ডুঙ্কোর বিলুপ্তির পথে প্রায়।
![]() |
---|
কিছু ফল যেগুলো চাষ করা হয় না, কিন্তু মহামূল্যবান ও স্বাদের দিক দিয়ে অসাধারণ। ঠিক সেই ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফল হচ্ছে ডুঙ্কোর। যেটি আজ আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে চলে এসেছি।
বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে যারা রয়েছেন তারা হয়তো অনেকেই এই ফলটিকে চেনেন। তবে প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার জন্য এই ফল গাছটি বিলুপ্তির পথে প্রায়।
![]() |
---|
আজ সকালে আমার বাবা আমার জন্য এগুলো নিয়ে এসেছেন। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এগুলোর জন্য আমার বাবাকে কিন্তু উপহার দেওয়া লেগেছে আমার। এমন ভাবেই বলেছিলেন আমি বুঝতেই পেরেছিলাম যে আকর্ষণীয় কিছু একটা হয়তোবা আমার জন্য নিয়ে এসেছে।
যদিও এগুলো বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না এবং মহামূল্যবান ও কিছু না, তবে বাবার উপহার, তাই টাকা দিয়ে পরিমাপ তো করা যাবেই না।
![]() |
---|
এগুলো পেয়ে আমি যতটা না খুশি হয়েছি, তার থেকে বেশি খুশি হয়েছে আমার বাবা আমাকে এটা দেয়ার পর। এই ফলটি হালকা টক ও মিষ্টি স্বাদের। তবে এই গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করতে গেলে কাঁটার আঘাত সহ্য করতে হবে কিন্তু।
![]() |
---|
ডুঙ্কোর দেখতে লাল রঙের সকল আকৃতির ছোট্ট একটি ফল।
![]() |
---|
ফলটিতে পাঁচটি ড্র কাটা বা শিরা আকৃতি মতো রয়েছে।
![]() |
---|
ফলটির মধ্যে মরিচের বীজের মত ছোট ছোট কিছু বীজ থাকে। খাওয়ার সময় এই বীজগুলো ফেলে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই।
ডুঙ্কোর গাছের জন্য উপযুক্ত মাটিঃ
এই গাছগুলোর সাধারণত আর ছায়াযুক্ত স্থানে ভালো হয়। তবে সে স্থানের মাটি অবশ্যই উর্বর হওয়া লাগবে। সাধারণত আমি দেখেছি এই গাছের গোড়ার দিকের অংশের মাটি ভেজা থাকে সবসময়। স্যাতস্যেতে মাটি যেটাকে বলতে পারেন।
ডুঙ্কোর গাছকে ঘিরে স্মরনীয় ঘটনাঃ
ছোটবেলায় আমরা তিনজন ছিলাম সমবয়সী আমার এক দাদা ও একটা কাকু। আর বাড়ির পাশের আরো কয়েকজন ভাই বোন ছিল। ডুঙ্কোর সাধারণত বৈশাখ মাসের শেষের দিকে জৈষ্ঠ আষাঢ় এই তিন মাস পাওয়া যায়।
তবে আমাদের নিজেদের বাগানে গাছ না থাকার জন্য পাশে অন্য বাড়ির এক বাগানে আমরা এই ডুঙ্কোর ফল খেতে যেতাম। তবে মজার বিষয় হচ্ছে আমরা কিন্তু অধিকাংশ সময় চুরি করে খেতে যেতাম।
ওই বাড়িতে আমাদের বয়সী কেউ ছিলনা। তবে আমরা যেহেতু দলে বাড়ি ছিলাম তাই অর্ধেক ভাগাভাগি করে যেতাম। অর্ধেক পাহারা দিতে যেতাম বাড়ির লোকদের বেশি কিছুক্ষণ গল্প গুজব করতাম।
আর বাকি অর্ধেক যেতাম গাছের গাছে। যখন আমাদের মোটামুটি আত্মতৃপ্তি হতো, তারপর আমরা সেই অর্ধেক আবার যেতাম ওই বাড়িতে। আর দূর থেকে সংকেত দিতাম যে তোরা এখন যা।
এভাবেই পালাক্রমে চলত ডুঙ্কোর চুরির পর্ব। তবে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আমরা প্রত্যেকেই দুই একবার ডুঙ্কোর গাছের কাঁটার আঘাত সাদরে গ্রহণ করেছি।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। আগামীকাল আবারও দেখা হবে নতুন কোনো লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো ও সুস্থ থাকুন।
আসলে সত্যি কথাই বলেছেন ডুঙ্কো ফল বর্তমানে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তেমন একটা দেখা যায় না বললেই চলে। আপনার পোস্টে যে গল্পটা আপনি শেয়ার করেছেন, চুরি করে ডুঙ্কো ফল খাওয়ার। সেটা আসলে আমাদের ছোটবেলার গল্প ছিল।
ছোটবেলায় আমরাও এমনটা করতাম চুরি করে, সবাই মিলে এই ফল খাওয়ার চেষ্টা করতাম। আপনি দেখলাম আপনার পোস্টে এই ফলের গাছ রোপন করার, মাটির উপযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। যেটা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট এবং বিলুপ্ত প্রায়, এই ডুঙ্কো ফল সম্পর্কে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সবসময় ভালো রাখুক, সুস্থ রাখুক। এই কামনাটাই করছি ভালো থাকুন।
একেবারেই সঠিক বলেছেন আপু। আমার পোস্টটি আপনার মূল্যবান সময়ের অতিবাহিত করে পড়া ও তারপর সুন্দর মতামত প্রদান করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফল গুলোও নতুন দেখলাম তারপর এটা যে চাষ করা হয় না এটাও জানলাম ৷ সাথে আপনি এই ফলের উপযুক্ত মাটি এবং এই ফলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য সংক্রান্ত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি সৃষ্টিকর্তার কাছে ৷
আপনার মন্তব্য থেকে এটা বুঝতে পারলাম যে আপনি এই ফলটার সাথে পরিচিত নন। আশা করি এখন থেকে এই ফলটিকে আপনি দেখলেই চিনতে পারবেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আপু আপনি ডুষ্কর ফল নিয়ে বেশ কিছু মজার তথ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন,,,
এই ফলগুলো অনেকটা আমাদের গ্রামীণ অঞ্চলে বেশি হয়ে থাকেন,,, এই ফলগুলো আমি ছোটবেলায় টমেটো বলে চালিয়ে দিতাম,,,,
আপনি ডুষ্কর ফল নিয়ে বেশ কিছু মজার কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছেন,,, আপনার ছোটবেলার স্মৃতি বিস্মিত কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
এই ফল গুলো আমাদের বিটিতে বর্তমানে এখনো আছে,,, এই গাছ গুলো একদম ছোট ছোট হয়ে থাকে,,,
আপনাকে ধন্যবাদ দিদি বিলুপ্তি ফল আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য,,,
একদমই তাই ভাই কারণ আমরা যারা ডুঙ্কোর ফলটি চিনি, তাদের অবশ্যই কোনো না কোনো স্মৃতি এটাতে জড়িয়ে রয়েছে শৈশবের।
বেশ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মতামত ব্যক্ত করার জন্য।