নতুন অভিজ্ঞতা।
![]() |
---|
Hello Friends,
কেমন আছেন সবাই? বন্ধুরা আজ অনেক সমস্যার মধ্যেও পোস্ট লিখতে বসেছি। এখন বাংলাদেশ সময় রাত এগারোটা, যদিও আগেই মোবাইলটা হাতে নিয়েছিলাম লেখার জন্য কিন্তু বাম হাতে হঠাৎ যেন শিরায় টান লেগেছিল। তাই কিছুক্ষণ অপেক্ষা তারপরেই লেখা শুরু করেছি।
আজ একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা ও শিক্ষনীয় বিষয় আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে চলে এসেছি। এমনকি এই বিষয়টা আমাদের প্রত্যেকের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ ও বলা যায়।
সত্যি কথা বলতে দিনলিপি লিখতে লিখতে যেন প্রতিদিন নিজেকে অনেকটা রোবট মনে হচ্ছে। প্রতিটি লেখাতে একই রকমের কার্যক্রম যেটা বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে।
বাজার থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ ক্রয়ের অভিজ্ঞতা নেই এমন মানুষ বিরল। তবে বাড়িতে ফিরে দেখলেন বাজারের থলেটা ফাঁকা, তখন কেমন লাগবে?
চিন্তার বিষয়, অনুরূপ একটা ঘটনা আজ ঘটেছে আমার ভাইদার সাথে। ভাইদা অর্থাৎ ঠাকুরদা না আমি আমার জ্যাঠাবাবুর ছেলেকে ভাইদা বলে ডাকি। ভাইদা আমাদের বংশের আমাদের ভাই-বোনদের সকলের থেকে বয়সে বড় তাই ছোটবেলা থেকেই ভাইদা বলে ডাকি আমরা সকলেই।
![]() |
---|
যাইহোক, ঘটনাতে ফিরে আসি। আমার জ্যাঠাবাবুর একমাত্র সন্তান আমার ভাইদা। তাছাড়া আমার জ্যাঠাবাবু অবসর প্রাপ্ত একজন শিক্ষক ও শারীরিক ভাবে সৌখিন একজন মানুষ। এক কথায় বলতে পারেন তিনি একজন আরামপ্রিয় মানুষ। তাই ভাইদা আরো ৬/৭ বছর আগে থেকেই বাজারে যাতায়াত করে অর্থাৎ ভাইদার ওপরেই পরিবারের প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ ক্রয়ের দায়িত্ব।
আমি আবার সকালেই বাজারে গিয়েছিলাম খাসির মাংস আনতে। যখন বাড়িতে ফিরে জামাকাপড় পরিবর্তন করে চেয়ারে বসেছি তখন ভাইদা বাইক নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেছে। হঠাৎ আমাকে ডেকে একটি থলে দেখালো যেটার নিচের অংশ মনে হচ্ছে কেউ ব্লেট দিয়ে কেটে দিয়েছে এবং থলের সবকিছু নিয়ে নিয়েছে।
ভাইদা বলল যে সে ইলিশ, কলম্বসহ আরো কিছু মাছ এই থলেতে রেখেছিল কিন্তু এখনই চোখে পড়লো থলে ফাঁকা। আমি তো না জেনেই চেঁচামেচি শুরু করেছি আমার ভাইদার থলে থেকে মাছ নিবে কার এত্তো বড় দুঃসাহস!
![]() |
---|
তখন ভাইদা আমাকে মাথা ঠান্ডা করতে বললো এবং বললো যে বাইকে করে আসার সময় ঝাঁকুনি লাগতে লাগতে হয়তো মাছগুলো পথেই পড়ে গিয়েছে। ওহ! বিষয়টা তখন আমার মাথায় এসেছে। কি আর করা এতো টাকার মাছ কিন্তু ভাগ্যে নেই।
ঘটনার কারণঃ
➡️ বাজারের থলেটা অনেক পুরনো এবং এক প্রকার ব্যবহার যোগ্য না। যে কারণে এই ঝাঁকুনিতেই ছিড়ে গিয়েছিল।
➡️ কোথাও যাওয়ার পূর্বে প্রয়োজনীয় উপকরণ ঠিকঠাক আছে কিনা সেটা চেক না করার জন্য হতে পারে।
➡️ বন্ধুর প্রকৃতির রাস্তায় যে কোনো গাড়িতেই ঝাঁকুনি খেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই গাড়ির গতি বেশি থাকার কারণে হতে পারে।
সতর্কতা:
➡️বাজারে যাওয়ার পূর্বে আমাদের থলে বা পাত্র চেক করে নিতে হবে। এমনকি এমনভাবে চেক করতে হবে যেন বাজারের ওজনটা সহ্য করার ক্ষমতা থাকে ঐ নির্দিষ্ট থলে বা পাত্রের।
➡️ পথের দূরত্ব বেশি হলেও অসুবিধা নেই কারণ বন্ধুর পথ এড়িয়ে যাওয়াটাই উত্তম।
➡️বাজার থেকে ফেরার পথে বাজরের থলের দিকে নজর রাখতে হবে।
আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি। তবে আপনাদের বাস্তব জীবনে এইরকম কোনো ঘটনা থাকলে অবশ্যই জানাবেন।
আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে অনেক বিষয়ে তথ্য জানতে পারলাম। আসলে রাস্তা পথে জার্নি করার সময় অবশ্যই আমাদের সতর্কতা মেনে চলতে হবে। না হলে আপনার জেঠাতো ভাইয়ের মতো অবস্থা হতে পারে।
বিশেষ করে মোটরসাইকেলে রাস্তাঘাটে চলার সময় অনেক ঝাকুনি হয়। যদি কোন জিনিস সাথে থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা ভালোভাবে লক্ষ্য রেখে গাড়ি চালাতে হবে।
সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাই সঠিক বলেছেন। একটু সতর্কতাই এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে আমাদের বিরত রাখতে পারে। নচেৎ বাজার থেকে এতো মাছ ক্রয় করার পরেও খাবারের পদে মাছ পাওয়া যাবে না।
ধন্যবাদ ভাই, আমার লেখাটি পড়ার পরে আপনার অভিমত ব্যক্ত করার জন্য।
বাজার থেকে ফেরার পথে এরকম জিনিস খোয়ানর অভিজ্ঞতা মনে হয় কম বেশি প্রিটি ছেলের জীবনেই আছে, যেমন আই একবার তরমুজ কিনে আনার পথে সেটা রাস্তায় পড়ে গুরা হয়ে গিয়েছিল। আপনি একদম ঠিক বলেছেন, বাজার থেকে জিনিস কিনে সেটি যে ব্যাগে করে আনা হবে তা ঠিক আছে কি না আগেই যাচাই করা উচিত।
এ বাবা, সে কি আপনার সাথেও তাহলে এই দূর্ঘটনা ঘটেছিল। পছন্দের বাজার যদি বাড়িতে ফিরে দেখা হয় নেই তখন যে কেমন লাগে সেটা যার বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে তিনিই একমাত্র বলতে পারেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।