সকলকে স্বাগতম আমার আজকের লেখাটি পর্যবেক্ষণের জন্য। আশা করি একটু হলেও ভালো লাগবে কারণ আমি আজ শেয়ার করতে চলেছি আমাদের পুকুর থেকে ধরা মাছ এবং সেই মাছ রান্না করার পরের অবস্থা।
আজ অনেকদিন পর আমাদের পুকুরে মাছ ধরতে গেলাম। মটর দিয়ে জল শুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য তা আর হয়ে ওঠেনি। ধৈর্যের বাঁধ এক সময় ভেঙে গেল।
তাই বাবাকে বললাম চলো জাল নিয়ে নেমে পুকুরের মধ্যে। যদিও বাবা একটু বিলম্ব করতে চাইছিল কিন্তু আমি আর বিলম্ব করতে দেইনি। কারন আমার হাতে একটু সময় কম ছিল অনেক ব্যস্ততা ছিল কাজের জন্য।
যাই হোক নেমে পড়লাম পুকুরে। ফটোগ্রাফারের অভাবে তখন আর ছবি তুলে ওঠা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কি আর করা দীর্ঘ সময় ধরে জাল ও হাত কাজে লাগিয়ে মাছ ধরলাম।
যেহেতু জলয একটু কমে ছিল, তাই কাদা আর জলে একাকার। সেই সাথে আমারও কাদা বেশ হাতে তুলে মাখানোর মতো অবস্থা। শরীরে কাদা মেখে একটা অন্যরকম অবস্থার সৃষ্টি।
জালে বেশ মাছ উঠছিল তাই তখন আর ঠান্ডার কথা মনে ছিল না। তারপর আমি আর বাবা ২ জন জলের মধ্যে নেমে পড়লাম। হাত দিয়ে মাছ ধরা শুরু করলাম জলের মধ্যে থেকে। প্রায় ২কেজির মতো বাগদা চিংড়ি ও ৪কেজির মতো গলদা চিংড়ি ধরলাম।
Device | Name |
Android | Realme8 |
Location | Bangladesh |
Shot by | @piya3 |
শেষ মুহূর্তে একটা দুর্ঘটনা ঘটলো। যখনই মাছে তুলে নিয়ে উঠে আসবো। ব্যাগের মধ্যে ছিল টেংরা মাছ। চাপ লেগে পায়ে ঢুকে গেল ট্যাংরা মাছের কাটা। যেহেতু ব্যাগের মধ্য থেকে ঢুকেছে তাই অনেক সমস্যা হচ্ছিল বুদ্ধি করে ভেঙে ফেললাম ওই অবস্থায় কাটা।
তার পর জলের উপরে এসে কোনোরকম টেনে কাটাটা বের করলাম পা থেকে। বেশ যন্ত্রণা হচ্ছিল ঐ মুহূর্তে। কোনরকম বাড়িতে চলে আসলাম আর স্নান করার আগেই ডাক্তার কাকুকে ফোন করলাম আসার জন্য।
স্নান শেষ করতে করতেই দেখলাম ডাক্তার কাকু চলে এসেছেন। তারপর একটা ইনজেকশন করলেন আর অস্ত্র ব্যবহার করলেন ঐ ক্ষতস্থানটিতে । ইনজেকশন দেওয়ার সাথে সাথেই যন্ত্রণা কমতে শুরু করলো।
Device | Name |
Android | Realme8 |
Location | Bangladesh |
Shot by | @piya3 |
তারপর মা ও স্নান সেরে মাছ কাটতে বসলো। আর কিছুটা কাটা হয়েছিল তখনই আমি এই ফটোগ্রাফিটি নিয়ে নিলাম।
Device | Name |
Android | Realme8 |
Location | Bangladesh |
Shot by | @piya3 |
রাতে মা রান্না করলো মাছ। বিশেষ করে আমার জন্য বড় বড় নরম বাগদা চিংড়ি আমি ধরে রেখেছিলাম। রাতে খাবারের সময় দেখলাম মা সুন্দর করে আলাদা করে রান্না করছে আমার জন্য।
আমার বড় রুই মাছ রান্না করছে থানকুনি পাতা দিয়ে। থানকুনি পাতা দিয়ে বড় মাছ রান্না করে খাওয়ার মজাটা কিন্তু অনেক। মাছ খাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ রইল সবার জন্য।
আজ এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার দেখা হবে অন্য কোনো টপিকের সাথে।