Better Life with Steem || The Diary Game || April 15, 2024
Image edited by Adobe |
---|
বন্ধুরা চলে এলাম আপনাদের কাছে আমার গতকাল সারাদিন অর্থাৎ ১৫ই এপ্রিলের কার্যাবলী নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
“সকাল” |
---|
আজকে সকাল আটটার সময় আমি ঘুম থেকে উঠে গেলাম। তারপর আমি ফ্রেশ হয়ে নিয়ে এক কাপ চা করে রোজকার মতো খবরের কাগজ পড়তে বসলাম। বেশিক্ষণ খবরের কাগজ পড়লাম না কারণ আজকে আমি শ্বশুরবাড়িতে যাবো।
খবরের কাগজ পড়া হয়ে গেলে আমি তাড়াতাড়ি করে বাসি বাসনপত্র সব মেজে ফেললাম। তারপর আমি চা আর পাউরুটি দিয়ে ব্রেকফাস্ট করে নিলাম। যা গরম পড়েছে কিছুই খেতে ইচ্ছে করছিল না। তবুও আমি বলতে গেলে প্রায় জোর করেই খেলাম। তারপর আমি স্নান করে নিয়ে দরজা আর জানালা সব ভালো করে লক করে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য বাঘাযতীন স্টেশনের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
“দুপুর” |
---|
বহড়ু স্টেশনে যখন নামলাম তখন প্রায় দুপুর সাড়ে বারোটা বাজে। স্টেশনে নেমে আমি প্রথমে লেবুর সরবত খেলাম। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে যখন পৌঁছলাম তখন দুপুর একটা বাজে। আমি সোজা দোতলায় চলে গেলাম পোশাক পরিবর্তন করতে। ভালো করে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে আমি নিচে ডাইনিং রুমে চলে আসলাম।
মেয়েকে কিছুক্ষণ আদর করার পরে আমাদের লাঞ্চ করতে দেয়া হলো। আজকে শাশুড়ি মা অনেক কিছু রান্না করেছেন। আজকে আমাদের লাঞ্চের মেনু ছিল আলু ও উচ্ছে ভাজা, শাক ভাজা, এঁচোড়ের তরকারি, কাতলা মাছের ঝোল, মুরগির পাতলা ঝোল এবং টমেটো ও আমের চাটনি। লাঞ্চ করা হয়ে যাবার পর আমি স্ত্রী এবং মেয়ের সাথে নিচেই ঘন্টাখানেক বিশ্রাম নিলাম।
“বিকেল ও সন্ধ্যে” |
---|
বিকেলবেলা আমার ঘুম যখন ভাঙলো তখন বিকেল সাড়ে চারটা বাজে। আমার মেয়ে এবং স্ত্রী তখনও ঘুমাচ্ছিল। আমি ওদের আর ঘুম ভাঙ্গালাম না। আমি ধীরে ধীরে বিছানা ছেড়ে উঠে পোশাক পরিবর্তন করে নিয়ে হাঁটতে বের হলাম।
বাইরে তখনো যথেষ্ট রোদ ছিল। আমি অনুভব করলাম যে এখানে গরম কলকাতার থেকে বেশি। যদিও আমি ভেবেছিলাম যে অনেক গাছপালা থাকার দরুন আমার শ্বশুরবাড়ির এলাকাতে গরম কলকাতার তুলনায় কম হবে, কিন্তু বাস্তবে তার উল্টোটাই অনুভব করলাম।
যাই হোক আমি প্রথমে একটা চায়ের দোকানে গিয়ে এক কাপ চা খেলাম। তারপর আমি একটা পুকুর পাড়ে গিয়ে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিলাম। এই সময় আমি দুটো ছবিও তুলে নিলাম।
শ্বশুরবাড়িতে ফিরে গিয়ে দেখলাম যে আমার মেয়েকে তখন দোলনায় শোয়ানো হয়েছে আর ও তখনও ঘুমাচ্ছে। আমি মেয়ের একটা ছবি তুলে নিলাম।
সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ শ্বশুরমশাই আলুর চপ আর বেগুনি কিনে আনলেন। আমরা সকলে মিলে তা খেলাম। আমি অবশ্য তারপরে এক কাপ চা খেলাম। আমার মেয়ে ততক্ষণে ঘুম থেকে উঠে পড়েছিল। আমি ওর সাথে খেলা করতে লাগলাম। যেহেতু আমি ল্যাপটপ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসিনি তাই আমি স্টিমিটের জন্য কোনো পোস্ট লিখতে পারলাম না।
“রাত” |
---|
রাত দশটা নাগাদ শাশুড়ি মা আমাদের সকলকে ডিনার করতে দিলেন। ডিনার হয়ে যাওয়ার পর আমি আমার স্ত্রী এবং মেয়ের সাথে ঘুমিয়ে পড়লাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ১৫ই এপ্রিলের দিনলিপি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন, এই শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
Twitter/X share: https://x.com/PijushMitra/status/1780261898761511156
