বার্ষিক শিক্ষা সফরে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত।

in Incredible India3 years ago (edited)
GridArt_20230304_224019286.jpg

শুভ সন্ধ্যা, আজ সন্ধ্যায় একটু অবসরে থাকার জন্য লিখতে বসলাম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আমিও কিন্তু ভালো আছি।

আজ আপনার সাথে ভাগ করে নিতে এসেছি মায়েদের কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত বিশেষ করে আজও পাড়াগাঁয়ে যারা থাকে।

সাধারণত গ্রামের মায়েদের বিশেষ কাজ হচ্ছে তাদের সন্তানদের দেখাশোনা করা এবং গৃহস্থালির কাজকর্ম করা। কিন্তু যারা আবার বিভিন্ন চাকুরীর সাথে সম্পৃক্ত তাদের একটি বাড়তি কাজ হচ্ছে এই চাকুরী।

তাই দেখা যায় একেবারেই ঘর থেকে বেরোনো হয় না তাদের বিনোদনের উদ্দেশ্যে। হয়তো কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে শপিং করার জন্য বছরে এক থেকে দুইবার একটু বাইরে যাওয়া আর টুকটাক আত্মীয় স্বজনের বাড়ি ভ্রমন।

বর্তমান গ্রাম বাংলায় আরো একটা জিনিসের বেশ অভাব যেখানে যৌথ পরিবারের দেখা মেলে না। তাই দেখা যায় ইচ্ছা থাকলেও বিনোদনের মাধ্যমে হিসেবে আর একজনের সঙ্গ আপনি নেবেন এটাও সম্ভব না।

IMG20230302091054.jpg

বিরিয়ানি প্রস্তুত করা হয়েছে। আসলে বিরিয়ানি রান্না করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কারণ ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যাচ্ছে শিক্ষা সফরে/আনন্দভ্রমণে।

তবে একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে শিক্ষার্থী থেকেও মায়েদের সংখ্যা বেশি এই ভ্রমণে। এমনও অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যে মা ছাড়া চলতে পারে না আবার কিছু মারা রয়েছে তারাও তাদের সন্তানকে এভাবে ছাড়তে চায় না।

যেহেতু প্রাথমিক বিদ্যালয় তাই শিক্ষকরাও এতটা বেশি ঝুঁকি নিতে নারাজ। দেখা যায় সাথে অভিভাবক হিসেবে যদি মা থাকে তাহলে শিক্ষকদের আর এত চিন্তা করা লাগে না।

আমার বড় কাকুর দুই ছেলে এই শিক্ষা-সফরের মধ্যে আওতাভুক্ত। তাই খুব সকালবেলা কাকু আর কাকিমা আমাকে দেখতে পাঠিয়েছে ওইখানকার কি অবস্থা। কাকু কাকিমা সারা সপ্তাহ বাড়িতে থাকেন না একজন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অন্যজন প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক।

তাদের দুটি ছেলে সন্তান আমাদের কাছেই ছোটবেলা থেকে মানুষ এক কথায়। তাই দেখা যায় কোন কিছু হলে খুব কষ্ট হয় আমাদেরও। আমি সাধারণত খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি না কিন্তু ভাইয়েরা আনন্দ ভ্রমণে যাবে স্থলপথে। তাই খোঁজখবর নেয়ার জন্য উঠে গিয়েছিলাম।

IMG20230302091914.jpg
IMG20230302091618.jpg
IMG20230302091557.jpg
IMG20230302091359.jpg
IMG20230302090850.jpg

দেখুন ফটোগ্রাফি গুলোতে গাড়িতে ওঠার যেন প্রতিযোগিতা চলছে। মনে হচ্ছে এদেরকে রেখেই চলে যাবে হয়তোবা যদি এরা দ্রুত গাড়িতে না উঠে বসে।

রাস্তায় গাড়ির সামনে ঢল নেমেছে মা ও শিক্ষার্থীদের। সেহেতু প্রাথমিক বিদ্যালয় তাই বেশি দূরত্ব নির্ধারণ করা হয়নি, একটু কাছাকাছি স্থানীয় নির্বাচন করা হয়েছে।

আমাদের খুলনা বিভাগের মধ্যেই, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান। শিক্ষার্থীদের শরীরের কথা বিবেচনা করে শিক্ষকগণ বমির ওষুধের ব্যবস্থা রেখেছেন। কারণ দেখা যায় পথিমধ্যে এই বমিরজনিত সমস্যা দেখা দেয় অনেক শিক্ষার্থীর।

IMG20230304204120.jpg

এই ফটোগ্রাফিতে রয়েছে আমার বড় কাকুর বড় সন্তান অর্থাৎ আমার ছোট ভাই। তার ভ্রমণ সংক্রান্ত অভিব্যক্তি প্রকাশ নিজ ও কানে না শুনলে আপনারা অনুভব করতে পারবেন না আনন্দের কি পর্যায়ে পৌঁছেছে।

