Better Life with Steem || The Diary Game || May 21, 2024

in Incredible India4 months ago

thumb.pngImage edited by Adobe

বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ২১শে মে’র কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

“সকাল”

আজকে সকালে আটটার সময় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে আমি রোজকার মতো খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।

1.jpg

এরপর বাসি বাসনপত্র মেজে নিয়ে আমি দোকানে গিয়ে বান রুটি আর জিলিপি কিনে আনলাম ব্রেকফাস্টের জন্য। বাড়ি ফিরে ব্রেকফাস্টে আমি বান রুটি আর জিলিপি খেলাম। এরপর এক কাপ চা খেলাম।

2.jpg

তারপর আমি ইনডাকশনে ভাত বসিয়ে দিলাম আর সব ঘরগুলো ঝাঁট দিয়ে মুছে ফেললাম। ভাত রান্না করা হয়ে গেলে আমি ল্যাপটপ অন করে ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইট তৈরির দিকে মন দিলাম। আজকে আমি ওয়েবসাইটের পেমেন্ট গেটওয়ে নিয়ে কাজ করবো। আমাকে খুব সাবধানে এবং সতর্ক হয়ে এটা কনফিগার করতে হবে, না হলে হ্যাকাররা ক্লায়েন্টের অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত ফান্ড তুলে নিতে পারে।

payment-gateway.png

“দুপুর”

দুপুর একটা বাজলে আমি স্নান করে নিয়ে লাঞ্চ করে নিলাম। তারপর ঘন্টাখানেক ভাত ঘুম দিয়ে আমি আবার ওয়েবসাইট ডেভলপ করার কাজে মন দিলাম।

“বিকেল ও সন্ধ্যে”

বিকেলবেলায় চা খেতে খেতে আমি কাজ করতে থাকলাম। এরপর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আমি পোশাক পরিবর্তন করে হাঁটতে বের হলাম। চলার পথে সন্ধ্যের সময় আমি একটা সুন্দর লেকের ছবি তুলে নিলাম।

3.jpg

বাড়ি ফেরার সময় আমি দুটো ফিস ফ্রাই কিনে নিলাম সন্ধ্যেবেলায় খাবো বলে। এরপর বাড়ি ফিরে সন্ধ্যে দিয়ে নিয়ে আমি ফিস ফ্রাই দুটো খেয়ে নিলাম। তারপর এক কাপ চা করে নিয়ে আমি স্টিমিটের জন্য ডেইলি ডায়েরী গেম লিখতে বসলাম।

4.jpg

“রাত”

ডেইলি ডায়েরী গেম লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি স্টিমিটে পোস্ট করে দিলাম। তারপর বেশ কিছু পোস্টে আমি কমেন্ট করলাম এবং আমার পোস্টে করা কমেন্টগুলোর আমি রিপ্লাই দিলাম। তারপর আবার আমি ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করতে থাকলাম।

আজকেও মনে হচ্ছে আমার কোনো মুভি বা ওয়েব সিরিজ দেখা হবে না। কি আর করা যাবে, কাজ সবার আগে। রাত দশটার কিছু পরে দিদি আমার ফ্ল্যাটে আসলো। আমি দিদির সাথে বেশ কিছু দরকারী বিষয় নিয়ে কথা বললাম। আমার ভাড়াটিয়া যে এখনো ঠিক হয়নি সেই কথাও জানালাম।

দিদি আমাকে জানালো যে ও আগামী দুদিন আসতে পারবে না কারণ দিদি এই দুইদিন ভোটের কাজে খুব ব্যস্ত থাকবে। আমাদের এখানে বয়স্ক লোকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়া হচ্ছে। সেই কাজে ওকে রাত দশটা পর্যন্ত সময় দিতে হবে।

যাই হোক এরপর দিদি বাড়ি চলে গেলো। দিদি চলে যাওয়ার পর আমি ডিনার করে নিলাম। তারপর আমি মনটাকে একটু হালকা করার জন্য কিছুক্ষণ ফেসবুকে সময় কাটালাম। অনেকদিন হয়ে গেলো আমার মেয়েকে আমি দেখতে যাইনি। কবে যে আবার যাবো তাও জানিনা। কাজে ব্যস্ত থাকার দরুন আমি সময় করে উঠতে পারছি না। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ আমি ঘুমাতে চলে গেলাম।

তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ২১শে মে’র দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।

