Better Life with Steem || The Diary Game || April 3, 2024
Image edited by Adobe |
---|
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার আজ সারাদিন অর্থাৎ ৩রা এপ্রিলের কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকালে আমি ঘুম থেকে উঠেছি সাতটার সময়। গতকাল রাতে মেয়ের জন্য তিনবার ঘুম থেকে উঠতে তো হয়েছিলই, এছাড়া মশার উপদ্রবও ছিল যথেষ্ট। যাই হোক ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে আমি পোশাক পরিবর্তন করে নিলাম এবং তারপর রাস্তায় বের হলাম চা খেতে।
আমার শ্বশুরবাড়িতে সকলে সকাল আটটা নাগাদ চা পান করে। আমার আবার সকালে ঘুম থেকে ওঠার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে চা লাগবেই। রাস্তার দোকান থেকে চা খেয়ে ফেরার সময় আমি কিছু গাছগাছালির ছবি তুলে নিলাম।
শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আমি আরো একবার সকলের সাথে চা পান করলাম আর তার সাথে আজকের খবরের কাগজ পড়ে নিলাম। সকাল দশটা নাগাদ আমাদের ব্রেকফাস্ট দেওয়া হলো। আজকে ব্রেকফাস্টের মেনু ছিল আলু দিয়ে ঢ্যাঁড়শের তরকারি এবং আটার রুটি। ব্রেকফাস্টের সাথে আমি আরো এক কাপ চা খেলাম।
তারপর আমি দোতলায় চলে আসলাম লাগেজ প্যাক করার জন্য কারণ আজকে আমি আমার নিজের বাড়িতে ফিরে যাবো। তারপর আমি ঘন্টাখানেক ঘুমানোর ব্যর্থ চেষ্টা করলাম। গত চারদিন যাবত রাতে আমার প্রায় ঘুমই হয়নি। আমি ভেবেছিলাম যে আজকে সকালে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিলে আমি অনেকটা ফ্রেশ হয়ে যাবো কিন্তু আমার একদমই ঘুম হলো না।
তাই আমি নিচে চলে আসলাম আর এসে দেখলাম যে আমার মেয়ের ততক্ষণে স্নান করা হয়ে গেছে আর ওর চোখে বেশ ঘুম ঘুম ভাব। আমি ওর একটা ছবি তুলে নিলাম।
“দুপুর” |
---|
দুপুর একটা নাগাদ আমি স্নান করে নিয়ে নিচে চলে আসলাম লাঞ্চ করার জন্য। এক্টু পরে আমাদের লাঞ্চ দেওয়া হলো। আজকে আমাদের লাঞ্চের মেনু ছিল মুসুর ডাল, আলু, সজনে ডাঁটা ও কুমড়ো দিয়ে সব্জী, কৈ মাছের ঝাল এবং ফ্যাশা মাছের ঝোল। লাঞ্চ হয়ে যাবার পর আমি এক গ্লাস কোল্ড ড্রিংক পান করলাম।
তারপর আমি দোতলায় গিয়ে আমার সমস্ত লাগেজপত্র নিয়ে নিচে নেমে এসে স্ত্রী এবং মেয়ের সাথে ঘন্টাখানেক বিশ্রাম নিলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আমি সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমার মেয়েকে ছেড়ে আসতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু কোনো উপায় নেই। আবার সামনের রবিবার বা মঙ্গলবার আমি শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসবো।
ট্রেনে যথেষ্ট ভিড় ছিল তবে আমি ট্রেনে উঠেই কোনমতে বসার জায়গা পেয়ে গিয়েছিলাম।
আমি বাঘাযতীন স্টেশনে যখন নামলাম তখন প্রায় সন্ধ্যে ছটা বাজে। এরপর বাঘাযতীন বাজার থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করলাম। বাড়ী ফেরার সময় একটা লেকের পাশ দিয়ে আসছিলাম, তাই একটা ছবি তুলে নিলাম।
বাড়িতে যখন ঢুকলাম তখন সন্ধ্যে সাতটা বাজে। আমি তাড়াতাড়ি সন্ধ্যে দিয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে খেলাম।
“রাত” |
---|
সমস্ত লাগেজ আনপ্যাক করে এবং ল্যাপটপটা সেট করে স্টিমিটের জন্য যখন ডেইলি ডায়েরী গেম লিখতে বসলাম তখন রাত আটটা বেজে গেছে। লেখা শেষ হয়ে গেলে আমি স্টিমিটে পোস্ট করে দেবো।
আমার ইচ্ছা আছে আজকে হ্যাংআউটে জয়েন করার কিন্তু শরীর প্রচন্ড ক্লান্ত। দেখা যাক আজকের হ্যাংআউটে আমি জয়েন করতে পারি কিনা!
