একটা পড়ন্ত বিকেল।

in Incredible India2 months ago (edited)
PhotoCollage_1719064182464.jpg

Hello Friends,
ঘড়ির কাটাতে সবেমাত্র বিকেল তিনটে, চিন্তা করলাম কিছুটা লেখা এগিয়ে রাখা যাক। কিন্তু শুরু করতেই ভীষণ ক্লান্তি অনুভব হচ্ছিল। তাই আমি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়েছিলাম। তবে আগে থেকেই মোবাইলে অ্যালার্ম দেওয়া ছিল তাই মিনিট বিশেক পরের অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভেঙ্গেছিল।

মা এবং বাবা ক্লান্ত বলতে বলতে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা। আমি অলসতা করেই বছর তিন হলো শরীর চেক আপ করাই না। সপ্তাহ খানেক আগেই মা আমার ড্রয়ারে তিন হাজার টাকা রেখে আমাকে বাইরে যেতে বলেছিল। তাছাড়া শারীরিক ক্লান্তির জন্য আমারো কিছু ইচ্ছে হয়েছিল। তবে পূর্ব থেকে কোনো প্রস্তুতি ছিল না।

IMG_20240622_194904.jpg

আজ মনে হয় ঘরে উঠতেই দিবে না মা ও বাবা তাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত না নিলেও আমি রেডি হয়ে বেরিয়েছিলাম। আবার আবহাওয়া ও ঠিক নেই মেঘ হলেই বজ্রপাতে যে কারণে মেঘ দেখে ও পড়ন্ত বিকেলে দূরে যাওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ।

আমি বাজারে পৌঁছে চায়ের দোকানে বসেছিলাম ইতিমধ্যে ইমনের নাম্বার থেকে কল এবং ইমন জানালো আমাকে নিয়ে খুলনা যাবে। এমনকি আগে থেকেই আমার বাবার সাথে ওর কথা ও হয়েছে এই বিষয়ে।

IMG_20240622_194248.jpg

আমি ও ইমন বেরিয়েছিলাম এবং মিনিট বিশেকের মধ্যেই কাটাখালী পৌঁছে ছিলাম। পথিমধ্যেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছিল। সেখানে হলো আবার একটা পুলিশের ঝামেলা। অবশেষে পুলিশ বিরক্ত হয়ে আমাদেরকে বলল যেন আমরা চলে যাই।

আমাদের দেশের প্রশাসন তখনই সঠিক হবে যখন আরো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সৎ হবেন। কারণ ইদানিং দুর্নীতি কমলেও আমার শৈশবে শুনতাম অনেকেই অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে। আমার মনে হয় শুরুটা যাদের অন্যায়ের পথে তাঁদের কার্যক্রম ও ঐরকমই হবে।

তবে বাইক আটক করার যৌক্তিক কারণ ও আছে। বর্তমানে গাঁজা সরবরাহকারীর হার অনেক বেড়েছে এবং পাশাপাশি আছে হরিণের মাংস। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে এবং আমাদের উচিত আদর্শ নাগরিক হিসেবে পুলিশের কাজে সহযোগিতা করা।

IMG_20240622_194737.jpg

আমরা রূপসা হয়ে ময়লাপোতা মোড়ে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়েছিলাম। কারণ নদীপথে অর্থাৎ ট্রলার পারাপারে এতো ভারী বাইক নিয়ে যাওয়া সঠিক মনে হয়নি। তাছাড়া বর্তমানে নদী উত্তাল এবং তখন জোয়ার ছিল।

HB এবং জন্ডিসের একটা পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন ছিল। আগে থেকেই সিরায়াল দেওয়া এবং আমার এক বড় বোন থাকার সুবাদে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই রক্ত দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছিল। তাঁরপর বড়বোনের সাথে একটু কথা বলেই আমি ও ইমন বেরিয়েছিলাম। রিপোর্ট পাওয়া যাবে আটচল্লিশ ঘন্টা পরে তাই আমরা আর বিলম্ব করিনি।

