Better Life with Steem || The Diary Game || January 2, 2024
বন্ধুরা পুনরায় চলে আসলাম আপনাদের কাছে ২রা জানুয়ারি অর্থাৎ আজকের সারাদিনের কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
সকালবেলা যথারীতি আমাকে সকাল সাতটার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়তে হলো ঘরের আবর্জনা গাড়িতে ফেলার জন্য। তাছাড়া যিনি আবর্জনা সংগ্রহ করেন কালকে ওনার সাপ্তাহিক ছুটি, তাই আজকে আমাকে ময়লা ফেলতেই হতো।
আবর্জনা ফেলা হয়ে যাবার পর আমি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ কফি করে খবরের কাগজ নিয়ে বসলাম। কফি খাওয়া এবং খবরের কাগজ পড়া হয়ে যাওয়ার পর আমি মার ঘরে গেলাম। গিয়ে দেখি মা ততক্ষণে ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। মাকে ফ্রেশ করিয়ে চা খাওয়ালাম। তারপর আমি ঘরের বাসি বাসনপত্র সব মেজে ফেললাম। এরপর আমি ব্রেকফাস্ট তৈরি করার প্রস্তুতি নিলাম। মার পেটটা একটু খারাপ হয়েছে তাই মাকে আজকে আর দুধ-পাউরুটি দিইনি। তার বদলে আজকে মাকে জল-মুড়ি খাওয়ালাম। সেটাও অবশ্য মিক্সিতে পেস্ট করে নিতে হয়েছিল। তারপর আমি নিজে ৪ পিস পাউরুটির সাথে একটা ডিম সেদ্ধ খেলাম। এরপর আমি এক কাপ চা খেলাম।
ব্রেকফাস্ট মিটে যাওয়ার পর আমি কিছু জামাকাপড় সাবানগুঁড়ো দিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখলাম কাচার জন্য। তারপর আমি ইন্ডাক্সনে ভাত বসিয়ে রান্না করার প্রস্তুতি নিলাম।
আজকেও আমি বেশি কিছু রান্না করিনি। মুসুর ডাল, আলু-পেঁয়াজকলি ভাজা এবং আলু, সিম ও বেগুন দিয়ে ছোট ছোট ট্যাংরা মাছের ঝোল, এই হলো আমার আজকের রান্নার মেনু।
“দুপুর” |
---|
রান্না হয়ে যাবার পর আমি দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ জামা কাপড় কেচে বারান্দায় মেলে দিলাম। তারপর আমি মার গা মুছিয়ে মার পোশাক পাল্টে দি। এরপর মাকে দুপুরের খাবার খাওয়াই। আজকে মার জন্য দুপুরের মেনু ছিল আলু ও কাঁচকলা সিদ্ধ এবং ভাত। এই সবগুলো মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিয়ে মাকে খাইয়ে দিয়েছি। মার খাওয়া হয়ে যাবার পর আমি মাকে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলি। তারপর আমি নিজে স্নান করে নিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে নি এবং ঘন্টাখানেকের জন্য ঘুমাতে চলে যাই।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল বেলা চারটে নাগাদ আমি ঘুম থেকে উঠি এবং এক কাপ চা খেয়ে নিয়ে হাঁটতে বের হই। এই হসপিটালটার নাম আইরিস হসপিটাল। এটা আমাদের বাড়ি থেকে হাঁটা পথে পাঁচ মিনিট দূরত্বে অবস্থিত। আমরা এলাকার লোকজন এই বেসরকারি হসপিটালটাকে ডাকাতের হসপিটাল বলেও সম্বোধন করে থাকি। কারণ হলো চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য এই হসপিটাল অত্যাধিক ফিস নিয়ে থাকে কিন্তু এদের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব একটা ভালো মানের নয়।
হাঁটতে হাঁটতে আজকে আমি ভারত মাতার মন্দিরের গেটটা খোলা পেলাম, তাই একটা ছবি তুলে নিলাম।
