অনলাইন কাজের অভিজ্ঞতা।
source |
---|
Hello Friends,
আজ আমি আপনাদের সাথে অনলাইনের কিছুটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো যেটা হয়তো কারো কারো জন্য উপকারীই হবে। আমার শীর্ষকটাও সেভাবেই নির্বাচন করার চেষ্টা করেছি। আমি এবং আপনি সবাই যে কোনো কাজ যখন করতে শুরু করি তখন একটা অজ্ঞাত প্রত্যাশা কিন্তু মনের মধ্যে বাসা বাঁধে।
২৬সেপ্টেম্বর কি? এটা নিয়ে অনেক কৌতুহল যেখানে আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যমেও প্রচার প্রচারণা চলেছে। অথচ আপনারা জানলে অবাকই হবেন, কারণ আমাদের দেশে এটার কোনো স্বীকৃতি নেই। তথাপি এই তালমাতাল পরিস্থিতি, এটা কি বিভ্রান্তিকর নাহ?
আমরা পরিশ্রম যে যেভাবেই করি ফলাফলটা উত্তম প্রত্যাশা করি। আমিও এই দলভুক্ত, এটার বাইরে না। তবে একই সময়ে শুরু ও শেষ কেউবা নিচ্ছে মিলিয়ন টাকা আর কেউ বা নিচ্ছে দশ ডলার, পার্থক্য এটাই।
অনলাইনে উপার্জনের সবচাইতে যে জনপ্রিয় নাম আছে সেগুলো হলো:-
ক) Freelancing &
খ) Outsourcing
যদিও এটাকে বলা হয় আমাদের দেশের অর্থনীতির একটি স্তম্ভ কিন্তু সর্বসাধারণের এখানে উপস্থিতি বিরল। কারণ এই কাজ গুলো করতে একটু দামী ডিভাইস ও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কোর্স ও সম্পন্ন করতে হয়। আবার এটাকে পুঁজি করে কিছু অর্থলোভী মানুষ কাজ শেখানোর নামে মানুষ ঠকিয়ে অর্থ ও উপার্জন করছে। যে কারণে কিছু মানুষ তো ইচ্ছে করেই এটার নামও নেয় না।
বাকি যেটা বর্তমান সবচাইতে জনপ্রিয় সেটা হলো airdrop sector. যেখানে কাজের অনেক শ্রেনীবিভাগ আছে। আমি নিজেও airdrop sector থেকেই এখানে আসার সুযোগ পেয়েছিলাম এই জন্য আমি ঐ সকল মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ যাদের হাত ধরে আমার অনলাইনে পথ চলা শুরু হয়েছিল।
source |
---|
এই মুহূর্তে আমি আমার স্বল্প সময়ের অনলাইনে কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবো। যেখানে আমি দুইটি sector নিয়ে কথা বলবো।
ক) steemit com
খ) airdrop
➡️এইটা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম যেখানে ইউজার সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী অর্থাৎ নিয়ম মেনে যে যার প্রোফাইল পরিচালনা করতে পারে। এখানে কোনো কিছু লুকানো যায় না যে কারণে এখানে স্বচ্ছতা লক্ষনীয়। এটা যেহেতু, ব্লকচেইন পদ্ধতিতে চলে তাই এখান থেকে একজন সাধারণ ইউজার ও খুব সহজে নিজের account পরিচালনা করতে পারে।
উপার্জনের কথা যদি বলি এখানে তাঁরাই লাভবান হবে যারা তাদের ওয়ালেট ভারী করছে অর্থাৎ পাওয়ার আপ করছে প্রতিনিয়ত। পাশাপাশি এখানে এরকম কোনো বিষয় নেই যে বিনিয়োগ করতেই হবে। বরং বিনিয়োগ ছাড়া উপার্জনের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জীবনধারা সম্পর্কে ও জানা যায়।
সত্যি বলতে স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে যদি বলতে শুরু করি তাহলে শেষ করা সম্ভব না। কারণ আমি নিজেও এখানে যুক্ত হওয়ার পরে অনেক কিছু শিখেছি এবং এখনো শিখছি। এক কথায় অনলাইনে কাজ করার জন্য এটার থেকে উত্তম কোনো কাজ হয়তো পাওয়া সম্ভব না। তাই আমি সকল স্টিমিয়ান বন্ধুদের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ চালিয়ে যেতে বলবো।
➡️ এই sector এ বর্তমান সময়ে মাইনিং এর হাইপ চলছে আর সেই কারণেই কোটি কোটি মানুষের ভীড় সেখানে। যে কারণে সম্প্রতি একটা প্রকল্প থেকে স্বল্প পরিসরে পেমেন্ট দিয়েছে। এটাকে এক প্রকার স্ক্যাম ও বলা যায়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পটি মানুষকে অনেক পরিশ্রম করিয়েছে।
source |
---|
Airdrop Sector এ ভালো এবং খারাপ প্রজেক্ট বোঝার উপায়:-
✅ প্রথমত প্রজেক্ট ফান্ড দেখতে হবে।
✅ প্রজেক্টটা কিসের ওপর ভিত্তি করে চলছে সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না।
✅যে প্রজেক্টের কাজ গুলো কঠিন সেইটার দিকে ফোকাস রাখা উচিত।
✅ প্রজেক্টের পেছনে কে বা কারা বিদ্যমান।
✅ প্রজেক্টের পার্টনারশিপ স্বনামধন্য কোনো কোম্পানির সাথে থাকতে হবে।
✅ প্রজেক্ট Algorithm বা ডিজাইন ও গুরুত্বপূর্ণ।
✅ সম্পূর্ণ ভিন্ন ক্যাটাগরির প্রজেক্ট গুলো সাধারনত ভালো হয়।
✅রেফার কমিশন না রাখা প্রজেক্ট গুলো ভালো পেমেন্ট দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
✅Testnet এর যে প্রজেক্ট sepolia দিয়ে কাজ করতে হয় এগুলো L2 প্রজেক্ট। এগুলো মোটামুটি পেমেন্ট করে। অন্যদিকে L1 এর প্রজেক্ট পেলে সেটা ভুলেও মিস করা ঠিক না।
Eligible or Not Eligible:-
✅ বর্তমানে অধিকাংশ প্রজেক্টে Mother IP ধরছে যে কারণে not eligible হতে হয়।
✅ বিশেষ করে faucet বা main currency transaction করা প্রজেক্ট গুলোতে এই আই পি সমস্যা বেশি।
✅TestNet এ সর্বনিম্ন ষাটের বেশি transaction রাখতে হয়।
✅আই পি সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে মোবাইলে থাকা সিমের ডাটা ব্যবহার করাটাই উত্তম।
এগুলো সম্পর্কে আরো অনেক অনেক তথ্য আছে। তবে দিনশেষে স্টিমিটই উত্তম, কারণ এখানে নিজেকে তথ্যভান্ডারে সমৃদ্ধ এবং একজন স্টিমিয়ান হিসেবে সফলতা পাওয়া ও সম্ভব।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।