5th June is World Environment Day.
প্রিয় বন্ধুগণ,
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। আপনারা সবাই জানেন কি? আমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে বসবাস করি। পরিবেশ জীব জগতের জন্য অতীব জরুরি।
তাই বিশ্ব ব্যাপী এই দিনটি, উদযাপন করা হয়। এমনকি এই দিবসে, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়। কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর বর্তায় না , বরং এই দায়িত্ব গোটা বিশ্ববাসীর।
যদি আমর নদীর উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করি, সেখানের পরিবেশ এক রকম। যেমনঃ গরমের সময় গরম কম ও শীতের সময় শীত কম।
আবার যদি শহরাঞ্চলে বসবাস করি, তাহলে সেখানকার পরিবেশ আবার অন্যরকম। যেমনঃ নদী উপকূলীয় অঞ্চলের থেকে ভিন্নতা লক্ষনীয়। গরমের সময় গরম বেশি, আবার শীতের সময় শীত বেশি।
পরিবেশ কি?
পরিবেশ বলতে আমাদের চারপাশের অবস্থাকে বোঝায়। আমি বা আপনি যেখানে থাকি, সেই স্থানের পারিপার্শ্বিক অবস্থাই আমাদের পরিবেশ। যেমনঃ আমরা কোথাও ঘুরতে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, প্রচুর চেঁচামেচি,দুর্গন্ধ,ছোট ছোট শিশুরা নেশাগ্রস্ত।আপনার আপনা আপনি মুখে চলে আসবে যে ইশ্! কি খারাপ পরিবেশ।
আবার কোথাও গিয়ে দেখলাম, সেখানে বেশ শান্ত পরিবেশ, শিশুদের মধ্যে বিনয়ীভাব ইত্যাদি। তখন আমরা বলি বাহ্! চমৎকার একটি পরিবেশ।
আমি বইয়ের ভাষাতে পরিবেশের সংজ্ঞা উপস্থাপন করিনি। আমার নিজের অনুভূতি থেকে প্রচেষ্টা চালিয়েছি। আশাকরি আপনাদের ও ভালো লেগেছে।
পরিবেশের গুরুত্বঃ
পরিবেশের মধ্যে আবার ভাগ রয়েছে। তবে আমি পরিবেশের গুরুত্ব ভাগে ভাগে উপস্থাপন করব না।
যে স্থানে স্থলভাগের যে পরিমাণ বৃক্ষ থাকা প্রয়োজন,এটা যদি থাকে অবশ্যই সেই পরিবেশ জীবের জন্য উপযুক্ত।
পৃথিবীর এক মাত্র উপগ্রহ চাঁদ কিন্তু চাঁদে বায়ুমণ্ডল ও জীব বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ নেই। যার ফলে পৃথিবীতেই বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে মানুষের জীবন-যাপন।
পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান জল। তবে সব জল পান করার জন্য উপযুক্ত না।
একটা সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের উপর নির্ভর করে আমাদের শারীরিক অবস্থা/স্বুস্থ্যতা।
একটা সামাজিক পরিবেশ, একটি সমাজের শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রক।
দূষিত পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাবঃ
দূষিত পরিবেশের মধ্যে বসবাস করা জনজীবনে কখনোই স্বুস্থ্য-স্বাভাবিক ভবিষ্যত দিতে পারে না একটি শিশুকে।
একটি দেশ তার শিক্ষিত জাতি হারায়।
খারাপ পরিবেশে থাকা নাগরিক থেকে কোনো কিছু পাওয়া সম্ভব নয়। যার ফলে একটি দেশ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
খারাপ পরিবেশের জন্য দেশের অর্থনীতিতে তারা কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। যার ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হতে থাকে।
খাদ্য শৃংখল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পৃথিবী তার ভারসাম্য হারাচ্ছে। কারণ প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষ কেটে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে পরিবেশ থেকে যতটা কার্বো-ডাই-অক্সাইড শোষণ হওয়ার দরকার ছিল তা হচ্ছে না।
কিভাবে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব?
এই পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ করার দায়িত্ব আমাদের ওপর বর্তায়। আমরাও একটু চেষ্টা করলেই পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে পারি।
প্রথমত বাংলাদেশের গ্রামের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় অধিকাংশ মানুষ অসচেতন। পরিবেশের গুরুত্ব প্রথমে তাদের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। এটার জন্য প্রত্যেককে আমাদের বলার প্রয়োজন নেই। যেহেতু গ্রামে সামাজিক সংগঠনের একটা প্রবণতা রয়েছে। তাই সেখানে বসে এটা আলোচনা করলে প্রতিটি ঘরের, প্রতিটি সদস্যের কাছে পৌঁছানো সম্ভব।
- প্রথমত বৃক্ষরোপণ করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বিশেষ করে উন্নত প্রযুক্তির উচ্চ ফলনশীল ফল ও ফসল। কারণ এটা করলে মানুষের খাবারে চাহিদা সম্পন্ন করার পরেও আর্থিকভাবে তারা লাভবান হবে।
- ময়লা আবর্জনা যেখানে না ফেলে, নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। এটা পরবর্তী জৈব সার হিসেবে গাছের জন্য উপযুক্ত।
উপসংহারঃ
আমাদের ও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে পরিবেশ দূষণ এবং রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব।