আবারো শৈশবে ফিরে যাওয়া এক বিকেল।
Hello friends
কেমন আছেন সবাই? আমি কিন্তু খুবই ভালো আছি কারন কিছু সময়ের জন্য শৈশবে রয়েছি। বেশ কিছুদিন ধরে আমার বন্ধুমহল ও সঙ্গে আমি, পরিকল্পনা করতেছি এই বিষয়টা।
কিন্তু অবশেষে সফল হতে পারলাম না। তবে আমি ছেড়ে দেওয়ার মানুষ না। সর্মিকে নিয়ে মাঠে গেলাম। সাথে একটি ফুটবল। দুই তিন দিন হয়েছে আকাশে বেশ মেঘের আনাগোনা। তাই বেশ কিছুক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করলাম।
আমরা যখন মাঠের মধ্যে প্রবেশ করব, তখনই পথিমধ্যে দেখা হল এক ভাইয়ের সাথে এবং তার সাথে রয়েছে একটি ছোট বাবু। তাকেও আমরা আমাদের সঙ্গী হিসেবে নিয়ে এলাম মাঠে।
কারণ যেহেতু আমরা শৈশবে কাটানো সেই একটি বিকেল উপভোগ করতে ইচ্ছুক, তাই ছোটদেরকেও সাথে নিলাম।
শৈশবে থাকাকালীন এই বিকেল সময়টাতে আমরা প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন একসঙ্গে মিলিত হতাম। কখন যে গোল্লাছুট, দাড়িয়া বান্দা এই খেলাগুলো করতে করতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতো এটা বুঝতেই পারতাম না।
কিন্তু দেখুন সময় থেমে নেই। আর সেই বন্ধুরাও আর একত্রিত নেই। আজ আর ইচ্ছা হলেও সবাই একত্রিত হতে পারি না। সেই আনন্দ গুলো কেমন জানি জীবনের পাতা থেকে হারিয়ে গিয়েছে।
তবে চেষ্টা করলাম বেশ কিছুক্ষণ এভাবে উপভোগ করার জন্য। এরপর দৌড়াদৌড়ি করার পর বেশ ক্লান্ত লাগছিল, তাই মাঠের মধ্যেই একটি ডিপ-টিউব- অয়েল রয়েছে। আর ক্লান্তি দূর করার জন্য হাতমুখ ধুয়ে একটু সতেজ হয়ে নিলাম।
তারপর শহীদ মিনারের সামনের দিকে বসে কিছু ফটোগ্রাফি ধারন করলাম মুঠোফোনে। মোটামুটি বেশ মজাই হলো কিছুটা সময়।
তারপর শর্মিদের বাড়িতে গেলাম সন্ধ্যায়। আপনারা ফটোগ্রাফি তে দেখতেই পাচ্ছেন, বেশ ছোট খাটোর মধ্যে ভালোই খাবারের আয়োজন সন্ধ্যার জলখাবার হিসেবে।
আপেল, ডালিম ও শসা এবং এটার সাথে আবার দুধ কফি। একটু তড়িঘড়ি করেই সন্ধ্যার জলখাবারটা খেলাম। কারণ বাড়িতে পৌঁছাতে হবে, পড়াশোনার চাপ রয়েছে।
|
---|
সেদিন আমি, শর্মি ও শর্মির বড় বোন এবং আমার কয়েকজন পিসি ছিলেন, আমরা একসঙ্গে গোল্লাছুট খেলছিলাম। আমি বাইরের দলে এবং শর্মি ঘরের দলে অর্থাৎ বিরোধী পক্ষ।
শর্মি আমাকে ধরবে আর আমি তাকে ধরা দিব না এটাই স্বাভাবিক। আর এই অবস্থাতে তখন নিজেকে সামলাতে না পেরে আমি আমার সামনে অবস্থিত পুকুরের মধ্যে লাফিয়ে পড়ি।
তখন জানুয়ারি মাস, আর বুঝতেই পারছেন কতটা শীতের তীব্রতা। দৌড়াদৌড়ির জন্য শীতের কোনো অনুভূতি নেই এবং যেহেতু বিরোধী পক্ষের কাছে ধরা পড়া যাবে না তাই।
অন্যদিকে শর্মি ও নাছোড়বান্দা, আমাকে ধরবেই। আর এই মত অবস্থায় দুর্ভাগ্যবশত ও যখন পুকুরে লাফিয়ে পড়ে তখন একটি মোটা গাছের গুড়ির সাথে ধাক্কা লাগে মাথায়। আর পুকুরের মধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
তারপর সবাই তাড়াতাড়ি করে ওকে উপরে তুলেছিলাম এবং ডাক্তার ডেকেছিলাম। যাইহোক মোটামুটি বড় ধরনের কোনো বিপদ হয়নি। ডাক্তার এসে একটা ইনজেকশন পুশ করলেই মোটামুটি জ্ঞান ফিরলো।
|
---|
আমরা শৈশবে এতটাই উদ্দমের মধ্যে থাকি যখন কোনো বাধাই আমাদের কাছে বাধা মনে হয় না। তবে অতিরিক্ত এই উদ্যম বা উত্তেজনার জন্য শৈশবেই অনেকে শারীরিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
তবে শৈশবের এই যে কাটানো মুহূর্তগুলো এগুলো বর্তমানে আর দেখা যায় না। এক কথায় বিলুপ্তির পথে বলা যায়। যার ফলে হয়তোবা মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
