আমার জীবনের প্রথম স্টাডি ট্যুর(২য় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
ক্লাসে আসার সাথে সাথে আমার সব বন্ধু বান্ধবীরা আমায় ঘিড়ে ধরলো।আর বললো, কিরে স্যারেরা ট্যুরের কথা সম্পর্কে কি বললো?আমি বললাম, স্যারেরা ট্যুরে যাওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছে।আমাকে আর অন্তর ভাইকে বললো তোদের সাথে কথা বলে সবার মতামত জানতে।মানে কোথায় যাওয়া হবে,মেনু কি হবে এইসব ব্যাপারে পরামর্শ করতে বললেন।তো সবাই কি বলিস তোরা! কোথায় যাবি কি খাবি বল,আমায় তো এইটা নিয়ে আবার অন্তর ভাইয়ের সাথে আলোচনা করতে হবে, তারপর সেটা নিয়ে স্যারদের সাথে আলোচনা করতে হবে।তারপর স্যারেরা তাদের ডিসিশন জানাবেন।সব মিলিয়ে অনেকটা সময় লেগে যাবে।তাই সবকিছু তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদের।
আমার বন্ধুরাও বললো যে, হুম যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে।কারণ আর কিছুদিন পরেই তো গরম শুরু হয়ে যাবে, তখন ট্যুরে যাওয়া অনেকটা ট্রাপ ব্যাপার হয়ে উঠবে।আমি বললাম, আচ্ছা সবাই মিলে এবার সাজেশন দে,অন্তর ভাইকেও তো জানাতে হবে।সবাই মিলে অনেক আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে যাবো।আমি সবাইকে বললাম,আচ্ছা তাহলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ই লক করে দিলাম।আমরা এখানেই যাবো।আর খাবারের মেনু কি হবে সেটি দশম শ্রেণীর ছাত্ররা মানে অন্তর ভাইয়েরা সিদ্ধান্ত নিবে।
এরপর আমি চলে গেলাম অন্তর ভাইয়ের কাছে।গিয়ে বললাম,ভাইয়া আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবো।তখন অন্তর ভাই বললো,মাত্র একটি জায়গাতে যাবা!আমরা তো ভেবেছি দুই থেকে তিন জায়গাতে যাবো।আচ্ছা তাহলে যেহেতু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে তোমরা,আমরা আরো দুইটি জায়গাতে যাবো।এক খরচে তিন জায়গাতে ট্যুর হয়ে যাবে।
আমি তো হা করে বললাম,কি বলেন ভাই!তিন জায়গাতে যেতে কি রাজি হবে স্যারেরা?আরে হ্যা হবে,টাকা দিবো আমরা নিয়ে যাবে স্যারেরা, এখানে সমস্যা কোথায়?আমি বললাম, তাহলে আর কোথায় যাবেন?অন্তর ভাই বললেন,আমরা রাজশাহীতেই যাবো, তবে তিনটি জায়গা।প্রথমে যাবো বাঘা মসজিদ,তারপর যাবো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, আর সবশেষে যাবো শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন এন্ড পার্ক।আমি বললাম তাহলে তো ভালোই হয় ভাইয়া, এক খরচেই তিনটি জায়গা,মানে "কম খরচা অথচ ফুল চর্চা"।
এরপর আমরা দুজনে চলে গেলাম শিক্ষক মিলনায়তন রুমের দিকে।অন্তর ভাই রুমের বাইরে থেকে বললেন, স্যার আসবো? হেডস্যার বললো হ্যা, এসো এসো এসো,,,তো বলো তোমাদের ট্যুরের ব্যাপারে কি আলোচনা হলে।অন্তর ভাই বলতে শুরু করলো, স্যার আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেআমরা রাজশাহী বাঘা মাসজিদ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যদলয় এবং শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন এন্ড পার্কে বেরাতে যাবো।
স্যার বললেন ওরে বাবা এতো জায়গাতে কেমন করে যাওয়া সম্ভব। আমরা তো মাত্র একদিন ট্যুর করবো সকালে বের হবো রাতে চলে আসবো।এইটুকু সময়ের মধ্যে তিনটি স্পট ঘুরে দেখা অনেক বড় ব্যাপার,বলতে পারো একেবারে অসম্ভব ব্যাপার বটে।তাছাড়া যত বেশি জায়গা ঘুড়বে তোমাদের তত বেশি খরচ হবে পাশাপাশি ট্যুরের খরচও বেশি লাগবে।একটু ভেবে বলো কি করবে তোমরা।
কিন্তু অন্তর ভাইয়ের মুখে একই কথা, স্যার আমরা গেলে তিনটি স্পটই ঘুড়বো।দরকার হলে একেকটা স্পট ১ঘন্টা করে ঘুড়বো। তারপরেও আমরা তিনটি জায়গাতেই যাবো।খরচের একটা অংশ আমরা দিবো বাকি টাকা স্কুল ফান্ড থেকে দিবেন আপনি প্লিজ।অন্তর ভাই ছিলেন স্কুলের টপ স্টুডেন্ট, তাই হেডস্যার ওনার কথা ফেলতে পারলেন না।শেষমেশ রাজি হলেন তিনটি জায়গাতে যেতে।
এরপর রাজকুমার সয়ার বললেন আচ্ছা তোমরা য়াও, ট্যিরের খরচ বা চাঁদা কত হবে সেটি নিয়ে আমরা আলোচনা করে আগামীকাল তোমাদের ক্লাসে জানিয়ে দিবো।এই শুনে আমরা দুজন চলে গেলাম নিজ নিজ ক্লাসে।
আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের মুল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।আজ আর নয়, দেখা হবে পরবর্তী পর্বে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই আশা করেই শেষ করছি আজকের লেখা।
ধন্যবাদান্তে,
@nasir04
যাইহোক তাহলে রাজিও হয়ে গেলো আপনার স্যার। তবে আপনাদের সিদ্ধান্ত খুবই ভালো, কারন এত দুর যাবেন, সব বন্ধুরা মিলে, তাই এক ঢেলে তিন পাখি মেরে যান এটাই ভালো হবে। আবার কবে কখন এমন সুযোগ আসবে বলা তো যায় না। যাই পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন।
সারেরা রাজি হতে বাধ্য। কারণ অন্তর ভাই সুপারিশ নিয়ে গেছিলেন।
এতদিন তো আমি শুনেছি এক ঢিলে দুই পাখি মারে। কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। আপনারা এক ঢিলে তিনটে পাখি মেরেছেন।
আর আপনাদের স্যারও রাজি হয়ে গেল। সবাই তো মনে হয় লুঙ্গি ডান্স দেয়া শুরু করলেন, স্যার যখন রাজি হয়ে গেল।
আপনার স্টাডি ট্যুরের দ্বিতীয় পর্বের বেশ ভালোই লাগলো। আমার অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা লেখা আমাদের মাঝে উপহার দেয়ার জন্য।