চিংড়ি মাছ বাজারজাতকরণের পূর্ব প্রস্তুতি ও আমার সম্পৃক্ততা।
Hello Friends,*
এখন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে বারোটা, এতক্ষণে হাতের কাজ সেরে বসতে পেরেছি। কারণ এই মাত্র একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিং শেষ করে আসছি। ঐ যে ঈশ্বর যদি সহায় থাকেন তাহলে ঠেকায় কে? এই কথাটা কিন্তু আমরা সকলেই জানি। আমি এটা বিশ্বাস করি যে দক্ষতা, সততা, পরিশ্রম এবং একাগ্রতার মূল্যায়ন সর্বত্রই পাওয়া যায়।
যে কারণে বললাম, এই অনলাইন জগতে এসে অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি। কেউ কেউ ভালো অবস্থানে আছেন আবার কেউ কেউ ঠিক সেটার উল্টোটা। কারণ আমার শ্রদ্ধেয়া এডমিন মহোদয়া - দিদি একটা কথা বরাবরই বলেন যে সম্মান এখনো অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করা যায় না।
তবে আমি সত্যিই লাকি যে হয়তো কোনো ভালো কাজের জন্য দিদিদের সাথে থাকার সুযোগ পেয়েছি। আমি হয়তো ব্যক্তিগত কারণে পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি কিন্তু এই কমিউনিটি বা আপনজনের জায়গা দখল করা মানুষদের থেকে নয়।
যাইহোক, সুখবর হলো আজ অনলাইনে আমি একটা জায়গায় কর্তৃপক্ষ হিসেবে জয়েন করার proposal পেয়েছি। করা এবং না করাটা পরের বিষয় কিন্তু এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা অর্জন।
হয়তো thumbnail ও ওপরের লেখার সাথে আপনারা কোনো সাদৃশ্য দেখছেন না। আমি প্রথম ছবির কার্যক্রম নিয়েই লিখবো কিন্তু লেখা শুরু করতে বিলম্বের বিষয়টা মাত্র শেয়ার করলাম। পাশাপাশি, এটা যে অনলাইন না বরং অফলাইনে এমন অনেক কিছুই আছে যেটা করতে আমি ভীষণ পছন্দ করি।
এক কথায় এটা আমার জীবনধারাকে উপস্থাপন করে। পাশাপাশি, আমার কাছে কাজের প্রাধান্যটাও সবার আগে। এখানে আমি নারী-পুরুষ ভেদাভেদ যেমন খুঁজি না অন্যদিকে মানুষের মাঝেও বৈষম্য খুঁজি না।
যাইহোক, যদিও এখনে আমার যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না কিন্তু হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ায় রাস্তায় বেরোতেই এক ভাতিজা বাইকে করে মাছের আড়তে নিয়ে গিয়েছিল। আপনারা যারা বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য দেশে বসবাস করেন হয়তো চড়াও মূল্যে এই চিংড়ি মাছ ক্রয় করে খেয়ে থাকেন।
কিন্তু কখনো কি দেখেছেন কিভাবে বাজারজাতকরণের পূর্বে এটা রেডি করা হয়? নিশ্চয়ই অধিকাংশের উত্তরই না হবে। কারণ পৃথিবীর সকল দেশে চিংড়ি মাছের চাষ করা হয় না বা সেই সুব্যবস্থা ও নেই।
তবে এটা আমরা জানি যে কোল্ডেসটরেজ করে সবজি, ফল ও মাছ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে পরে সেটা বাজারে বিক্রি করা হয়। কিন্তু এটা তো লোকাল বাজার যে কারণে এই ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে না। আমরা যেখাবে প্রাথমিক কাজ করি সেইটা হলো; বাজারে থাকা বরফের কারখানা থেকে বড় বরফ খন্ড ক্রয় করে নিয়ে আসি। তারপর এটাকে শক্ত লোহার কোনো দন্ড দিয়ে ছোট ছোট করি। এই ছবিতেই আপনার কিছু বড় বড় বরফের টুকরো দেখতে পারছেন যেটা ভেঙে ভেঙে রাখা হয়েছে।
এটার সঠিক নাম আমার জানা নেই তবে এমন একটা পাত্র বা বক্স নির্বাচন করা হয় যেটাতে বায়ু প্রবেশের কোনো পথ থাকবে না। এমনি মাছ রাখার পূর্বে কিন্তু এক টুকরো বরফ ও এটাতে দেওয়া হয় না। প্রথমে কিছু পরিমাণে মাছ এবং বরফের ছোট ছোট টুকরো দেওয়া হবে সেইটার ওপরে প্রলেপের মতো করে।
এটার পরে বাকি মাছ সাজিয়ে পরিমাণ মতো বরফ দিয়ে পুরু একটা প্রলেপ দেওয়া হয়। এবার ঠান্ডা জল দেওয়ার পালা, কারণ এই ঠান্ডা জলটাও বরফের ন্যায় কাজ করে। এমন ভাবে বক্সের মুখ লাগানো হয়, এক কথায় বায়ু নিরোধক বক্স।
এই মাছ গুলো কোম্পানিতে দেওয়ার জন্য এভাবেই প্রস্তুত করা হয়। যে কারণে যখন বাইরের দেশে চিংড়ি মাছ রপ্তানি করা হয় তখন আর মাথা গুলো যুক্ত থাকে না। হয়তো মাথাসহ ও পাঠানো হয় কিন্তু মাথা ছাড়া ও একটা পদ্ধতি রয়েছে।
যেহেতু, নদীর দেশের নাগরিক আমি তাই মাছ ও নদীর সাথে সম্পৃক্ততা থাকবে না সেটা তো হতেই পারে না। যাইহোক, আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।