কুমড়ো লতা।
Hello Everyone,
শুভ সন্ধ্যা,
কেমন আছেন সবাই? আজ হঠাৎ চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো এক লতায় ঘেরা বাগানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু একটু নজর দিতেই দেখলাম একটা কুমড়ো লতা(মিষ্টি কুমড়ো) গাছ।
একটুও যত্ন নেন না গাছ মালিক। কিন্তু ফল ধরলেই যতো আদিক্ষেতা। গাছটির এই বেড়ে ওঠা, আমার কাছে আকৃষ্টতা। আপনারা জানলে অবাক হবেন যে আপনা-আপনি বেড়ে ওঠা এই কুমড়ো গাছে আবার ফল বেশি হয়।
কুমড়ো গাছের জীবনকালঃ
কুমড়ো বীজ চব্বিশ ঘণ্টার মতো জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর খড়ের মধ্যে আটচল্লিশ ঘন্টার মতো রেখে দিলে, বীজ থেকে চারা গাছের ছোট মোড়ানো পাতা লক্ষ্য করা যায়।
তবে পূর্ব থেকেই জায়গায় প্রস্তুত করে রাখতে হয়। দো-আঁশ মাটি মিষ্টি কুমড়ো গাছের জন্য উপযুক্ত। একটি মাদাতে/ঝাড়ে কমপক্ষে দু'টি করে গাছ লাগাতে হয়। যেকোনো কারণে একটি গাছ মারা গেলেও আর একটি যথেষ্ট।
কুমড়ো গাছে ফুল ও ফল আসতে এক মাসের মতো সময় লাগে। তিন-চার মাস এই কুমড়ো গাছের জীবনকাল স্থায়ী হয়। কুমড়ো পাকা শুরু করলে এই গাছ দুর্বল হতে থাকে।
তারপর একটা সময় গাছ মারা যায়। কুমড়ো গাছ বছরের যেকোনো সময় রোপন করা সম্ভব। তবে বর্ষাকালে বেশি ভালো হয়।
সবুজ রং আমাকে সর্বদা আকৃষ্ট করে। তাই কুমড়ো লতা গাছের এই সবুজ পাতা গুলো আমার মুঠোফোনে ধারণ করতে একটুও বিলম্ব করিনি আমি।
এক একজনের দৃষ্টিভঙ্গি এক একরকম। ঠিক তেমনি আমার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে অন্যদেরটাও মিলবে না।
আপনারা কি শুধু পাতাতেই সীমাবদ্ধ?
- এটাই স্বাভাবিক, তবে আমি এই পাতাতেই সীমাবদ্ধ না। বরং এখানে আমি অনেক কিছু খোঁজার চেষ্টা করি।
স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
যেকোনো শাক শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকে, যেটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
এই শাকে যে উপকারী গুনাবলী রয়েছে, সেই তুলনায় বাজার মূল্য সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে। শাক দ্রুত হজম হয়। কুমড়ো শাক অন্যান্য শাকের মধ্যে অন্যতম।
কুমড়ো শাক অনেক সুস্বাদু। বিশেষ করে রান্নার পর এটার ডাটা চিবোতে ভারি মজা। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে প্রত্যেকদিন না হলেও মাসে কমপক্ষে একবার এই কুমড়ো শাক খাওয়া দরকার।
মিষ্টি কুমড়ো শাকে ভিটামিন -এ, বি-কমপ্লেক্স, সি, ই , পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ও ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ এই শাকটি আমাদের দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধক কোষ গঠন করে।
প্রতিদিন এই কুমড়ো শাক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
চোখে ছানি পড়াসহ চোখের রেটিনা কোষ গঠনে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বাড়াতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এই কুমড়ো শাক খুবই উপকারী।
শরীরের ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কুমড়ো শাক। যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত, তাদের জন্য এই কুমড়ো শাক খুবই উপকারী।
কুমড়ো শাক দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, বাতের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
যাদের উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই কুমড়ো শাক খুবই কার্যকরী।
অপকারিতাঃ
আসলে অপকারিতা আছে বলেই, উপকারিতার এতো মূল্য। তাই অতিরিক্ত যেকোনো কিছু শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই শেষ করছি। কেমন লাগলো? আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় থাকবো।
কুমড়ো ফুলের বয়স অল্প হলেও! আমরা কিন্তু এই সবজি থেকে অনেক ভিটামিন পাই! আর আমরা খুব সহজেই এটাকে,,,, রোপন করতে পারি।
আজকে আপনি কুমড়ো গাছ রোপন,,, এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে এত সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন! আসলে যেটা পড়ে আমি কুমড়ো গাছ সম্পর্কে,,, অনেক কিছু জানতে পারলাম।
তার সাথে আপনি অসম্ভব সুন্দর কিছু লতার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন! আসলে নতুন যে কোন গাছের যখন শাক বের হয়! তখন কিন্তু ওটা দেখতে অসাধারণ লাগে! যেমনটা আপনার ফটোগ্রাফি তে দেখতে পেলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ,,, এত গুলো তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য! তার সাথে এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি,,, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।