একটি দুপুর||ফটোগ্রাফি।
Hello Friends,
বর্ষাকাল মানেই যেন গ্রাম বাংলার পূর্ণাঙ্গ প্রতিচ্ছবি। বর্ষাকালে বর্ষা হবে আর কাঁদা থাকবে না সেটা তো হতেই পারে না। বৃষ্টির জন্য সকলেরই গৃহবন্দি অবস্থা প্রায়। আমিও সেই দলভুক্ত তবে দুপুরে ছাতা হতে বেরিয়েছিলাম ছবি তোলার উদ্দেশ্যে।
আমি বিগত একটি পোস্টেই নাম না জানা একটি ফুলের ছবি উপস্থাপন করেছিলাম। যে ছবিতে ফুল গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। কিন্তু আজ দেখলাম গাছের ফুলগুলো শুকিয়ে গিয়েছে এবং বৃষ্টির জলে চুপসে রয়েছে।
হাস্যকর হলেও সত্য এটাই যে আমি রং ভালো বুঝিনা। তবে পাশে ছিল এই চমৎকার রংয়ের জবা ফুল। যেগুলো দেখে আর বিলম্ব না করেই কয়েকটি ছবি মুঠোফোনে তুলে ফেললাম। আমাদের গ্রামে বেশ কয়েক প্রজাতি এবং রংয়ের জবা ফুল দেখা যায়। পাশাপাশি এই ফুল গুলো শুধু মাত্র বসন্তকালে না বরং বর্ষাকালের মাঝামাঝি সময়েও ফুটতে দেখা যায়।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই বাতাবি লেবু খাওয়ার থেকেও দেখতে অনেক ভালো লাগে। এটা কিন্তু বীজের গাছ না। আমার ঠাকুরদা বাজার থেকে হাইব্রিড বাতাবি লেবুর কলম ক্রয় করে লাগিয়েছেন। যে গাছে মাত্র এক বছরের মধ্যেই ফল দেওয়া শুরু করেছে এবং এই বাতাবি লেবুটাই এই গাছটির প্রথম ফল।
যদিও লবণাক্ততার কারণে ফলের গাছের পরিমাণ আমাদের এলাকায় কম তবুও মাটি দিয়ে উঁচু করে কিছু কিছু বাড়িতে সেই প্রতিবন্ধকতা ও জয় করা হয়েছে। যে কারণে ঋতুকালীন কিছু ফল গাছ ও ফল এখন আমাদের এলাকায় পাওয়া যায়।
হয়তো ব্যবসায়িক কোনো সুযোগ নেই এই ফলে কিন্তু পরিবারে থাকা সদস্যদের খাওয়া চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তবে এটার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এই ফল গুলো সম্পূর্ণই কোনো রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক মুক্ত। যে যেভাবে কারণে এটা স্বাস্থ্যসম্মত ও বটে।
নারকেল এমন একটি ফল যেটা একই সাথে আমাদেরকে অন্ন এবং জল দেয়। আবার নারকেল যখন অঙ্কুরিত হয় তখন এটার আরো একটি খাবার আমরা পাই যেটাকে আমাদের এখানে ফোড় ও বলে। আমি ছবি তোলার মূহুর্তেই দাদু ডেকে একটা এইরকম নারকেল হাতে দিয়েছিলেন যেটাতে ফোড় হয়েছিল।
শৈশবে অনেক খেয়েছি কিন্তু এখন এগুলো আর আগের মতো পাওয়া যায় না। শুকনো নারকেলের মূল্য অনেক সময় হ্রাস পায় যে কারণে মানুষ ডাব নারকেল বিক্রি করে দেয়। তবে আমাদের বাড়িতেই প্রতিবছর নারকেল রেখে দেওয়া হয় তেলের জন্য। তাই নারকেল ভাঙ্গার সময়ে এই ফোড় পাওয়া যায় অনেক।