Sort:  
Loading...
 4 months ago 

নিজের ঘরের সমস্ত কাজ করে আপনি ওয়েব ডেভেলপ এর কাজ করে থাকেন। সেটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আসলে আপনি ওয়েব ডেভেলপ এর কাজ করেন সেটা আমার জানা ছিল না। আজকে আপনার পোস্ট পরিদর্শন করে জানতে পারলাম। একদমই ঠিক বলেছেন আসলে মুভি নাটক সিরিজ এগুলো দেখার চাইতে, আমার মনে হয় মন দিয়ে কাজ করা উচিত। যেদিন সফলতা অর্জন করতে পারব। সেই দিন এগুলো দেখে নিজের মনকে শান্ত করতে পারবো। আপনাকে ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

আসলে মুভি আর ওয়েব সিরিজ দেখা আমার একটা নেশার মতো। আমি চেষ্টা করছি এই নেশা থেকে বের হয়ে আসার। আমি অনেক বছর ধরে ওয়েব ডেভেলপের কাজ করি, তবে মাঝখানে কিছুদিন আমি বন্ধ রেখেছিলাম। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পরিদর্শন করে মন্তব্য করার জন্য।

 4 months ago 

সকালে বান রুটি ও জিলাপি দিয়ে ব্রেকফাস্ট করেছিলেন। ওয়েবসাইট বানাতে গেলে নানা বিষয়ে সতর্ক রাখতে হয় না হলে সামান্য ভুলের কারনে সব কিছু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

দুপুরে খাওয়া শেষ করে একটু বিশ্রাম নিয়ে আবারও কাজে লেগে পড়লেন। কাজের এক ঘেয়েমি দুর করার জন্য বিকালে হাটঁতে বের হয়েছিলেন, যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।

ওয়েবসাইট বানানোর সময় বিশেষ করে পেমেন্ট গেটওয়ে ডেভেলপ করার সময় খুবই সতর্ক থাকতে হয়, না হলে হ্যাকাররা অবশ্যই সব ফান্ড চুরি করে নিয়ে যাবে। বিকেলবেলা একবার হাঁটতে না বের হলে আমার প্রায় দম বন্ধ হয়ে আসে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মন দিয়ে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

 4 months ago 

সব সময় বন্ধ রুমে বসে কাজ করলে হবে? বাইরে ঘুরতে তো বেরোতে হবে। আর তাছাড়া কাজের ফাকে বাইরে একটু ঘুরে চসলে কাজের প্রতি আরও মনযোগী হতে সাহায্য করে। যে কোনো কাজ করার পূর্বে অবশ্যই সতর্ক থাকা আবশ্যক। ধন্যবাদ আপনাকে আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।

 4 months ago 

দাদাভাই আপনার মত আমিও দুপুরে ভাতঘুম না দিলে যেন শরীরটা ম্যাচ ম্যাচ করে কোন কিছুই করতে মন বসে না। যাইহোক আপনার এই অভ্যাসের সাথে কিছুটা মিল রয়েছে আমার অভ্যাসের।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনলিপি পরার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।

বৈজ্ঞানিকদের মতে ভাতঘুম শরীরের পক্ষে ভালো। বিদেশে অবশ্য এটাকে পাওয়ার ন্যাপ বলে। জাপান এবং বেশ কিছু উন্নত দেশে অফিসের কর্মচারীদের দুপুরবেলা আধ ঘন্টার মত সময়ের জন্য পাওয়ার ন্যাপের ব্যবস্থা রয়েছে। এতে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি পায়।

 4 months ago 

প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে চা খাওয়ার পাশাপাশি খবরের কাগজ পড়েছেন।
বর্তমানে যে পরিমাণ গরম চা খেলে তা আরো বেশি গরম লাগার কথা।
পরে ব্রেকফাস্ট এর জন্য বাইরে থেকে বনরুটি এবং জিলাপি নিয়ে এসেছেন।
আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনি এই প্লাটফর্ম ছাড়াও অন্য ওয়েবসাইটে অনলাইনে কাজ করেন।
বিকেলবেলা হাঁটাহাটি করার জন্য বাইরে গিয়েছেন।

সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমার আবার চায়ের খুব নেশা। তাই গরম হোক কিংবা শীত আমি রোজ ৬ থেকে ৮ কাপের মতো চা খাই। শীতকালে অবশ্য মাঝে মধ্যে কফি খাই। বনরুটি এবং জিলাপি দিয়ে সেদিন আমি ব্রেকফাস্ট করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্ট পড়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 60249.61
ETH 2321.35
USDT 1.00
SBD 2.51