আমরা যারা শৈশবে এভাবে সময় পার করেছি এদের মধ্যে যেন এক অন্যরকম বাঁধন এখনও রয়েছে। অনেকদিন পরে দেখা হলেও যেন সেই প্রত্যেকটি স্মৃতি বিজড়িত মুহূর্ত মনের মধ্যে প্রতিচ্ছবি হয়ে ভেসে ওঠে।
|
---|
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ও শৈশবের এই সময় গুলো কাটানোর সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এটা যেমন একটা শিশুর মেধা বিকাশে সহযোগিতা করে, ঠিক তেমনি ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি করে।
এই ভ্রাতৃত্ববোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা একা ভালো থাকলেই সেটাকে ভালো থাকা বলে না। বরং সবাই মিলে যদি আমরা মিলেমিশে ভালো থাকতে পারি সেটাকেই প্রকৃতপক্ষে ভালো বলা হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ সকলকে আমার লেখাটি পরিদর্শন করার জন্য। আশা করি এই দৃশ্য এবং লেখাটি আপনাদের প্রত্যেকের শৈশবের বিভিন্ন স্মরণীয় মুহূর্ত থেকে মনে করিয়ে দেবে।
আপনাদেরও যদি আমার মত কোনো স্মরণীয় ঘটনা থেকে থাকে শৈশবের, অবশ্যই লেখার মাধ্যমে সাথে ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করে আমাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিন।
আজ এখানেই বিদায় নিলাম। সকলের জন্য ঈশ্বরের কাছে সুস্থতা প্রার্থনা করি।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme8 |
Location | Bangladesh |
Shot by | @piya3 |
আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে বেশ ভালোই খেলাধুলা করেছেন। তার সাথে আপনার বন্ধুর জ্ঞান ও হারিয়ে ফেলেছে, আপনাকে ধরতে গিয়ে। আপনি তো দেখছি তাকে ধরা দেওয়ার কোনো নামই নিচ্ছিলেন না।
আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে আমি নিজেই শৈশবে হারিয়ে গিয়েছে। সে কথাগুলো না হয় আজকে আর বললাম না। আপনার পোস্ট করে খুবই ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফিক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে এভাবেই ছোটখাটো করে খেলাধুলার আয়োজন করা। বিকেল বেলা তাদের একটু ঘোরাঘুরি করতে নিয়ে যাওয়া। তাহলে কিন্তু শিশুর জ্ঞানের পরিধি যেমন বৃদ্ধি পায়। ঠিক তেমনি তারাও চারপাশের পরিবেশের সাথে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
হুম দিদি আপনার পোস্ট টি পড়ে আমার ও কিছু শৈশবকালের মূহুর্ত মনে পড়ে গেল ৷ ঐ দিন গুলো আসলে কোন ভাবেই ভুলার নয় ৷ যেটাই করেছি সেটাতেই আমরা অনেক আনন্দ করেছি ৷ বৃষ্টিতে ভেজা নদিতে গোসল করা পুকুরে গোসল করা মা লাঠি নিয়ে যেত এগুলা মনে পড়ে ৷
ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷
আপনার পোস্টটি পড়ে আমি একটা শিক্ষনীয় বিষয় পেয়েছি। আসলে ছোটবেলায় আমরা অনেক ধরনের খেলাধুলা করে থাকি, সেই খেলাধুলা করতে গিয়ে আমরা উত্তেজিত হয়ে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরি অনেকেই। ছোটবেলার কোন ক্ষতি হলে সেটা আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিহ্নিত হয়ে থাকে । যেমন আমি ছোটবেলায় একটা খেলা খেলতে গিয়ে, হাতে একটা বড় ধরনের চোট পাই।আর সেই চোটের চিহ্ন এখনো আছে। ভালো থাকবেন
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য প্রদান করার জন্য।
আপনার লেখা পড়ছি আর শৈশবে কাটানো মহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করছি। ধন্যবাদ দিদি, আপনার এই লেখার মাধ্যমে আমাদের শৈশবকে মনে করিয়ে দেবার জন্য।