাছ গ্যাস নিরাময় হিসেবে এবং ব্যথার জন্য স্থানে লাগালে এটি নিমিষেই কমে যায়। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
#miwcc
You have made a beautiful post. This tree is really a very useful tree. A plant with medicinal properties. I didn't know much about this tree. Thank you for the information.