Better Life with Steem || The Diary Game || May 5, 2024 (7 Photos)
Image edited by Adobe |
---|
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ৫ই মে’র কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকাল সাতটার সময় আমার ঘুম ভেঙে গেলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবর্জনা সংগ্রাহক কাকা আমাদের বিল্ডিং এর গেটের সামনে চলে আসলো। আমি আর দেরি না করে ওনার গাড়িতে ময়লার প্যাকেট ফেলে দিয়ে ঘরে ফিরে আসলাম। তারপর যথারীতি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে আমি খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।
খবরের কাগজ পড়া হয়ে গেলে আমি দরজা-জানলা ভালো করে লক করে দিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাঘাযতীন স্টেশনের দিকে রওনা দিলাম। আজকে আমার শ্বশুরবাড়িতে এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠান আছে, সেই জন্য যাওয়া, নইলে আজকে আমার শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার একদমই ইচ্ছে ছিল না। এখন আমি হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি বিয়ের আরেক নাম কম্প্রোমাইজ আর অ্যাডজাস্টমেন্ট।
যাই হোক সকাল সাড়ে নটার মধ্যে আমি বহড়ু স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। স্টেশন থেকে আমার শ্বশুরবাড়িতে যেতে পায়ে হেঁটে ১০ মিনিটের মতো সময় লাগে। শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে ঘরে ঢুকে দেখি আমার মেয়ে ঘুমের মধ্যে মিটিমিটি হাসছে। দেখে আমার মনটা ভরে গেলো। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আমার মেয়ের জ্বর এসেছিল এবং সেই কারণে আমি যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আজকে ওকে সামনে থেকে দেখে আমি দুশ্চিন্তামুক্ত হলাম।
আমি যেহেতু বাড়ি থেকে ব্রেকফাস্ট করে আসিনি তাই আমার যথেষ্ট খিদে পেয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে আমি শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছানোর ৫ মিনিটের মধ্যে আমার স্ত্রী আমাকে খাবার পরিবেশন করলো। আজকে ও আমার জন্য চিকেন চাউমিন বানিয়েছিল। ব্রেকফাস্ট করার পর আমি এক কাপ চা খেলাম। তারপর আমি দোতলায় চলে গেলাম পোশাক পরিবর্তন করতে। এরপর আমি নিচে নেমে এসে মেয়ের সাথে বেশ কিছুক্ষণ খেলা করলাম এবং আমার স্ত্রী এবং শালীদের সাথে গল্প করলাম।
“দুপুর” |
---|
দুপুর একটার সময় আমি দোতলায় চলে গেলাম স্নান করতে। তারপর স্নান করে নিয়ে নিচে চলে আসলাম এবং সকলের সাথে বসে লাঞ্চ করলাম। আজকে লাঞ্চে খুবই হালকা খাবার রান্না করা হয়েছিল যেহেতু রাতে আমাদের সকলের নিমন্ত্রণ রয়েছে। লাঞ্চ হয়ে যাবার পর আমি আমার স্ত্রী এবং মেয়ের সাথে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নিলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার স্ত্রী এবং মেয়ে তখনও ঘুমাচ্ছে। আমি ওদের আর জাগালাম না। পোশাক পরিবর্তন করে নিয়ে আমি শ্বশুরবাড়ির এলাকায় হাঁটতে বের হলাম। প্রথমে আমি রাস্তার চায়ের দোকান থেকে এক কাপ চা খেলাম। তারপর আরও বেশ কিছুক্ষণ সময় ঘোরাঘুরি করার পর একটা পানা পুকুরের ছবি তুলে নিয়ে আমি শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসলাম।
“রাত” |
---|
রাত নটার সময় আমি, আমার স্ত্রী এবং দুই শালী বিবাহবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগদান করলাম। আমার স্ত্রী এবং শালীরা সন্ধ্যে সাতটা থেকে সাজাগোজার পর্ব শুরু করেছিল যেটা রাত নটায় গিয়ে শেষ হলো। অনুষ্ঠানস্থল যেহেতু আমার শ্বশুরবাড়ির মাঠ, সেইজন্য দেরি হওয়ার কোনো চাপ ছিল না। প্রবেশদ্বারে আমার শালী, আমার আর আমার স্ত্রীর বেশ কিছু ছবি তুললো। তার মধ্যে একটা ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