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ৩রা এপ্রিলের দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
Twitter/X share: https://x.com/PijushMitra/status/1775551883316224216?s=20
সকলের সাথে চা খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। আমি মাঝেমধ্যেই বন্ধুদের সাথে চা খেতে বাজারে যাই কারণ একা একা বাড়িতে চা খেয়ে সত্যিই মজা পাই না। আপনার ব্রেকফাস্টের পদ গুলো সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।
কারণ এটার সাথে আমার বৈসাদৃশ্য রয়েছে। আমাদের বাড়িতে রুটি বানানো হয় না বললেই চলে। তবে আপনাদের দেশের ক্ষেত্রে রুটি ও কিছু খাবার আছে যেটা আমি প্রায়ই আপনার লেখাতে পরিদর্শন করি। আপনার খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জেনে বেশ ভালো লাগলো। তাছাড়া আপনার সম্পূর্ণ দিনের অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে ও জানতে পারলাম।
আমি চা একটু বেশি পরিমাণেই খাই। আমাদের এখানে প্রায় প্রত্যেক পরিবারেই সকালে রুটি খাওয়া হয়। আবার এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে রাতেও রুটি খাওয়ার চল রয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
বাচচারা যখন বেশি ছোট থাকে তখন এই এক ঝামেলা রাত জাগে। আবার কোন কোন বাচচা একটু বড় হলেও এধরণের কাজ করে। আমার ছোট ছেলে যখন মাত্র বসা শিখেছে তখন নিয়মিতই রাত দেড়টা দুটো নাগাদ হাসতে হাসতে উঠে বসতো আর ভোরের দিকে ঘুমাতো। ওই দিকে আমিতো শেষ। ও ঠিকই ঘুমাতো কিন্তু আমার ঘুমের সুযোগ হতো না খুব একটা।
নিজেকে জম্বি লাগতো।
আপনার রাজকন্যা অনেক কিউট হয়েছে।
সত্যিই বেশিরভাগ বাচ্চাই মনে হয় রাতে জেগে থাকতে ভালোবাসে। এদিকে রাতে না ঘুমাতে পেরে দিনের বেলায় মা এবং বাবার অবস্থা কাহিল হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
রাতের বেলা ঘুম না হলে সকালবেলা শরীরটা একটু ক্লান্তই লাগে এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়। আপনি বাসায় চলে যাবেন এজন্য কাপড়-চোপড় সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছেন। দুপুরবেলা বিষ খাওয়া-দাওয়ার মাঝেই দিন পার করেছেন এবং বাকি সময়টা বেশ জার্নির মাঝে দিন পার করেছেন।
সারাদিনের কার্যক্রম গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরপর চার দিন রাতের বেলা আমার ঘুম হয়নি তাই আমি যথেষ্ট ক্লান্ত ছিলাম। তারপর আমি আবার ট্রেনে করে বাড়িতে ফিরেছিলাম। দুপুরবেলা বিষ খাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। বিষ খেলে মনে হয় ভালো হতো।😀