Better Life with Steem || The Diary Game || May 26, 2024
Image edited by Adobe
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ২৬শে মে’র কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজ সকালে আমার ঘুম ভাঙলো সাতটার সময়। বারান্দায় গিয়ে দেখি আকাশ খুব মেঘলা হয়ে আছে আর বেশ হাওয়া বইছে। আজকে রেমাল ঘূর্ণিঝড় আসার কথা, জানি না কি হবে? যাই হোক যা হবার তা তো হবেই, প্রকৃতির রোষের কাছে আমরা নিরুপায় সে যতই বিজ্ঞান উন্নত হোক না কেনো। আমি তাই অযথা টেনশন না করে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে রোজকার মতো এক কাপ চা করে খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।
এরপর ঝটপট করে আমি বাসি বাসনপত্র মেজে নিলাম। গতকাল রাতে কিছু ভাত বেচে গিয়েছিল। সেই বাসি ভাত আমি ডিম, পেঁয়াজ এবং শুকনো লঙ্কা দিয়ে ভাত ভাজা করে ব্রেকফাস্ট সারলাম।
তারপর এক কাপ চা খেয়ে নিয়ে আমি অল্প কিছু জামাকাপড় সাবান জলে ভিজিয়ে রাখলাম একটু পরে কাচবো বলে। এরপর ইন্ডাকশনে ভাত বসিয়ে দিয়ে আমি সব ঘরগুলো ঝাঁট দিয়ে মুছে ফেললাম। ভাত রান্না হয়ে গেলে আমি সব জামাকাপড় গুলো কেচে নিয়ে বাইরে বারান্দায় শুকানোর জন্য মেলে দিলাম।
“দুপুর” |
---|
দুপুর একটা নাগাদ আমি স্নান করে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকলাম কখন দিদির বাড়ি থেকে খাবার পাঠায়। আধঘন্টা পরে আমার ভাগ্নে আমাকে খাবার দিয়ে গেলো। আমি তাড়াতাড়ি করে লাঞ্চ করতে বসে গেলাম। আমার খুব খিদে পেয়ে গিয়েছিল, সেই কারণে আমি ছবি তুলতে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিলাম।
রবিবার দুপুরে আমার লাঞ্চের মেনু ছিল লাল শাক ভাজা, মসুর ডাল, আলু ভাজা, দই চিকেন এবং আমের চাটনি। লাঞ্চ হয়ে গেলে আমি এক গ্লাস ম্যাঙ্গো লস্যি খেলাম। তারপর আমি ঘন্টাখানেকের জন্য ঘুমাতে চলে গেলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে আমি কিছুটা তরমুজ খেলাম। তারপর আমি পোশাক পরিবর্তন করে হাঁটতে বের হলাম। চলার পথে আমাদের এলাকার একটা ছোট পুকুরের সামনে আমি এসে উপস্থিত হলাম যার ছবি এর আগেও আমি বেশ কয়েকবার আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।
এরপর আরো কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে আমি বাড়ি ফেরার পথ ধরলাম। ফেরার পথে আমি একটা আলুর চপ আর একটা ডিমের চপ কিনে নিলাম সন্ধ্যাবেলায় খাবো বলে। বাড়ি ফিরে আমি প্রথমে বাইরে বারান্দায় মেলে রাখা জামাকাপড়গুলো ঘরে তুলে ফেললাম। তারপর আমি সন্ধ্যে দিয়ে নিয়ে তেলেভাজা দুটো খেলাম।
এরপর এক কাপ চা করে নিয়ে ল্যাপটপ অন করে স্টিমিটে প্রবেশ করে আমি অল্প কিছু পোস্টে কমেন্ট করলাম।
“রাত” |
---|
রাত আটটা বাজলে আমি KKR Vs SRH আইপিএল ফাইনাল ম্যাচ দেখতে বসলাম। যদিও খেলায় আমি পুরোপুরি মনোযোগ দিতে পারিনি। আমার এখন খুব আর্থিক দুরবস্থা চলছে। আমাকে মনে হয় স্টিমিট থেকে কয়েক মাসের জন্য লিভ নিতে হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারিনি।
