Better Life with Steem || The Diary Game || February 6, 2024
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ৬ই ফেব্রুয়ারীর কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
![]() |
---|
মঙ্গলবার সকালে আমি ঘুম থেকে উঠেছি সাতটা নাগাদ। এক প্যাকেট ময়লা ঘরে জমে গিয়েছিল, তাই একটু তাড়াতাড়ি আমি ঘুম থেকে উঠে গিয়েছি। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর বুঝতে পারলাম যে আবর্জনা সংগ্রাহক কাকা ডুব দিয়েছেন মানে উনি মঙ্গলবার ময়লা নিতে আর আসছেন না। কি আর করবো, আমি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ কফি করে নিয়ে খবরের কাগজ পড়তে বসলাম।
![]() |
---|
নিউজ পেপার পড়া হয়ে গেলে আমি ঘরের বাসি বাসনপত্র সব মেজে ফেললাম। তারপর আমি দুধ, খই আর কলা দিয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। ব্রেকফাস্ট হয়ে যাবার পর আমি ঘরদোর সব ঝাঁট দিয়ে মুছে নিলাম। এরপর আমি একটু পাড়ার দোকানে গেলাম কিছু জিনিসপত্র কেনার জন্য। বাড়ি ফিরে ল্যাপটপ অন করে আমি ইমেইল চেক করলাম। তারপর বেশ কিছু ইউটিউব ভিডিও দেখলাম।
“দুপুর” |
---|
![]() |
---|
দুপুর একটা নাগাদ আমি স্নান করে নিলাম। দুপুর দুটো নাগাদ দিদির বাড়ি থেকে খাবার পাঠালে আমি লাঞ্চ করলাম। মঙ্গলবার আমার লাঞ্চের মেনু ছিল মিক্সড সবজি দিয়ে ডালিয়ার খিচুড়ি আর সাথে বেশ কয়েক রকমের মিষ্টি। মঙ্গলবার একাদশী থাকায় আমি ভাত খাইনি, আর দুই বেলা সম্পূর্ণ নিরামিষ ভোজন করেছি। লাঞ্চ হয়ে যাবার পর আমি ঘন্টাখানেকের জন্য ঘুমাতে চলে গেলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল চারটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে আমি এক কাপ চা করে খেলাম, তারপর আমি হাঁটতে বেরোলাম। আমি মূলত এলাকার মধ্যেই ঘোরাঘুরি করলাম। চলার পথে এই রাস্তা আর লেকটার একটা করে ছবি তুলে নিলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
সন্ধ্যে হয়ে এলে আমি বাড়িতে ফিরে আসলাম। এখনো যেহেতু নিয়মভঙ্গের অনুষ্ঠান হয়নি। তাই আমি সন্ধ্যা দিলাম না। আমি শুধু মায়ের ছবির সামনে জল আর মিষ্টি রাখলাম। তারপর আমি এক কাপ চা করে নিয়ে স্টিমিটের জন্য বাস্তু সংক্রান্ত একটা পোস্ট লিখতে বসলাম।
![]() |
---|
“রাত” |
---|
আর্টিকেল লেখা সমাপ্ত হয়ে গেলে আমি তা স্টিমিটে পোস্ট করে দিলাম। তারপর আমি একটা ওয়েব সিরিজ দেখা শুরু করলাম। রাত নটা নাগাদ আমি ডিসকর্ডে অ্যাডমিন ম্যাডামের সাথে কিছু প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সেরে নিলাম। রাত দশটা নাগাদ দিদি আসলো আমার জন্য চারটে রুমালি রুটি আর নিরামিষ আলুর তরকারি নিয়ে। ওর সাথে কথাবার্তা বলতে বলতেই আমি ডিনার সেরে নিলাম।
দিদি ফিরে যাবার সময় আমি ওকে ২০০ গ্রাম মার্জারীনের একটা বক্স যেটা ফ্রিজে রাখা ছিল সেটা দিয়ে দিলাম। মা মারা যাবার পর আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে এই আমুল লাইট মার্জারীন আমাকে দিয়েছিল। আমি মাখন খেলেও মার্জারীন একেবারেই পছন্দ করি না এবং যেহেতু আমি বৃহস্পতিবার থেকে বেশ কিছুদিন বাড়িতে থাকবো না এবং ফ্রিজ অফ করা থাকবে তাই আমি ওটা দিদিকে দিয়ে দিলাম। দিদি চলে যাবার পর আমি বেশ কিছুক্ষণ ওয়েব সিরিজ দেখলাম। তারপর আমি রাত বারোটা নাগাদ ঘুমাতে চলে গেলাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ৬ই ফেব্রুয়ারীর দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmc8yviUiSxfyoxr2Hiq7W5HcV2ytbSck6fdFkomrJ2PfH/6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjo1R3nByagojBFK9X9VyMfrNoTUUqjGSvWpqdmMgU31CjnNeqLcAbmdrcdhwjg36qCE8hXx2eEL9gcF5xj7.gif)
Twitter/X share: https://x.com/PijushMitra/status/1755248585401131179?s=20
আপনার ব্রেকফাস্ট মেনুটা কিন্তু আনকমন। খই এর কথা আমার মাথায়ই ছিলনা। এ যুগের বাচ্চাদের খই এর নাম বললে বুঝতেই পারবেনা এটা কি?