এরপর সন্ধ্যে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে আমি বাড়ীতে চলে আসি এবং বাইরে মেলে রাখা জামাকাপড়গুলো সব ঘরের ভিতরে তুলে নি। তারপর আমি সন্ধ্যে দিয়ে নিয়ে মাকে হাফ কাপ লিকার চা খাওয়াই। এরপর আমি নিজের জন্য এক কাপ চা করে নিয়ে ডেইলি ডায়েরি গেম লিখতে বসি।
”রাত” |
---|
রাত ৮টার পর আমি ডেইলি ডায়েরি গেম স্টিমিটে পোস্ট করে দিই। এরপর রাত ১০টার সময় মাকে ডিনার করিয়ে আমি নিজেও খেয়ে নেবো।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার রোজকার একঘেয়েমি জীবনের আরও একটি দিনের কার্যাবলী। সকলকে শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানিয়ে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
Shared on Twitter/X: https://x.com/PijushMitra/status/1742205379369656714?s=20
খুব সুন্দর একটি দিন পার করেছেন আজ আপনার তেমন একটা ঘুম থেকে ওঠার চিন্তা ছিল না খুব দূরত্ব কারণ।
আজ আপনার ময়লা ওয়ালার ছুটির দিন সে কারণে ঘুম থেকে উঠে সকালে নাস্তায় তো আপনি চা রাখেন, যেটা দেখে বুঝলাম এবং মায়ের সেবা যত্নে কোন অংশে কম রাখেন না এটা অনেক ভালো একটি কাজ।
প্রতিদিনের মতো বিকেলে হাটতেও গিয়েছেন এবং সেখানে গিয়ে ছবিও তুলেছেন।
কোথায় আর সুন্দর দিন পার করলাম, বলতে পারেন আরো একটা একঘেয়ে দিন কাটালাম। সেই রোজকার মতো সকাল বেলায় উঠে ডেইলি কোর অ্যাক্টিভিটিস যেমন বাসন মাজা, রান্না করা ইত্যাদি আর বিকেলে একটু বাইরে থেকে হেঁটে আসা। যাইহোক আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
দাদাভাই, সকল চিকিৎসালয় গুলোতেই যেন দিন দিন চিকিৎসা ব্যয় বেড়েই চলেছে। তবে ভারতের চিকিৎসাবিজ্ঞানের অনেক সুনাম সমগ্র পৃথিবীতে। তাই ব্যয়বহুল হলেও সুচিকিৎসাটা সকলের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে আমার মনে হয়।
আপনার এইরকম দিনলিপি আমি সম্ভবত পূর্বে পরিদর্শন করিনি। আমার কাছে খুব ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি। আবার ভারত মাতার একটি ছবি দেখার সুযোগ ও হয়েছে। আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় লেখা পরিদর্শনের অপেক্ষায় রইলাম।
আজকে আবর্জনা ফেলার লোকের ছুটির দিন তাই আপনাকেই ফেলতে হয়।এরপর ফ্রেশ হয়ে মাকে জল আর মুড়ি মিক্সি তে দিয়ে সেটা খাইয়ে দিয়েছেন। আর নিজেও কফি বানিয়ে নিয়েছেন। কফিটা দেখে মনে হলো
খেতেও ভালো হয়েছে।
এরপর রান্না করে নিয়েছেন।আর নিজে ও মা দু'জনেই খেয়ে নিয়েছেন।
বিকেলে একটু হাঁটতে বের হয়েছিলেন।প্রতিদিন এর মতোই খুব সাধারণ একটা দিন কাটিয়েছেন।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আমার রোজই প্রায় একই রকম ভাবে কাটে, মাঝে মাঝে বোর হয়ে যাই কিন্তু কিছু করার নেই। সকালে একবার দোকান বা বাজারে যাই কিছু কেনাকাটা করার জন্য আর বিকেলে একবার বের হই একটু কাছাকাছি হেঁটে আসার জন্য। দিনে এই দুইবার বেরোনো আমার কাছে অনেকটা অক্সিজেন নেওয়ার মতো।