যাই হোক KKR খুব একপেশে ভাবে ফাইনাল ম্যাচটা জিতে নিল দীর্ঘ ১০ বছর পর। SRH কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। KKR গত দুবার আইপিএল ট্রফি জিতেছিল গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে আর এবার জিতল ওনার মেন্টরশিপে। খেলা শেষ হয়ে গেলে আমি ডিনার করে নিয়ে শুতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ২৬শে মে’র দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmc8yviUiSxfyoxr2Hiq7W5HcV2ytbSck6fdFkomrJ2PfH/6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjo1R3nByagojBFK9X9VyMfrNoTUUqjGSvWpqdmMgU31CjnNeqLcAbmdrcdhwjg36qCE8hXx2eEL9gcF5xj7.gif)
Twitter/X share: https://x.com/PijushMitra/status/1795102941977665947
কয়েকদিন আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কথা নিউজে বলা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের কিছু জেলাতে বেশি আঘাত হেনেছে। তবে আমাদের উত্তরবঙ্গেও এর কিছুটা প্রভাব পড়েছে। কয়েকদিন থেকে আকাশ খারাপ এবং ঝিমঝিম করে বৃষ্টি হচ্ছে।
যাইহোক, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করেছেন।
দুপুরের দিকে স্নান করে কিছুক্ষণ পর আপনার ভাগিনা আপনার খাবার দিয়ে গেছে।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কলকাতাতে খুব একটা পড়েনি তবে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বেশ কিছুটা পড়েছে। আমাদের এখানে শুধু কম থেকে ভারী বৃষ্টিপাত আর মাঝেমধ্যে হাওয়া এই হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি একটা অসাধারণ দিন কাটিয়েছেন।আপনার দিনটিতে আপনি বেশিরভাগ সময় নানান কাজে ব্যাস্ত ছিলেন।তবে আপনি কাজেও যেমন একটিভ তেমনি খাওয়ার বেলাতেও কম না।অনেক কিছুই খেয়েছেন সারাদিনে।বিশেষ করে আপনি চা অনেক পছন্দ করেন।যেমনটা আমি করি।আর হ্যাঁ, আপনি এতো ব্যস্ততার মাঝেও আই পি এল ফাইনাল ম্যাচটা দেখতে ভুলে যাননি। কলকাতা এবার অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে।
আমার চা খাওয়ার যথেষ্ট নেশা রয়েছে। আমি সারাদিনে ৬ থেকে ৮ কাপ চা খেয়ে থাকি। কলকাতা এবার আইপিএলে একতরফাভাবে ফাইনাল ম্যাচটা জিতেছে। ফাইনাল দেখে আমি একদমই মজা পাইনি। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ঠিকই বলেছেন, প্রযুক্তি সব কিছু পারলেও প্রকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানোর ক্ষমতা এখনও হয় নি। সকালে বিগত রাতের ভাত ভাজি করেছিলেম ডিম দিয়ে। দেখতে তো বেশ লোভনীয় লাগছে।
খিদের কারনে ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছিলেন, বুঝতেই পারছি আপনার হয়ত ভীষণ খিদে পেয়েছিলো। আজ দুপুরে দিদির বাড়ি থেকে তো বেশ অনেক পদের কাবার পাঠিয়েছে। ডাল আর আলুভাজি আমার বেশ প্রিয়। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম পড়ে। ভালো থাকবেন।
আমি রাতে ভাত বেশ কিছুটা বেশি হয়ে থাকলে পরের দিন সকালে ডিম, পেঁয়াজ আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে ভাত ভাজা করে ব্রেকফাস্ট করে নিই। দিদি দুপুরে অনেক কিছু খাবার পাঠিয়েছিল যা দিয়ে আমার রাতের খাওয়াও হয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
যদিও আপনি প্রায়শই ভাত ভাজি খেয়ে তাকেন তবে আমি একদিন মাত্র ডিম দিয়ে ভাত ভাজি করেছিলাম। ভালোই লেগেছিলো খেতে। দিদি প্রতিদিন খাবার পাঠালে তো আপনার বাসার কাজ কিছুটা কমে যায়। রান্না মানেই আমার কাছে ঝামেলার। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।