বছরে বিদ্যালয় থেকে একবার এই ভ্রমণে যাওয়া হয়। এটা প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যায় একঘেয়েমি পড়াশোনা করতে করতে একটি মানসিক ক্লান্তি চলে আসে।

এই ভ্রমণটা যেমন নতুন নতুন জিনিস সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে অর্থাৎ জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, ঠিক তেমনি মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে ও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আমার মনে হয় শুধুমাত্র শিক্ষার্থী বা শিক্ষকগণ নয় প্রত্যেকেরই বছরে এক দুইবার মানসিক আত্মতৃপ্তির জন্য বাইরে ঘুরতে যাওয়া উচিত। দেশের বাইরে যাওয়ার দরকার নেই প্রত্যেকটি দেশে কিছু কিছু আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে।

কারণ একটু দূরত্বে যেতে হলে বা দেশের বাইরে যেতে হলে অর্থনৈতিক একটা ব্যাপার রয়েছে। তাই সাধ্যের মধ্যে সবারই যাওয়া উচিত এটা যেমন মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ঠিক তেমনি প্রতিটা মানুষের জন্য জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক।

আনন্দ ভ্রমন বা শিক্ষা সফর সম্পর্কিত আমার অভিব্যক্তি আমি মোটামুটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারাও আপনাদের মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে ভুলবেন না।

ছবিগুলো ধারন করা হয়েছিল আমার নিজস্ব মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে।

DeviceName
AndroidRealme8
LocationBangladesh
Shot by@piya3
Sort:  
Loading...
 3 years ago 

আসলে শিক্ষা সফরে যাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত গুলো। আমাদের কাছে সবচাইতে মূল্যবান একটা মুহূর্ত হয়ে থাকে। সেই সময় সবার মধ্যেই এক অন্যরকম উত্তেজনা কাজ করে। নতুন একটা জায়গায় ঘুরতে যাবে খাওয়া-দাওয়া করবে। সবাই মিলে আনন্দ করবে বিষয়টা আসলেই অসাধারণ।

যাইহোক আপনার পোস্ট পড়ে এবং আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে। সবাই মিলে বেশ ভালোই আনন্দ করেছে, শিক্ষা সফরে ঘুরতে গিয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

 3 years ago 

শিক্ষা সফরে যাওয়ার আগ মুহুর্ত এক ধরনের উত্তেজনা তৈরি হয়, আগাম কল্পনায় মেতে ওঠে। কিভাবে যাবো৷ কার সাথে সময় কাটাবো, কী কী দেখবো, কী কী খাবো ইত্যাদি বিষয়ে আগাম পরিকল্পনা হয়। অনেক ভালো লাগে।

খুব ভালো লাগলো আপনার শিক্ষা সফরের বিষয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 3 years ago 

এই ভ্রমণটা যেমন নতুন নতুন জিনিস সম্পর্কে জানতে সহায়তা করে অর্থাৎ জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, ঠিক তেমনি মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে ও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আমার মনে হয় শুধুমাত্র শিক্ষার্থী বা শিক্ষকগণ নয় প্রত্যেকেরই বছরে এক দুইবার মানসিক আত্মতৃপ্তির জন্য বাইরে ঘুরতে যাওয়া উচিত

আপনি কথাটি সঠিক বলেছেন।মানসিক শান্তির জন্য হলেও বাইরে ঘুরতে যাওয়া উচিত। আর ওরা তো ছোট মানুষ ওরা যদি বাইরে একটু ঘুরতে যায় ওদের খুবই ভালো লাগে। তাই বছরে একবার হলেও ওদের ঘুরতে নিয়ে যাওয়া উচিত। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি। আমাদের এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।

 3 years ago 

আমাদের সকলের উচিত কাজের মাঝে বা পড়াশোনার মাঝে একটু বিনোদন করা। তাহলে আমাদের মন সতেজ তাকে এবং মন প্রফুল্ল হয়। ফলে আমরা যে কাজই করি তা ভালোভাবে করতে পারি।

আপনার ছোট ভাইয়েরা পড়াশোনার ফাঁকে আনন্দ ভবনে যাচ্ছি। এতে তাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে। আর আমরা কোন কাজ একটু আগেই করতে চাই যদিও তার অনেক সময় থাকে। আগে করলে মন খুব আনন্দিত হয়। আপনার ফটোগ্রাফি যদি দেখা যাচ্ছে সবাই দৌড়ে দৌড়ে বাসে উঠতেছে। এরা তাদের জন্য অনেক আনন্দদায়ক মুহূর্ত।

সর্বোপরি বলতে চাই আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.11
TRX 0.33
JST 0.032
BTC 118351.54
ETH 4111.57
USDT 1.00
SBD 0.75