ক্যামেরা বন্দি একটি বিকেল।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা বন্ধুগণ,
আশাকরি, সকলেই ভালো আছেন। যদিও এতোটা স্বল্প সময়ের মধ্যে আবারও লেখা শুরুর কোনো সুযোগ হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু ঐ যে সবটাই ঈশ্বরের ইচ্ছে। আগের মতো গ্যালারিতে আর বিচিত্র দৃশ্য নেই কারণ ব্যস্ততার জন্য বাইরে একদমই যাওয়া হয় না।
সকালেই চিন্তা করেছিলাম কিছু ছবি সংগ্রহ করবো কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আর বাইরে যাওয়ার সময় করে উঠতে পারিনি। যাইহোক, কাজ শেষ করে ফ্রি হয়েই বেরিয়ে পড়লাম ছবি তুলতে। অথচ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যেন প্রকৃতি তাঁর সৌন্দর্য হারাতে বসেছে।
এইতো মাস খানেকের একটু বেশিই হয়তো হবে যখন রেমালের তাণ্ডবে সব হয়েছিল লন্ডভন্ড। আবার এই মাত্র হলো অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যা। তবে আমি আজ খুব আকর্ষণীয় কোনো ছবি হয়তো তুলে ধরছি না কিন্তু ছবিগুলো আপনাদের একটু হলেও ভালো লাগবে।
আজ অনেক দিন পরে বিকেলে আকাশের নীল রংটা চোখে পড়ল। পাশাপাশি ছিল ভেসে থাকা সাদা মেঘ। সবকিছু মিলিয়ে যেন অন্যরকম একটা সৌন্দর্য যেটা ছিল মনকে আকৃষ্ট করার মতো।
আমাদের দেশে স্থলভাগের পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলেও জনসংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। যে কারণে আকাশের ছবিটা মুঠোফোনে ধারণ করাটাও নিখুঁত ভাবে একটু কষ্টকর। বিশেষ করে নতুন নতুন ঘর ও আমাদের এলাকায় মুরগির খামারের অনেক ঘর এখন দৃশ্যমান।
এই দৃশ্যটাও একই স্থান থেকে আমি মুঠোফোনে ধারণ করেছি। যেখানে চেষ্টা করেছি যেন অন্যরকম কিছু ছবিতে দেখা যায়। আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখবেন এখানে একটি মুরগীর খামারের ঘর দেখা যাচ্ছে।
তাছাড়া এখানে সবচাইতে যেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে সেটা হলো জলের মধ্যে নীল আকাশে ভেসে থাকা মেঘের প্রতিচ্ছবি। আমি ক্যামেরাতে ধারণ করা এই ছবি একই সাথে দুইটি আকাশের দৃশ্য দেখছি যেটা আমার কাছে অনেকটা আকর্ষণীয় ও বটে।
গ্রামের বৃক্ষছায়ায় আচ্ছাদিত পথে হাঁটতে কে না ভালোবাসে। অন্যদের মতো আমিও ভীষণ পছন্দ করি এই সবুজের মধ্যে বিচরণ করতে যেখানে থেকে থেকে শোনা যায় পাখির কলকাকলি আবার মানুষ দেখে উড়ে পালানোর ক্ষণে ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ।
রাস্তার পাশেই আপনা-আপনি বেড়ে ওঠা তুলসি গাছ যেটা আমাদের সকলেরই পরিচিত। এই গাছ দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি উপকারী। একজন ধূমপানকারী যদি অন্যের পাশে বসে ধূমপান করে অনুরূপভাবে বসে থাকা মানুষটার ও ক্ষতি হয়। এই তুলসী গাছটা ও সেইরকম তবে উপকারের এটা।
অন্যান্য গাছপালা যেমন বিলুপ্তির পথে তেমনি এখন তুলসী গাছ ও যেন বিলুপ্তির পথে প্রায়। এখন আর শৈশবের মতো সকল বাড়িতে এই ঔষধি তুলসী গাছ দেখতে পাই না। শৈশবে কাঁশির জন্য এটাই ছিল আমার ওষুধ। পাশাপাশি, তুলসী গাছে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি ও আছে যেগুলো ওষুধি গুণাবলী ও ভিন্ন।
এই ফুলের নামটি আমার সঠিক জানা নেই এবং একটু অলসতা ও কাজ করছে, তাই আর গুগলে সার্চ করে দেখতে ও ইচ্ছে করছে না। যাইহোক, এই ফুল গুলো দেখতে অনেক ভালো। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের সকলেরই মনে ফুল বলতেই একটা মানসিক ভালো লাগা কাজ করে।
হঠাৎ এক খণ্ড কালো মেঘ ভেসে আসাতে চারপাশ যেন একটু অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে। পাশেই ছোট্ট একটি খাল আর পড়ন্ত বিকেলে আকাশে মেঘের সাথে দেখা যায় গাংচিল উড়ে যাওয়ার দৃশ্য। অন্য সময়ে সচরাচর গাংচিল কদাচিৎ অর্থাৎ দেখা যায় না বললেই চলে।
আকাশে ভেসে থাকা কালো মেঘের জন্য জলকরের জলের রংটাতে ও হঠাৎ পরিবর্তন। প্রকৃতি মূহুর্তের মধ্যে তার রূপ বদলাতে পারে যেখানে আমাদের কোনো কিছু করার ক্ষমতাই নেই।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। ছবি গুলো কেমন ছিল? আপনাদের অভিমত জানাতে ভুলবেন না।
Excellent photography and good to see you back. Be blessed always.
অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি। আমার পোস্টে আপনার মন্তব্যটাই আমার জন্য সেরা উপহার দিদি। ❤️
আবার আপনার পোস্ট পড়তে পেরে সত্যিই অনেক আনন্দিত। আপনার ফটোগ্রাফি আমার বরাবর ভীষন পছন্দের। বিশেষ করে আজকে শেয়ার করা আকাশের ছবি ও ফুলের ছবিটি আমার ভীষন ভালো লেগেছে। আকাশ দেখেই মনে হচ্ছে শরৎ কাল প্রায় এসেই পড়েছে, তাই আকাশের এমন সেজে ওঠা। ফুলগুলোর নাম আমারও অজানা। তবে বহুবছর বাদে দেখলাম।অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন। সাথে থাকবেন।
আপনাদের এই মন্তব্য লেখার আগ্রহটা অনেক গুন বৃদ্ধি করতে সবচাইতে বেশি দরকার দিদি। আমার ফটোগ্রাফি সার্থক কারণ কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে। ❤️❤️
অনেকদিন পর ভালো লাগা কাজ করলো আপনার পোস্টটি সামনে পড়ে। আমরা অনেকেই আপনাকে মিস করছি বিশেষ করে আপনার অসম্ভব সুন্দর ছবি ও আপনার লেখাগুলো।
আজকে আপনি পড়ন্ত বিকালের কিছু ছবি ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করছেন এবং সেগুলো আমাদের কাছে শেয়ার করছেন প্রতিটা ছবির ব্যাখ্যা আপনি ভালোভাবে দিয়েছেন আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে আপনার নাম অজানা ফুলের ছবিটা আমাদের এলাকায় এই ফুলকে পেজ ফুল ডাকা হয়। ধন্যবাদ দিদি আমাদের মাঝে আবার ফিরে আসার জন্য।