কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও শস্যের/ফসলের বীজ বিতরণ।
![]() |
---|
সুপ্রভাত,
কেমন আছেন সবাই? আজ কৃষকদের প্রশিক্ষণ নিয়ে কিছু বিষয় উপস্থাপন করবো আপনাদের সাথে। তাহলে চলুন আমরা মূল লেখাতে চলে যাই।
গতকাল সকালে হালকা খাবার খাওয়ার পর একটু বাইরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে দেখলাম কৃষকদের সমাগম। হঠাৎ চোখে আসল চিরচেনা একটি মুখ মঞ্জু দিদি।
মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ এই দিদির সাথে। সেখান থেকেই পরিচয়। তিনি একটি কৃষি প্রজেক্টের আওতায় কর্মরত আছেন।
আমাদের গ্রামের নারী-পুরুষ সব মিলিয়ে প্রায় একুশ জনের মতো কৃষক নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। সবাই শস্য/ফসলের বীজ ও প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে এখানে মিলিত হয়েছে।
কৃষক কাদেরকে বলা হয়?
![]() |
---|
একটা দেশের যে নির্দিষ্ট জনসংখ্যা কোনো না কোনো উৎপাদনশীল কাজের সাথে সম্পৃক্ত, তাদেরকে বলা হয় কৃষক। ধরে নিলাম আমি আমার বাড়িতে শীতের সময় শীতকালীন সবজির বীজ বপন করেছি।
আমার পরিবার সেই সবজি পরিবারের খাবার হিসেবে খাচ্ছে রান্না করে। সেই ক্ষেত্রে আমিও একজন কৃষক।
কৃষকদের উদ্দেশ্যে কেন প্রশিক্ষণ করা হয়?
![]() |
---|
![]() |
---|
পৃথিবীর বা যেকোনো দেশের একটি নির্দিষ্ট আয়তন রয়েছে। সেখানে আবার কৃষি জমির পরিমাণ ও আলাদা। সারা বিশ্বের দিকে তাকালে দেখা যায় জনসংখ্যা ঠিকই বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু আবাদি জমির পরিমাণ বাড়ছে না।
যথাযথভাবে হিসাব করলে দেখা যাবে আবাদি জমির পরিমাণ বরং কমে যাচ্ছে। কারণ বৃদ্ধি পাওয়া জনসংখ্যার জন্য বসবাস স্থান প্রয়োজন হচ্ছে। প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য এটাই যে যতোটুকু আবাদি জমি আছে সেখানে দ্বিগুণ ফসল উৎপাদন করা।
কৃষি প্রশিক্ষণের গুরুত্ব।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য পৌঁছে দেওয়া।
একই জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন।
আবহাওয়ার প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি। কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য পুরাতন পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। কৃষকেরা এটা সম্পর্কে জানতে পারে।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকদের মাটি পরীক্ষা করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো। এটার ফলে একজন কৃষক সঠিক ফসল/শস্য বীজ জমিতে বপন করতে পারে। এটার জন্য অবশ্যই কৃষক এবং দেশ উভয়ই উপকৃত হয়।
সঠিক সময়ে সঠিক সার ও কীটনাশক জমিতে প্রয়োগ পরিমাণমত।
রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব সার ও বিকল্প কীটনাশক যেটা উপকারী ফসল ও পরিবেশের জন্য, এটা সম্পর্কে তথ্য প্রদান।
প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে শস্য বীজ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এটা খুবই কার্যকরী, কারণ কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না, এটা বিভিন্ন জরিপে প্রমাণিত। সুতরাং এই বিনামূল্যে শস্য বীজ একজন কৃষকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
কেন এতো সব পরিকল্পনা কৃষকদের জন্য?
আমরা বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাই। আর সেই খাবারের জন্য শস্য/ফসল উৎপাদনের সংগ্রামটা কৃষকেরাই করেন। যদি খাদ্য শস্যের ঘাটতি থাকে, তাহলে কোটি টাকা হলেও আমার খাবার পাবো না।
এক কথায় এটাও বলা যায় যে একটা দেশ নির্ভর করে সেই দেশের কৃষকদের ওপর।
আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। আগামীকাল আবারও দেখা হবে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে কৃষকদের নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। বিভিন্ন বিভিন্ন দেশে কৃষি থেকে যেমন আয়ের উৎস আছে।
ঠিক তেমনি বাংলাদেশ ও কৃষির উপর নির্ভরশীল এবং কৃষি থেকেও বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিবছর সংগ্রহ করে থাকেন। এর মধ্যে প্রধান ফসল হলো ধান গম আলু ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনি কৃষক ভাইদের সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং তাদের কৃষি কাজের উপর যত্নবান এবং দিক নির্দেশনা মূলক বেশ কিছু আলোচনা করেছেন।
আপনি কৃষক ভাইদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন এর সময় কি পরিমাণ কীটনাশক, কি পরিমান জৈব স্যার ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে কৃষক ভাইদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করেছেন সবাই মিলে।
আপনার সাথে আমিও সহমত কারণ একটি দেশের কৃষকদের উপরে নির্ভর করে থাকে কারণ তারা যদি ধান সরিষা গম এবং অন্য খাদ্য চাষ না করে তাহলে আমরা খাদ্য পেতাম না আমাদের কাছে টাকা পয়সা থাকলেও খাদ্য খুবি সংকট পড়ে থাকতো।
খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটা পড়ে খুবি ভালো লাগলো।
কথাগুলো অনেক বাস্তবধর্মী লিখেছেন দিদি আসলেই একটা দেশ নির্ভর করে কৃষকদের উপর কৃষকেরা ফসল উৎপাদন না করলে ফসল থেকে চাল হবে না চাল থেকে ডাল হবেনা এভাবে না হতে হতে বরং আমরা না খেয়ে মরবো।
বর্তমান দেশের অবস্থা প্রায় এই রকমের কাছাকাছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত মূল্যবান পোষ্ট ও কৃষি প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই।
ভালো থাকবেন।