Better Life with Steem || The Diary Game || May 19, 2024
Image edited by Adobe
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ১৯শে মে’র কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকাল নটার সময় আমি ঘুম থেকে উঠলাম। আজকে ময়লা ফেলার কোনো চাপ ছিল না কারণ গতকাল আমি চার প্যাকেট ময়লা আবর্জনা সংগ্রাহক কাকার গাড়িতে ফেলে দিয়েছি। ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে এক কাপ চা করে আমি যথারীতি রোজকার মতো খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।
খবরের কাগজ পড়া হয়ে গেলে আমি ঘরের বাসি বাসনপত্র সব মেজে ফেললাম। তারপর আমি পাড়ার মুদি দোকানে গিয়ে কিছু জিনিসপত্র কিনে আনলাম। সব জিনিসগুলোর দামের তালিকা আমি নিচে দিয়ে দিলাম।
Product | Price in INR | Price in Steem |
---|---|---|
Onion | 30.00 | 0.89 |
Pasta | 20.00 | 0.59 |
Pasta Masala | 10.00 | 0.30 |
Tomato Ketchup | 50.00 | 1.48 |
Cigarettes | 100.00 | 2.95 |
Total | 210.00 | 6.20 |
এরপর ঘরে ফিরে আমি বেলপানা বা বেলের শরবত বানিয়ে খেলাম ব্রেকফাস্ট হিসেবে।
ব্রেকফাস্ট হয়ে যাওয়ার পর আমি কিছু জামাকাপড় সাবান গুঁড়ো দিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখলাম পরে কাচবো বলে। তারপর ইন্ডাকশনে ভাত বসিয়ে দিয়ে আমি সব ঘরগুলো ঝাঁট দিয়ে মুছে ফেললাম। ভাত হয়ে যাবার পর আমি সাবান জলে ভিজিয়ে রাখা জামাকাপড় গুলো কেচে ফেললাম।
“দুপুর” |
---|
দুপুর একটা সময় কাকিমার ঘর থেকে আমাকে লাঞ্চ পাঠিয়ে দিলে আমি স্নান করে নিয়ে লাঞ্চ করে ফেললাম। তারপর আমি ঘন্টাখানেকের জন্য ঘুমাতে চলে গেলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ঘুম থেকে উঠে আমি প্রথমে এক কাপ চা বানিয়ে খেলাম। তারপর আমি পোশাক পরিবর্তন করে হাঁটতে বের হলাম। বেশি দূরে আমি গেলাম না, নিজের এলাকার মধ্যেই আমি একটু ঘোরাঘুরি করলাম।
সন্ধ্যে নেমে আসলে আমি বাড়ি ফিরে আসলাম। ঘরে ঢুকে আমি প্রথমে বাইরে বারান্দায় মেলে রাখা জামাকাপড় সব ঘরে তুলে নিলাম। তারপর আমি সন্ধ্যে দিয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে স্টিমিটের জন্য ডেইলি ডায়েরী গেম লিখতে বসলাম।
“রাত” |
---|
ডেইলি ডায়েরী গেম লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি তা স্টিমিটে পোস্ট করে দিলাম। তারপর আমি অল্প কিছু কমেন্টের রিপ্লাই করে নিয়ে একটা পুরনো হিন্দি মুভি দেখা শুরু করলাম। সিনেমাটার নাম হলো মরতে দম তক। এই সিনেমায় মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা রাজকুমার, গোবিন্দা এবং ফারহা।
খুব একটা ভালো নয় সিনেমাটা তবুও আমি দেখতে থাকলাম। এরপর রাত দশটার সময় দিদি আসলে আমি দিদির সাথে বেশ কিছু সময় ধরে গল্প করলাম। দিদি বাড়ি চলে গেলে আমি ডিনার করে নিলাম। ডিনার হয়ে যাবার পর আমি আবার সিনেমাটা দেখা শুরু করলাম। সিনেমা দেখা শেষ হলে আমি ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ১৯শে মে’র দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
Twitter/X share: https://x.com/PijushMitra/status/1792526591337312327
আমার মেয়ে এখন খুব ছোট বলে আমার শ্বশুরবাড়িতে রয়েছে। আমি যখন শ্বশুরবাড়িতে যাই তখন আমি মেয়ের সামনে তো সিগারেট খাই না, এমনকি শ্বশুরবাড়িতেও কোনো সিগারেট খাই না। এর কারণ হলো আমার শ্বশুরমশাই বা কাকা-শ্বশুর কেউই ধূমপান করেন না। সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছে হলে বা সোজা কথায় বলতে গেলে নেশা জাগলে আমি বাইরে রাস্তায় বেরিয়ে গিয়ে ধূমপান করে আসি। আমি সিগারেট ছাড়ার খুবই চেষ্টা করছি। আগে আমি দিনে পাঁচ থেকে ছয় প্যাকেট সিগারেট খেতাম, এখন সেটা কমিয়ে নিয়ে দুই প্যাকেটে এনেছি।
আপনি সিগারেট খাওয়া অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছেন জেনে ভালো লাগলো। মানুষ ইচ্ছে করলে সব পারে, আশা করি আপনিও একদিন সম্পূর্ণ ছেড়ে দিতে পারবেন।মেয়ের সামনে বা শশুরবাড়িতে গেলে সিগারেট খাননা এটা খুব ভালো বিষয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
গতদিনেই একবারে চার প্যাকেট ময়লা ফেলেছেন এজন্য ময়লা ফেলানোর কোন চাপ ছিল না। সকাল ৯ টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে চা খেয়েছেন।
আপনার কাকিমার বাড়ি থেকে তো দুপুরের খাওয়ার জন্য অনেক মেনু পাঠিয়েছে।
বাসায় বর্তমানে কেউ না থাকায় সবগুলো কাজ আপনাকেই করতে হয়।
সারাদিনের খানিক অংশ তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
অনেকদিন ধরে ময়লা জমেছিল, এজন্য চার প্যাকেট ময়লা একবারে গত দিন আমি ফেলে দিয়েছি। সেই কারণে আমি আজকে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমাতে পেরেছি। দিদি আর কাকিমার বাড়ি থেকে রোজ খাবার পাঠাচ্ছে বলে আমাকে কোনো রান্না করতে হচ্ছে না শুধুমাত্র ভাত ছাড়া।
সময়ের অভাবে এখন আর হিন্দি মুভি গুলো দেখা হয় না কাজের প্রচণ্ড চাপ আগে প্রায় প্রতিদিন একটি করে হিন্দি মুভি দেখতাম । প্রথম প্রথম হিন্দি খুব একটা বুঝতাম না, তবে যখন প্রতিনিয়ত দেখা শুরু করছি তখন থেকে হিন্দি অনেকটাই বুঝি এবং বলতেও পারি।
দাদাভাই বিকালে কিন্তু হাঁটতে বের হলে অনেক ভালো লাগা কাজ করে আমাদের মস্তিষ্কের ও শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে বিকালের ঠান্ডা আবহাওয়া গায়ে লাগে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনলিপি পরার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।
আমারও এখন অনেকটা আপনারই মতন অবস্থা। সময়ের অভাবে বেশ কিছুদিন ধরে আমার আর কোন মুভি বা ওয়েব সিরিজ দেখা হয়ে উঠছে না। ওয়েদার ঠিক থাকলে আমি রোজই বিকেল বেলায় কিছু সময়ের জন্য হাঁটতে বের হই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।