IMG_20240622_194053.jpg

ফেরারিপথে আমি এবং ইমন কাটাখালী পৌঁছে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম কিছু খাওয়ার জন্য। আমারো খিদে পেয়েছিল। খাবার অর্ডার করে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে শুরু করেছিলাম। তারপর খাবার শেষ করেই একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম অন্যবারের মতো পরিবহন থাকলেও মানুষের ভিড় নেই।

ইদের ছুটি শেষে সকলের কর্মক্ষেত্রে ফেরার সময় কিন্তু দেখে মনে অর্ধেক মানুষ হয়তো বাড়িতেই আসেনি। একদমই না , তবে মানুষের মনে এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্তমান বাজারের দ্রব্যমূল্যের জন্য আনন্দ নেই।

সত্যি কথা বলতে শুধু শিল্প কলকারখানা না বরং কৃষি কাজে জোর দেওয়া উচিত। পাশাপাশি মৎস চাষকেও প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ টাকা আছে কিন্তু শস্য এবং মাছ নেই তাহলে আপনি বা আমি কিভাবে সেটা পাবো। একটা দেশের অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে সেই দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও উৎপাদিত ফসলের ওপর।

তাছাড়া এটা আমরা সকলেই জানি যে অর্থনীতির একটা মজবুত ভীত আমাদের কৃষিজ পণ্য যেখান থেকে একটা বড় সাপোর্ট আসে। তাই শিল্প এবং কৃষিজ এই একটি গাড়ির উভয় চাকাকে সচল রাখার দায়িত্ব আমাদের ওপরেই বর্তায়।

আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।‌সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

২য়, ৩য় এবং ৪র্থ ছবি তিনটি আমি পূর্বে ও ব্যবহার করেছি। আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ ও ব্যস্ততার জন্য ছবি তোলা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

Sort:  
Loading...
 2 months ago 

আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, আসলে আমরা যদি কৃষি কাজের একটু বেশি নজর দেই তাহলে হয়তো আমাদের এই দ্রব্যমূল্যের দামটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই তাদের সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

অবশ্যই সঠিক ভাই, কারণ বস্তা বস্তা টাকা থাকলে খাদ্যশস্য যদি না থাকে তাহলে না খেয়েই থাকতে হবে। যেটা মানবকুলের বেঁচে থাকার জন্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা ও বটে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

আজকাল হঠাৎ করেই শরীর খারাপ হয়ে যায়। তবে আপনি সঠিক সময়ে নিজের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে নিয়ে বেশ ভালো কাজ করেছেন। কেননা অতিরিক্ত হলে তারপরে আবার অনেক বেশি সমস্যা হতে পারে। একদমই ঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ের গাজা সরবরাহকারীরা বাইক দিয়ে তাদের গাজা সরবরাহ করে থাকে। এটা করা মোটেও ঠিক না কিন্তু দেশের অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটা বিকেল সম্পর্কে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 months ago 

শারীরিক অসুস্থতা হঠাৎ করেই অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে। তবে আমার সমস্যাটা দীর্ঘদিনের যেটা আমি পূর্ব থেকেই অবগত ছিলাম। কিন্তু হয়তো নিয়মিত চেক আপ না করানোর জন্য সমস্যাই মনে হচ্ছিল। ধন্যবাদ, আমার লেখার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।

 2 months ago 

আপনার বিগত পোস্ট পরে জানতে পেরেছি, আপনি বেশ কয়েকদিন থেকে অসুস্থ এবং প্রতিদিন ওষুধ খাচ্ছেন। আসলে একজন সুস্থ মানুষেরও কিছুদিন পর পর শরীর চেক আপ করতে হয়।
আপনার বাবা এবং মা ও অনেক আগেই টেস্ট করতে বলেছিল। যাইহোক, আপনি টেস্ট করানোর উদ্দেশ্যে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়েছেন। আসলেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পরিচিত না থাকলে অনেক বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়।
তবে আপনার পরিচিত একজন থাকার সত্ত্বে খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে পেরেছেন।
আপনাদের দক্ষিণ অঞ্চলে হয়তো রিপোর্ট ৪৮ ঘন্টা পরে দিয়ে থাকে।
কিন্তু আমাদের উত্তরবঙ্গের রিপোর্ট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডেলিভারি দেওয়া হয়।

