সামাজিক বনায়নের গুরুত্ব।
Hello Everyone,
|
---|
আমার আজকের লেখাটিতে সকলকে স্বাগতম।
আমরা প্রত্যেকেই বর্তমান একটি অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে অবস্থান করছি। ঘর থেকে বাইরে যাওয়াটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হল কোথায় একটা আমাদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে এখানে।
প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব অনেকাংশে আমাদের ওপরেই বর্তায়। এবং সে ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এই সামাজিক বনায়ন।
কেন সামাজিক বনায়ন বলা হচ্ছে?
কারণ আমরা জানি যে "দশের লাঠি একের বোঝা।" আপনি বা আমি যখন গাগ লাগাই তখন সেটিকে বলা হয় বৃক্ষরোপণ। কিন্তু যখন আমরা একটি সমাজের মধ্যে যারা আবদ্ধ রয়েছি, একসাথে উদ্যোগ নিয়ে গাছ লাগাই তখন সেটিকে বলা হয় সামাজিক বনায়ন।
আসলে সামাজিক বনায়ন বলতে আবার এরকম কোনো কিছু বোঝায় না যেখানে কেউ জায়গা কিনে কাজ রোপন করলো। বরং আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন, আপনাদের এলাকাতেই রাস্তার দুই পাশে গাছ লাগানো রয়েছে।
এমনকি এই গাছের মালিকানা সম্পর্কে আপনারা জানেন না। আসলে রাস্তার পাশে লাগানো এই গাছগুলোই সামাজিক বনায়নের একটি অংশ।
এই গাছগুলো লাগানো হয় আমাদের সমাজের কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে। এই সামাজিক বনায়নের জন্য একটি নির্দিষ্ট কমিটি থাকে। যেখানে সভাপতি, সম্পাদক এবং কোষাধাক্ষসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ যুক্ত থাকেন।
অর্থ আমদানির উৎসঃ
আসলে এখানে সরকার কর্তৃক অনুদান প্রদান করা হয় এইসব উদ্যোগের জন্য।
কারণ এই বৃক্ষরোপণ করার জন্য বেশ কিছু শ্রমিক প্রয়োজন হয়। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিতে হয়। অন্যদিকে গাছের চারা নার্সারি থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসতে হয়।
তারপর কাজগুলো গরু এবং ছাগলে যাতে মুড়ে খেতে না পারে তার জন্য ঘিরে রাখতে হয়।
সামাজিক বনায়নের সুবিধাঃ
দিনমজুরদের অর্থনৈতিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
গাছ গুলো বড় হলে, গাছের অতিরিক্ত ডাল-পালা, স্থানীয় মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন স্বল্পমূল্যে ক্রয় করতে পারে। যেগুলো তাদের দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহার করতে পারে।
তাছাড়া ফল গাছ থেকে ফল পেতে পারে। অতিরিক্ত ফল বিক্রি করে অর্থ উপার্জিত হয়।
এই গাছগুলো দেখভাল করার জন্য প্রতিনিয়ত কিছু জনবল নিয়োগ রাখতে হয় এখানে। যার ফলে দেখা যায় কিছু মানুষের দীর্ঘস্থায়ী কর্মসংস্থান এবং কিছু পরিবার অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মুক্তি পায়।
সামাজিক বনায়ন রাস্তায় দুর্ঘটনা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি কোন গাড়ি তার ব্রেক ফেইল করে তাহলে গাছ তার গতিরোধ করতে সাহায্য করে। যার ফলে দেখা যায় প্রাণহানি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
এছাড়া গাছের অতিরিক্ত কাঠ ও অতিরিক্ত ফল বিক্রি করার পরে যে অর্থ আসে সেটা স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার হতে দেখেছি আমি। অবশ্যই সেটা তাহলে জনগণের কাজেই ব্যবহৃত হয়।
পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক বনায়নের ভূমিকাঃ
যেহেতু বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে এই সামাজিক বনায়ন কেটে ফেলা গাছগুলোর অভাব পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
একমাত্র গাছই পারে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে। অবশ্যই সামাজিক বনায়ন পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।
সামাজিক বনায়নের ফলে দেখা যায় ওই এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ অন্যান্য স্থানের তুলনায় ভিন্ন থাকে।
যেহেতু আমরা বর্তমানে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই অনাবৃষ্টিও অতিবৃষ্টির কিছুটা স্পর্শ লাগছে। কিন্তু আশেপাশের লক্ষ্য করলে দেখবেন যে স্থানে এই সামাজিক বনায়ন হয়েছে। স্বল্পপরিসরে জায়গা হল সেই স্থানের পরিবেশ আর আপনার স্তনের প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন।
পরিশেষে, একটি কথা বলতে চাই সবার উদ্দেশ্যে। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই। তাই যে যার সাধ্যমত গাছ লাগানো উচিত। আর এখনো পর্যন্ত যদি আপনার এলাকাতে সামাজিক বনায়নের স্পর্শ না লেগে থাকে তাহলে আপনি উদ্যোগী হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
আজ আর বিশেষ কিছু লিখছি না। আমার লেখাটি আপনাদের কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। সেই সাথে গাছ লাগাতে কে কে ভালোবাসেন অনুগ্রহপূর্বক মন্তব্যে জানাবেন।
আপু আপনার পোস্টের বিষয় হলো সামাজিক বনায়ন,,, আমি যুগপযোগী একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন,,,, বন আমাদের সবার রক্ষা যেমন দায়িত্ব তেমনি বন সম্পদ বৃদ্ধি করার ও আমাদের দায়িত্ব।
কথায় আছে গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান,,,আর গাছলাগানোর জন্য পরিবেশ এর ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব,,,, আমাদের বন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর কথা অনুযায়ী বাংলাদেশ এ বন এর পরিমাণ অনেক কম,,,,
সেজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত বেশি বেশি গাছলাগানো,,,,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য প্রদান করার জন্য।
প্রথমেই বলবো আপনি খুবই মূল্যবান একটা টপিক আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। আসলে সামাজিক বনায়ন বলুন,, বা আমাদের বাড়ির আশেপাশে যে বনগুলো রয়েছে। সেগুলোর গুরুত্ব বলুন,, সবচাইতে মূল্যবান,,, কারণ হচ্ছে,, আমরা এই বনয়নের মাধ্যমে যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি! ঠিক তেমনি আমরা লাভবান হচ্ছি! আমাদের অক্সিজেনের অভাবটা পূরণ করে।
একটা গাছ আমাদের জন্য কতটা উপকারী সেটা হয়তো বা যারা বনায়ন সম্পর্কে পড়াশোনা করে! বা গাছ-গাছাড়িই সম্পর্কে জানা আছে,,,, তারাই সবচাইতে বেশি বুঝতে পারে।
তবে আজকে আপনি খুবই মূল্যবান অজানা অনেকগুলো তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে আমি অজানা অনেক কিছু বুঝতে পারলাম,,, অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা টপিক আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল,,,, সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সবসময় ভালো রাখুক। এই কামনাটাই করছি ভালো থাকবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মতামত প্রকাশ করার জন্য।
সামাজিক বনায়ন আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ৷ রান্নার কাজ থেকে শুরু করে ঘর বাড়ির কাজে ব্যাবহার করা যায় এই গাছপালা ৷ গাছপালার জন্যই আমরা বেচে আছি তাই সামাজিক বনায়ন থাকা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ তাই বলা হয়েছে গাছ লাগান পরিবেশ বাচান ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সামাজিক বনায়ন নিয়ে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ আপনার মঙ্গল কামনা করি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।