আমার জীবনের প্রথম স্ট্যাডি ট্যুর (৯ম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম
হেলো স্টিমিয়ানস্,,,,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান আল্লাহর দোয়ায় আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো আছি।
আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার জীবনের প্রথম স্ট্যাডি ট্যুরের ৯ম পর্ব নিয়ে।
তো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,,,
আমরা তো সবাই অবাক থামতে কেনো বলতেছে! সাথে সাথেই দেখতে পেলাম আমাদের স্কুলের ভোকেশনাল শাখার টিচার মোঃ রায়হান খাঁন কিসের জানি দুইটি বস্তা নিয়ে আসছেন।বাসের সামনে এসে বস্তা দুইটির মুখ খুললেন তিনি।এরপর বস্তার ভেতর থেকে হাত দিয়ে একটা বনরুটির প্যাকেট,একটি সিদ্ধ ডিম আর দুইটি কলা দিলেন অন্তর ভাইয়ের হাতে।এভাবে এক এক করে নামতে থাকলাম আর ওনারা একেক জনের হাতে সেগুলো দিতে থাকলো যাতে করে কেউ বাদ না পড়ে যায়।
আমরা সকালের নাস্তাগুলো হাতে নিয়ে খেতে খেতে চলা শুরু করলাম।ডিম আর রুটিগুলো খেতে কোনো সমস্যা হয়নি তবে কলা আমরা কেউই খেতে পারিনি।একদম কাচা কলা শুধু কলার খোসাগুলো হলুদ হয়েছে।তাই কলাগুলো না খেয়ে সবাই ফেলে দিলাম বাঘা মসজিদের সামনে থাকা বিশাল পুকুরে।
এবার চলুন বাঘা মসজিদে কি কি দেখেছি সেটা বলা যাক,,,
বাঘা মসজিদের পেছন সাইডে বিশাল বড় একটি মাঠ.। বাঘা মসজিদটি প্রায় ২৫৬ বিঘা জমির ওপরে নির্মিত। এর মধ্যে মসজিদের পেছনে থাকা মাঠটিই নাকি ১০০ বিঘার বেশি। এই বিশাল মাঠের মাত্র একটি কোনাই আমরা ঘুড়ে দেখেছি কারণ এই জায়গাটিতে অনেক দোকান পাট বসেছিলো।মাঠটির একটি বিশাল অংশ আমের বাগানে ভর্তি। আমরা যখন গেছিলাম তখন মাত্র আমের মুকুল ধরা শুরু করেছিলো আমাদের কুষ্টিয়া জেলায়।তবে রাজশাহীতে দেখলাম আম অনেক আগেই বড় হয়ে গেছে।
এরপর আমরা বাঘা মসজিদের সামনে থাকা পুকুরটি দেখতে যাই।পুকুরটিও বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত।পুকুরটির চারপাশ বর্গাকৃতিতে ইটের দেওয়ালে ঘেড়া আর এর দেওয়ালের দৈর্ঘ্য ৪৮.৭৭ মিটার। তাহলে বুঝতেই পারছেন পুকুরটির বিশালতা কেমন হতে পারে।এই পুকুরে অনেক রকমের মাছ পাওয়া যায়। মাছের পাশাপাশি এখানে অনেক কচ্ছপও আছে বলে জানায় আশপাশের মানুষেরা।
বাঘা মসজিদঃ
বাঘা মসজিদটি বিশাল পুকুর ও মাঠের মাঝখানে সমতল ভুমি থেকে ৮-১০ ফুট উচু করে তৈরি করা হয়েছে মসজিদটি।মসজিদের পূর্ব পাশে পাঁচটি খিলানপথ আর উত্তর দক্ষিণে দুটি করে মোট নয়টি খিলানপথ ছিলে।মসজিদের উপরে ছিলো ১০ টি গম্বুজ আর মসজিদের দৈর্ঘ্য ২৩.১৬ ও প্রস্থ ১২.৮০ মিটার।
এরপর স্যারেরা ডাকলো আর বললো, এই খানেই কি সব সময় শেষ করে ফেলবে নাকি?আমাদেরকে আরো দুইটি স্পট বেরাতে হবে সেগুলোতেও তো সময় ব্যয় করা লাগবে তাই না!তাই তাড়াতাড়ি সবাই বাসে উঠে পরো।আমরা খুব শীঘ্রই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর দিকে রওনা দিবো।
স্যারদের কথা শুনে আমরা সবাই তাড়াতাড়ি বাসে উঠার জন্য বাসের দিকে যেতে থাকলাম। কারণ আমরা আজকে বোটানিক্যাল পার্কেও যাবো সেখানেও তো অনেক জিনিস দেখার আছে তাইনা, তাছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও যেতে হবে।
তবে আমরা সবাই বাসে উঠে অবাক!কারন সবাই বাঘা মসজিদ দেখতে গেলেও জনি কিন্তু বাসেই বসে রয়েছে।কারণ মেহেদির বমি ওর পুরো গায়ে লেগে আছে।তাই ও এত সময় ধরে বাসের মধ্যে বসে কাপড়-চোপড় চেঞ্জ করে বসে ছিলো।