এরপর যে কাকুর বিবাহবার্ষিকী তার বাবার সাথে অর্থাৎ আমরা যাকে দাদু বলি তার সাথে আমাদের দুজনের একটা ছবি তোলা হলো।
দুর্ভাগ্যবশত কাকু এবং কাকিমার সাথে আমরা যখন কথা বলছি সেই সময় আমার শালীরা কেউ কাছাকাছি ছিল না। সেই কারণে ফটোগ্রাফাররা আমাদের ছবি তুললেও আমাদের নিজেদের সংগ্রহে কাকু এবং কাকিমার সাথে কোনো ছবি নেই।
এরপর আবার শালীদের সাথে দেখা হলে আমরা সকলে মিলে একটা সেলফি তুললাম।
তারপর আমরা সকলে স্টার্টার এর দিকে মনোযোগ দিলাম। স্টার্টারে যে যে আইটেম ছিল সেগুলি হলো ফিস বল, পনির পকোড়া, চিকেন পকোড়া এবং মকটেল। আমরা সকলে সব আইটেমগুলি একটু একটু করে টেস্ট করলাম। তারপর আমরা মেইন ডিনার কোর্সে যোগদান করলাম। খাবার পরিবেশন করা শুরু হওয়ার পূর্বে আমার শালী আমাদের দুজনের একটা ছবি তুলে দিলো।
অনুষ্ঠান বাড়িতে আমাদের ডিনারের মেনু ছিল নান, পনিরের তরকারী, ভেটকি পাতুরি, মাটন, চাটনি, সন্দেশ, বেকড রসগোল্লা এবং সবশেষে আইসক্রিমের স্কুপ। ডিনার শেষে ঘরে ফিরে দেখি আমার মেয়ে ততক্ষণে জেগে গেছে। আমি ওকে কোলে তুলে নিয়ে আমার শালিকে বললাম একটা ছবি তুলে দিতে যেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে ছিলাম তাই কিছুক্ষণ পর আমরা সকলে যে যার মতো ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ৫ই মে’র দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
Twitter/X share: https://x.com/PijushMitra/status/1787524954382106969
একজন বাবা হিসাবে আপনার এই অনুভুতিটা স্বাভাবিক। নিজের সন্তানকে কাছে মনে সকল মলিনতা দুর হয়ে যায়। সত্যিই আপনার মেয়েকে খুব সুন্দর লাগছে। প্রতিদিন বাড়িতে নিজে নিজে রান্না করেন আজ স্ত্রীর হাতে খাবার খেয়ে হয়ত খুব খুশি হয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।
মেয়ের হাসি মুখটা দেখতে সত্যি আমার খুব ভালো লাগে। বাপের বাড়িতে থাকলে আমার স্ত্রী সাধারণত খুব কমই রান্না করে, বেশিরভাগ রান্না আমার শাশুড়ি মা করেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পরিদর্শন করে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এটা প্রতিটা বাবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। সন্তানের মুখ দেখলে মনের সকল মলিনতা দুর হয়ে যায়। এটা যে শুধুমাত্র ছোট বেলায় তা নয় সারাজীবনই এই অনুভুতিটা সমান থাকে। শশুরবাড়ি গেলে শাশুড়ির হাতে খাতির যত্ন তো হবেই। ধন্যবাদ দাদা।
ঘুমের মধ্যে বাচ্চাদের এই হাসি যেন স্বর্গীয় অনুভূতি, একজন বাবার কাছে এই মুহূর্ত অনেক বেশি মূল্যবান।
ব্যস্ত তম একটি দিন পার করেছেন, পাশাপাশি পরিবারকে সাথে নিয়ে নেমন্তন এ গিয়ে সুন্দর কিছু মুহূর্ত পার করেছেন। এই মুহূর্ত গুলোর জন্যই জীবন এত সুন্দর।
একদম সঠিক শব্দের প্রয়োগ করেছেন। ঘুমের মধ্যে সন্তানের মুখে হাসি দেখা স্বর্গীয় অনুভূতির থেকে কম কিছু না। অনেকদিন বাদে আমার স্ত্রী আর শালীদের সাথে নেমন্তন্ন খেলাম। ধন্যবাদ আমার পোস্ট সময় নিয়ে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
Hello friend, nice to see that you are living beautiful moments of your life. Dining out with family must refresh your innerself as well as the relationships. There should be enough space to express ourselves and enjoy freely. May god bless your kid with all happiness and joys.
After a long time I attended a marriage anniversary event with my wife and sister-in-laws. Thank you for reading my post and leaving a comment.