আচ্ছা বলুন তো আপনারা, এভাবে শৈশবে স্নান করেছেন কি না। আমি কিন্তু এভাবে স্নান করেছি এবং শৈশবটা আমি খুব উপভোগ করেছি। আমি শুনেছি মা আমার শিক্ষকে বলছে যে আমি নাকি বাতাসে আগে থাকি। আমি শৈশবে ভীষণ চঞ্চল প্রকৃতির ছিলাম।
পাড়ায় আমার খেলার সঙ্গী ছিল অনেক। কতোবার কতোজনের সাথে ক্রিকেট 🏏 খেলতে গিয়ে মারধর করেছি আমার ও হিসেব নেই। তবে হ্যাঁ, সেই সময়টা ছিল অনেক মধুর। পাশাপাশি, আমার সেই শৈশবের বন্ধুরা এখো আমার কাছে ততোটাই গুরুত্বপূর্ণ।
এমনি আমি ও তাদের কাছে এখনো সেই শৈশবের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমি যে দিন stepdown এর পোস্ট করেছিলাম তাঁর দু'দিন পরে বিকেলে বাজারে গিয়েছিলাম। হঠাৎ একটি অটো আমাকে ধাক্কা দিতে যাবে ঐ মুহুর্তে বাজারে থাকা আমার কয়েকজন বন্ধু ঐ অটোটাকে টেনে ধরেছিল।
সত্যি কথা বলতে বিপদ কখন আসবে আমরা কেউই জানিনা। ঈশ্বর সহায় না থাকলে কারো সাধ্য নেই কিছু করার এটা আবারো প্রমাণিত। এমনকি ঐ অটো চালককে কয়েকটি চড় - থাপ্পড় ও লাগিয়ে দিয়েছিল বন্ধুরা। কারণ আমি একদমই রাস্তার পাশে ছিলাম যেখানে কোনো গাড়ি আসার কথাই ছিল না।
হয়তো ছবির বাইরেই কথা বলে ফেললাম কিন্তু কিছু সময় কিছু স্মৃতি মনে পড়ে যে গুলো উল্লেখ না করলে মনের ভাব অসমাপ্ত মনে হয়। যাইহোক, আমি ভেবেছিলাম আজ বড় পুকুরে স্নান করবো। কিন্তু আমার ভাইয়েরা পুকুরের জলের যে হাল করেছে আজ সন্ধ্যার আগে আর ঠিক হবে না।
আপনারা ভিডিওটি দেখলেই বুঝতে পারবেন যে পুকুরের জলের কি হাল হতে পারে। প্রতিযোগিতা ছাড়াই এক ভাই, পুকুরের এপাড় থেকে ওপাড়ে ডুব সাঁতার দিচ্ছিল।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
We support quality posts and good comments Published in any community and any tag.
Curated by : @solaymann
@solaymann,
ধন্যবাদ, আমার লেখাটি পরিদর্শন ও মূল্যায়ন করার জন্য। 🙏
আপনার দুপুরের তোলা ফটোগ্রাফি গুলি খুব সুন্দর লাগছে। জবা ফুলের ছবিগুলি আরো সুন্দর লাগছে। জবা ফুলের রংটা খুব সুন্দর। আপনার মত আমিও ছোটবেলায় ঐরকম শুকনো নারকেল খেতে খুব ভালবাসতাম। আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার দুপুরের পোস্টটি পড়ার পর লাস্টে ভিডিওটা খুব ভালোভাবেই দেখেছি আমার মনে হয় বাচ্চাদের সাথে এমন মজা করাটা ঠিক নয় কেননা দুর্ঘটনা ঘটতে বেশি সময় লাগে না।
যেভাবে এই বাচ্চাটাকে দুই হাত দুই পা ধরে মজা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে অথবা ছুড়ে মারা হয়েছে। এতে করে তার কানের ভেতরে দিয়ে পানি ঢুকতে পারতো অথবা অন্য কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো যাইহোক আমার কাছে এটা মনে হল যে অবশ্যই এমন দুষ্টুমি করা উচিত যাতে করে কেউ অসুস্থ না হয়ে পড়ে।