পোশাক শিল্প।
![]() |
---|
Hello Everyone,
কেমন আছেন সবাই? শীর্ষক দেখেই হয়তোবা আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে কোন বিষয়ে আমি আজ লিখবো। আসলে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পোশাকশিল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে রয়েছে।
আর তাই আজ সকাল সকাল মনে হলো এটা নিয়ে কিছু লিখি।
তাহলে চলুন বন্ধুরা, আমরা এখন মূল বিষয়ের দিকে যাই।
কেন পোশাক শিল্পকে আপনি বেছে নিয়েছেন লেখার জন্য?
অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। একটা দেশকে উন্নত বা অনুন্নত বলা হয় তার আভ্যন্তরিন অবস্থা বিচার বিশ্লেষণ করার পর। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বৈদেশিক মুদ্রার আশি শতাংশ আসে এই পোশাক শিল্প থেকে। সেই দিক বিবেচনা করলে দেখা যাবে যে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনে এই পোশাক শিল্পের অবদান সবচাইতে বেশি।
সবকিছু এভাবে ভাবতে গিয়েই আমার কাছে মনে হয়েছে এই পোশাক শিল্প সম্পর্কে কিছু লেখা যেতে পারে। এক কথায় আমার নিজের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করার জন্য আজকের লেখাটি।
পোশাক শিল্পে নারীদের ভূমিকা কি?
![]() |
---|
পোশাক শিল্পের কলকারখানা পরিদর্শন করলে দেখা যাবে নারীদের সংখ্যা অন্যান্য ক্ষেত্রের তুলনায় এখানে বেশি। অন্যান্য দেশের কথা আমি বলবো না। এটা শুধুমাত্র আমার দেশের ক্ষেত্রে।
অপ্রিয় হলেও এটা সত্য কথা যে কিছু ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে নারীদের হাতের স্পর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক সেরকম একটা ক্ষেত্র এই পোশাক শিল্প।
আমি পুরুষদের ছোট করছি না, তবে এটাই বাস্তব। একটা গাড়ির দুইটি চাকার একটি অকেজো হলে ঐ গাড়িতে আর কোনো কাজ হয় না। ঠিক তেমনি প্রতিটা ক্ষেত্র।
পোশাক শিল্পে নারীদের সুবিধা কি কি?
বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এখনো শিক্ষা ক্ষেত্রে সমতা আসেনি। তাই শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনো নারীরা পিছনে। সেই ক্ষেত্রে এই পোশাক শিল্পে বড় বড় শিক্ষাগত সনদ না থাকলেও কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে নারীদের।
একটি পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অর্থ উপার্জন করতে নিজেকে সামিল করেছে এই পোশাক শিল্পে।
বাংলাদেশে বেকারত্ব সমস্যা রয়েছে প্রকটভাবে। পোশাক শিল্পের জন্য বেকারত্ব দূর হয়েছে এই নারীদের।
অর্থ উপার্জনের জন্য একজন নারী হয়েছে সাবলম্বী। পরিবারের কাছে বোঝা না হয়ে উপার্জনক্ষম ভূমিকায় নিজেকে দাঁড় করিয়েছে।
পোশাক শিল্পে নারীদের অসুবিধা কি কি?
![]() |
---|
এতোক্ষণ অনেক অনেক কথা বললাম, তবে এখন বলবো খারাপ কিছু দিক।
প্রথমত নারীরা কঠোর পরিশ্রম করলেও দেখা যায় বেতনের সময়, ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত।
পোশাক শিল্প কলকারখানার পঁচানব্বই শতাংশ বেসরকারি বা তার অধিক। যার ফলে নারীদের বেতনের এই দাবিটাও কার্যকর হয় না।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও খারাপ ব্যপার হচ্ছে, নারীরা প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানির স্বীকার হয়।
অনেকে এটাকে হয়তো খারাপ ভাবে নিবেন। কিন্তু না এটাই বাস্তবতা। বাংলাদেশের সরকারি খাতে ত্রিশ শতাংশ নারী এই যৌন হয়রানির স্বীকার হয়।
যারা জানেন না তাদের জন্য এই তথ্য। তাহলে ভেবে দেখুন বেসরকারি খাতে কি হতে পারে!
কিভাবে এই সমস্যা গুলো দূর করা যেতে পারে?
- প্রথমত, নারীদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
- এরপর আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে।
- দেশের উন্নতির জন্য নারীদের অগ্রাধিকার ও সুযোগ দিতে হবে।
- প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক বিভাগের তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে।
- সরকারের ও এই ক্ষেত্রে আরো সোচ্চার হতে হবে। যদিও সরকার এটার জন্য যথেষ্ঠ পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
এই সমস্যা দূরীকরণে আর কি কোনো উপায় আছে? আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলো শিল্প খাত। এক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পের অবদান সবচেয়ে বেশি। এ খাত শুধু দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারকেই সমৃদ্ধ করেনি, একইসঙ্গে নিশ্চিত করেছে অগণিত মানুষের কর্মসংস্থান।
এছাড়া পোষাক শিল্পে মেয়েদের অবদানও অত্যাধিক। উদাহরণস্বরূপ বলা হয়েছে দুটি গাড়ির চাকা এর মধ্যে একটি চাকা অকেজো হলে যেমন কাজ করে না তেমনি মেয়েদেরকে অবহেলা করার কিছু নেই, বরঞ্চ মেয়েদেরকে সাথে নিয়ে এগোতে হবে।
পোশাক শিল্পের হাত ধরেই দেশের অর্থনীতিতে এসেছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকগুলোতে প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে সামনের সারিতে বাংলাদেশ। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে পোশাক শিল্প। দেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান এবং তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের ক্ষমতা বাড়িয়েছে এ খাত।তাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন আপু