আজকে আপনাকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়েছে কেননা জামা কাপড় যখন কাচতে হয়। তখন সেই দিন টা অনেক বেশি সময় লাগে। আসলে জামা কাপড় ধোয়ার কাজ অনেক বেশি কষ্টের তারপরেও আপনি সেটা খুব সহজ ভাবেই সম্পূর্ণ করছেন। আসলে প্রাইভেট হসপিটাল গুলোতে অনেক বেশি ডাকাতি করা হয়। তাই হয়তোবা আপনাদের এলাকার মানুষ সেটাকে ডাকাতি হসপিটাল বলে সম্বোধন করে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ব্যস্তময় দিনের খানিকটা অংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনি সঠিক বলেছেন যেদিন জামাকাপড় কাচা-ধোয়া থাকে সেদিন আমার ওপর কাজের চাপ একটু বেশি বেড়ে যায়। প্রাইভেট হসপিটাল তো ফিস বেশি নেবেই কিন্তু এই হসপিটালের চিকিৎসা পরিষেবা ভালো নয়। বরং আমার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে {যদিও অটোতে যেতে ১০ মিনিট সময় লাগে।} অবস্থিত দেবী শেঠির হসপিটাল, পিয়ারলেস হসপিটাল এই সমস্ত প্রাইভেট হসপিটালগুলি উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে থাকে। এই হসপিটালগুলিতে বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ঘরের অনেক কিছু কাজ করলেন। তারপর এক কাপ কফি খেলেন এবং খবরের কাগজ পড়লেন । খাওয়া দাওয়া করে তারপর মায়ের ঘরে গেলেন। আপনার মার যে আপনি অনেক সেবা যত্ন করেন এটা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনার ভিতরে যে একটা দায়িত্বশীল আছে এমনকি এই দায়িত্ব অনেক সময় মেয়েদের কাছে থাকে না।
থ্যাঙ্ক ইউ আপনার একটা দিন ব্যস্তময় দিনগুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন ।
ভালো না লাগলেও রোজকার কিছু কাজ আমাকে করতে হয়, কারণ আমার দায়িত্ব ভাগ করার মতো কেউ নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হওয়ার পর চা বা কফি খাওয়া এবং সাথে খবরের কাগজ পড়া, এটা আমার একটা নেশা। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনি সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠে কফি খেতে খেতে খবরের কাগজ পড়েছেন।তারপর আপনার মাকে চা দিয়েছেন এবং ব্রেকফাস্ট করিয়েছেন। তারপর কাপড় কাচা থেকে রান্না করা সবই করেছেন। এভাবেই আপনি ব্যস্ততার সাথে আপনি আপনার দিনটি কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমাকে প্রায় প্রত্যেক দিনই এরকম ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটাতে হয়। কারণ আমার ঘরে আর কেউ নেই এসব কাজ করার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সকালে ঘুম থেকে সময় করে উঠেন ময়লাওয়ালাকে ময়লা দেয়ার জন্য। সেই হিসেবে বলা যে আপনাদের এই নিয়মটি বড় অদ্ভুত। আমাদের এখানে অবশ্য এপার্টমেন্টগুলোতে ময়লা নিয়ে কোন টেনশন করতে হয় না। কোন এক সময় গাড়ি আসে এবং বিল্ডিং এর লোকেরা ময়লা দিয়ে দেয়।
আপনার পুরো দিন লিপি পড়লাম। আপনি সংসারের কাজ ও মায়ের সেবা করে দিনটি পার করে দিলেন। বিকেলে আবার কিছুক্ষণ ঘুরে আসলেন। যে হাসপাতালের ছবি দিলেন বললেন এটা বেশ খরচ সাপেক্ষ হসপিটাল। আসলে হসপিটাল এখন ব্যবসার কেন্দ্র হয়ে গেছে সেবার নয়। সব মিলিয়ে আপনার দিনলিপি পড়ে ভালো লাগলো।
আমাদের এখানে ময়লা নিতে রোজ সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে গাড়ি আসে। তাই ইচ্ছে থাকলেও বেশি সময় ধরে ঘুমানোর কোন উপায় নেই। এটা একদম সঠিক কথা বলেছেন প্রাইভেট হসপিটালগুলি সব ব্যবসার ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে সেবার জন্য নয়। ন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।