আশা করি আপনার রিপোর্ট গুলো ভালো আসবে।

 2 months ago (edited)

আপনাদের দক্ষিণ অঞ্চলে হয়তো রিপোর্ট ৪৮ ঘন্টা পরে দিয়ে থাকে।
কিন্তু আমাদের উত্তরবঙ্গের রিপোর্ট যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডেলিভারি দেওয়া হয়।

  • আপনার এই বিষয়টির সাথে আমি সম্পূর্ণ সহমত পোষণ করতে পারলাম না। কারণ এই দ্রুত রিপোর্ট দেওয়াটা সর্বদা ইতিবাচক ফলাফল দেয় না।পাশাপাশি কিছু পরীক্ষা তো আছেই যেটার জন্য অনেকটা সময় ধরেই অপেক্ষা করতে হয়।
  • আমার কাছে এই রিপোর্টের ক্ষেত্রে সময়ের থেকে সঠিক রোগ নির্ণয়টা গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
 2 months ago 

আপনি একদম যথার্থ বলেছেন, রিপোর্টের সময়ের থেকে সঠিক রোগ নির্ণয় করাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হ্যাঁ! এখানে একটা কথা অবশ্যই আছে। যেটা হয়তো আপনি এখনো জানেন না বা অবগত নন।
১.কিছু কিছু টেস্ট আছে যেগুলো কয়েক ঘন্টা পরে রিপোর্ট দেওয়ার নিয়ম। সেই হিসেবে দেওয়া হয়। তাহলে তো সেই হিসেবে দিনের রিপোর্ট রোগীরা দিনেই পেয়ে যাচ্ছে।
২.আর হ্যাঁ! এখানে আরো একটি কথা আছে, কিছু কিছু টেস্টের ক্ষেত্রে, যেগুলো আমাদের উত্তরবঙ্গেও একদিন, দুদিন, পাঁচদিন, এমনকি সাতদিন পর্যন্ত ও লেগে যায়।

আপনাদের খুলনা অঞ্চলে আমার বন্ধুরা চাকরি করে। আপনাদের ওদিকে রিপোর্ট ৪৮ ঘণ্টা পর দেওয়ার কারণটা কি, সেটা আমি ভালো করেই জানি। রোগীরা যেদিন স্যাম্পল দিয়ে থাকে, সেই দিনেই রিপোর্ট রেডি হয়। কিন্তু সেটা, সেই দিনেই না দিয়ে পরেরদিন মানে ৪৮ ঘন্টা পর ডেলিভারি দেওয়া হয়। এতে কোন সংকোচ বা কোন চাপ থাকে না। আশা করি, আমি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।
আর দোয়া করি, আপনার টেস্টের রিপোর্টগুলো যেন ভালো আসে।
আমার কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

 2 months ago 

এতে কোন সংকোচ বা কোন চাপ থাকে না। আশা করি, আমি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।

সহমত এখানে।

 2 months ago 

নিজের শারীরিক চেক আপ করতে বোধহয় বেশিরভাগ মানুষই অলসতা করে। অন্যেরটা ঠিকই করে। এই জিনিসটা আমার মাঝেও খুব ভালোভাবেই আছে।
পুলিশ বাইকগুলোকেই বেশি আটকায় রাস্তাঘাটে এটা আমিও খেয়াল করেছি।প্রশাসনে দুর্নীতিগ্রস্থ মানুষের যেমন অভাব নেই আবার তেমনিভাবে আইন ফাঁকি দেয়ার মানুষেরও অভাব নেই। দুটোই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। না হলে দেশ এগুবে না।
ভালো লাগলো আপনার লেখা পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময়।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60699.39
ETH 2655.06
USDT 1.00
SBD 2.59