চলবে,,,,
আজ আর নয় দেখা হবে পরের পর্বে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই আশা কামনা করেই শেষ করছি আজকের পর্ব।
ধন্যবাদ সবাইকে" আমার জীবনের প্রথম স্ট্যাডি ট্যুর(৯ম পর্ব) টি পড়ার জন্য।
ধন্যবাদান্তে,
@nasir04
যাহোক ভাই আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনার জীবনের একটা ঘটনা আপনি তুলে ধরেছেন কিন্তু একটি বিষয় আমি আপনাকে অবগত করছি এটা খারাপ বিষয়ে নিবেন না।
যে কোন একটি বিষয় আপনি আলোচনা করতে গেলে সেটার এক থেকে দুই পর্ব পর্যন্ত সীমিত রাখলে সেটা দেখতে অনেক ভালো লাগে এবং মানুষের আগ্রহ থাকে সেটা পড়ার আপনার এই যে পড়ালেখার পর্ব এতগুলো করেছেন এটাতে খুব একটা ভালো দেখাচ্ছে না যদি আপনি এই পর্বগুলো সব একত্রিত করে একটা বা দুইটা বা তিনটাও করতেন অনেকটা মজাদার হতো আশা করি পরবর্তীতে আপনি যে সকল পোস্ট পর্ব আকারে করবেন সেগুলো আমার কথাগুলো মাথায় রেখে করার চেষ্টা করবেন আশা করা যায় ভালো কিছু হবে।
তবে আপনার পড়ালেখা সম্পর্কে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা শেয়ার করলেন অনেক ভালই লেগেছে আশা করি আপনার কাছ থেকে পরবর্তীতে আরো ভালো কিছু পাব।
আপনার মুল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে ভাই আমি আমার পোষ্টটাকে ইচ্ছাকৃতভাবে এতোগুলো পর্বে ভাগ করিনি। আসলে আমি চেয়েছি প্রতিটি ঘটনাকে আপনাদের সামনে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরতে।সেজন্য পর্বগুলোর সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে।
আমি আপনার মতামতকে সাদরে গ্রহণ করে নিচ্ছি। ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মতামত জানানোর জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার জীবনের স্ট্যাডি ট্যুর ৯ম পর্ব খুবই সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জীবনের এই ঘটনাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোষ্টটিতে আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
তাহলে এই কারবার কলা দিয়েছে কিন্তু কলা কাঁচা 😃। কি আর করার আছে ফরমালিন দিয়ে যখন কলা পাকায় তখন এমনই হয়।
বাঘা মসজিদে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন ভালো লাগলো। আশায় থাকলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর ঘটনার শোনার জন্য।
হুম ভাই আপনি যেহেতু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন তাহলে বলেই রাখি আপনার জন্য খুব বড় একটা টুইস্ট আছে।
ঠিক আছে ভাই তাহলে অপেক্ষায় রইলাম।
Ok
আপনাদের কে দুইটি কলা একটা পাউরুটি, আর একটা সিদ্ধ ডিম। যেটা আপনাদের নাস্তা করার জন্য দেয়া হয়েছিল।
বাবা মসজিদে দেখছি অনেক কিছুই রয়েছে যেটা আপনাদের বুঝতে উল্লেখ করেছেন।
আপনার স্টাডি ট্যুরের নবম পর্বের গল্পটাও সাধারণ লাগলো ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু।
আপনার ট্যুর টা মাটি করে দিলো সেই কাচা কলা ৷ কি আর করার ভাই ঐ ভাবেই খেয়ে নিতেন পাউরুটির সাথে ৷ যাই হোক আপনার বাঘা মসজিদের ঘুরাঘুরি আর বাঘা মসজিদের বিবরণ টা অনেক সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন ৷ ধন্যবাদ ভাই অনেক কিছু জানতে পারলাম ৷