একাদশি থাকায় আপনি আজকে আমিষ খাননি এটা বুঝতে পারলাম। যদিও আমার একাদশি বিষয়ে খুব একটা জানাশুনা নেই, তবে আমার অফিস কলিগদের মাঝে মধ্যে দেখি তারা একাদশি পালন করে।
ধন্যবাদ ভাই আপনার ডায়েরি টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গত ১৩ দিন ধরে নিরামিষ খাচ্ছিলাম বলে বেশিরভাগ দিন ব্রেকফাস্টে আমি খই,দুধ আর কলা খেয়েছি। একাদশীর দিন ভাত খাইনি আর শুধু নিরামিষ খাবার খেয়েছি। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বর্তমান সময়ে আপনি মাকে হারিয়ে একাকীত্ব জীবন পার করছেন। আসলে ক্ষণে ক্ষণে আপনার মায়ের কথা মনে পড়ছে এটাই স্বাভাবিক। কেননা আপনি আপনার মায়ের অনেক যত্ন করতেন।
আপনার প্রত্যেকটা দিন বেশ আগের মতই আছে। পেপার পড়া কিন্তু রান্নাবান্না করাটা মনে হয় এখন বন্ধ। যার কারণেই দিদির বাড়ি থেকে খাবার চলে আসে। আপনি আমার মাখন পছন্দ করেন কিন্তু মার্জারীন পছন্দ করেন না। তাই দিদির কাছে প্যাকেটটা দিয়ে দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
মার শ্রাদ্ধের কাজ চলার কারণে দিদির বাড়ির থেকে কিছুদিন ধরে খাবার আসছে। সামনের সপ্তাহ থেকে আমাকে আবার নিজে রান্না করে খেতে হবে। আমি মার্জারীন একেবারেই পছন্দ করি না। মার কথা ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়ছে বলে আমি কয়েক দিনের জন্য শ্বশুরবাড়িতে চলে এসেছি।
জীবন সেই একই গতিতে বইছে। আপনার মায়ের অনুপস্থিতি শুধুমাত্র কিছুটা দায়িত্ব কমিয়ে দিয়েছে যেগুলো তিনি বেঁচে থাকাকালীন আপনাকে সময় মত করতে হতো। তাছাড়া বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয়নি। এটাই আসলে বাস্তবতা।
দিদি আসাতে তবুও কিছুটা একাকীত্ববোধ কাটে আপনার। একাদশীর ব্রত পালন আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। আপনার দিন যাপনের গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
সঠিক কথা বলেছেন - জীবন চলতেই থাকবে যতদিন পর্যন্ত না আমাদের মৃত্যু হয়। দিদি আসার জন্য ক্ষণিকের জন্য হলেও আমার একাকীত্ব কিছুটা কাটে। তবে এখন মা নেই তাই দিদি আর রোজ আসবে না। আমিও এই কথা শুনেছি যে একাদশীর ব্রত পালন শরীরের জন্য উপকারী। এক বছর করে দেখি কতটা উপকার পাই, তাহলে কন্টিনিউ করব।