যেহেতু মেয়েকে দেখতে যাবেন তাই পত্রিকা পড়ে আপনি সময় নষ্ট করলেন না। সঠিক সময়ে আপনি পৌঁছে গেলেন। আপনার শাশুড়ি আপনাকে নিয়মিত চমৎকার খাবারের মেনু দিয়ে আপ্যায়ন করে। আপনার পোস্টে আমি নিয়মিত এটা লক্ষ্য করি। তবে আপনার মেয়েটি একটু বড় হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
ল্যাপটপ না নিয়ে যাওয়ার কারণে আপনি পোস্ট করতে পারলেন না। সব মিলিয়ে চমৎকার একটা দিন আপনি কাটালেন।
শ্বশুরবাড়িতে গেলে আমি প্রত্যেকটা দিন খুব চমৎকার কাটাই। আমাকে কোনো রান্না করতে হয় না আর শাশুড়ি মা এতসব পদ রান্না করেন বিশেষ করে আমার জন্য তার কোনো তুলনাই নেই। একটাই মুশকিল হল আমার মেয়ের কারণে রাতে আমার এবং আমার স্ত্রীর ভালো করে ঘুম হয় না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
আবারো শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আসলে মাঝে মাঝে আপনাদের এই শ্বশুর বাড়ি যাওয়া দেখে, খুব হিংসে হয় আমরা কেন যেন এইভাবে আদর আপ্যায়ন পাই না শ্বশুর বাড়িতে, এটা ভেবে। স্ত্রী এবং শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে খুব সুন্দর একটা দিন পার করেছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
তফাৎটা হল আপনারা শ্বশুরবাড়িতে পার্মানেন্টলি থাকেন আর আমরা ছেলেরা শ্বশুরবাড়িতে সাময়িক সময়ের জন্য যাই, তাই এতটা আদর আপ্যায়ন পাই। আমি যদি শ্বশুরবাড়িতে দিনের পর দিন থাকতে শুরু করি তাহলে আমি নিশ্চিত যে এতটা আদর আপ্যায়ন পাবো না।
একদমই ঠিক বলেছেন আমরা পার্মানেন্ট থাকি বলে আপ্যায়ন করা হয় না। আপনারা সাময়িক সময়ের জন্য আসেন, তাই আপনাদের জন্য আপ্যায়ন থাকবেন অন্যরকম। এভাবেই সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবেন এই কামনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে।
প্রতিদিনের মতোই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা খাওয়ার সাথে খবরের কাগজ পরেছেন। তবে বেশি সময় নিয়ে পড়তে পারেনি কারণ শ্বশুর বাড়িতে যাবেন। আপনার একটা বিষয় খেয়াল করলাম শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার সময় বাড়ির সব দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে গেছেন এটা অবশ্যই একটি ভালো দিক।
শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মেয়ের সাথে খুনসুটি করেছেন। আপনার মেয়ের সুস্থতা কামনা করি।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমাকে যেহেতু শ্বশুরবাড়িতে যেতে হবে, সেই কারণে আমি বেশি সময় ধরে খবরের কাগজ পড়তে পারিনি। বেশ কয়েকদিন বাদে আমার মেয়ের সাথে আমার দেখা হলো, সেই কারণে ওর সাথে অনেকক্ষণ ধরে খেলা করেছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুব একটা দেরি না করেই মেয়েকে দেখতে যাওয়ার জন্য সকাল সকালে বেরিয়ে পড়েছিলেন,, মাশাআল্লাহ আপনার মেয়ে দেখতে দেখতে বেশ বড় হয়ে গিয়েছে।।
তবে আপনার শাশুড়ি আম্মা রান্না গুলো দেখতে কিন্তু বেশ লোভনীয় ছিল।।।
ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।।
আমার মেয়েকে না দেখতে পেলে আমার কিছুই ভালো লাগে না কিন্তু বর্তমানে এমন অবস্থা যে আমি এখন কলকাতায় রয়েছি, শ্বশুরবাড়িতে যেতে পারছি না। কারণ শুধু একটাই শ্বশুরবাড়ির এলাকায় অত্যাধিক গরম যা আমার সহ্যের সীমার বাইরে।
এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। শশুর বাড়িতে অনেক সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন। আপনি প্রতিদিন চা খেতে খেতে পার করেন এটা খুবই ভালো অভ্যাস। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন, আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
আমি শ্বশুরবাড়িতে থাকলে আমার দিনগুলো বেশ ভালোভাবেই কাটে। সেখানে আমাকে কোনো কাজ করতে হয় না। আমি নিজের বাড়িতে ফিরলেই আমার যত সমস্যা। আমি প্রতিদিন একটু বেশি পরিমাণে চা খাই। এতটা চা খাওয়া ঠিক নয়।