Better Life with Steem | The Diary Game | Friday, November 10, 2023 | Meet My Wife after 2 Months

হ্যালো স্টিমিয়ান্স, বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো শুক্রবার, নভেম্বর ১০ তারিখ দিনটি আমি কেমন ভাবে কাটিয়েছি।

সকালে আমাকে ৭ টার মধ্যে উঠে পড়তে হয় কারণ গারবেজ নিতে লোক চলে আসে। তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে এক কাপ চা আর নিউজপেপার নিয়ে বসলাম। চা খাওয়া আর পেপার পড়া হয়ে গেলে আমি মার রুমে গেলাম। মা যেহেতু গত তিন বছর ধরে শয্যাশায়ী, তাই মার সব কাজ আমাকেই করে দিতে হয়। মাকে ফ্রেশ করিয়ে তারপর চা, বিস্কুট খাওয়ালাম।

এরপর আমি আমাদের দুজনের জন্য পাস্তা বানালাম এবং দুজনে একসাথে খেলাম সকাল ৯টা নাগাদ। এরপর গ্যাসে ভাত বসিয়ে দিয়ে আমি ঘরদোর পরিষ্কার করার কাজে হাত দিলাম। আজকে সব কাজ তাড়াতাড়ি করতে হচ্ছে কারণ দুপুরবেলায় শ্বশুরবাড়ি যেতে হবে ভোটার কার্ডের ফর্মে আমার স্ত্রীর সই নিতে।

ও সন্তানসম্ভবা আর এই সময় ওর শারীরিক অবস্থার কারণে এখানে আসতে পারবে না। যাইহোক বেলা ১২ টার মধ্যে মাকে স্নান করিয়ে গতকালের মাছের ঝোল ছিল, তাই দিয়ে ভাত খাওয়ালাম। তারপর ওষুধপত্র খাইয়ে মাকে ঘুমাতে বললাম। তারপর আমি নিজে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।

আমি দুপুর ১ টার মধ্যে বাঘাযতীন স্টেশনে পৌঁছে গেলাম আর ট্রেন ১০ মিনিটের মধ্যে চলে এলো।

দুপুর ২ টো ১০ মিনিট নাগাদ আমি বহড়ুতে পৌঁছলাম। এটি জয়নগর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আর এখানকার জয়নগরের মোয়া বাংলা তথা ভারত বিখ্যাত। এই নিয়ে পরে একদিন বিস্তারিত লিখবো।

এখন স্টেশন রোড ধরে শ্বশুরবাড়ির দিকে চলেছি। গ্রামবাংলার এই প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ আমরা কোলকাতার মানুষরা খুব মিস করি।

এটা বহড়ুর একমাত্র শ্মশান আর এখানে এখনও কাঠের চুল্লীতে শবদাহ করা হয়।

আজ প্রায় ২ মাসেরও বেশী সময় বাদে আমার স্ত্রীর সাথে আমার দেখা হলো। মাকে একা রেখে এখানে আর আসা হয়ে ওঠে না। আমার শ্বশুর, শাশুড়ি আর শালী এই সময় আবার পুরীতে গেছেন। ওনারা রবিবার ফিরবেন। আমার কাকি-শাশুড়ি আমার জন্য চিকেন বিরিয়ানী করেছিলেন। উনি খুব কম মশলা আর কম তেল দিয়ে বিরিয়ানী বানিয়েছিলেন আর খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিলো।

বিরিয়ানী আর মিষ্টি খেয়ে এবং স্ত্রীকে দিয়ে সইসাবুদ করিয়ে এবার আমার ফেরার পালা। আমার কাকি-শাশুড়ি আমার রাতে খাওয়ার জন্য বিরিয়ানী প্যাক করে দিয়েছেন। মাকে নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে,বেশ কয়েক ঘন্টার জন্য একা রেখে এসেছি।
বিকেল ৫ টার মধ্যে আমি বাড়ীতে ফিরে প্রথমেই মার ঘরে যাই আর দেখি মা তখনও অঘোরে ঘুমাচ্ছে। দেখে আমার যেনো ধড়ে প্রাণ ফিরে এলো। এরপর আমি সন্ধ্যে দিয়ে এক কাপ চা করে স্টিমিটের জন্য একটা পোস্ট লিখতে বসলাম।

আমার পোস্ট স্টিমিটে আর ডিসকর্ডে শেয়ার করে সবে আমি হ্যাঙ্গআউট জয়েন করতে যাবো, এমন সময় প্যাথোলজি ল্যাব থেকে ফোন আসে যে মার ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট রেডি আর ল্যাব বন্ধ হবার সময় হয়ে এসেছে। আমি কোনোমতে ল্যাব বন্ধ হবার আগের মুহূর্তে মার ব্লাড টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে আসতে সমর্থ হই।

ততোক্ষণে রাত ১০ টা বেজে গেছে। তাই মাকে খাইয়ে আর ওষুধপত্র দিয়ে আমিও খেয়ে নিলাম। ডিনার হয়ে যাবার পর আমি স্টিমিটের কয়েকটা পোস্ট পড়ে তারপর ঘুমাতে চলে গেলাম।

এই ছিলো আমার শুক্রবারের দিনচর্চা। আজকের মতো বিদায় বন্ধুরা। আবার কথা হবে খুব শীঘ্রই।