আমাদের সত্যজিৎ রায়

🎀হ্যালোবন্ধুগণ🎀

Steemit এবংIncredible India community এর বন্ধুগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালো আছেন।

আমি নাহিদা আক্তার বাংলাদেশ থেকে আমার ইজার আইডি nahid.abonআমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আমাদের সত্যজিৎ রায়ের কথা।

---

Source

সত্যজিৎ রায় হচ্ছে একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, শিল্প নির্দেশক, সঙ্গীত পরিচালক এবং নাট্যকার, সত্যজিৎ রায় 2রা মে, 1921 সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং 23শে এপ্রিল, 1992-এ তিনি মারা যান। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সেরা পরিচালক হিসাবে স্বীকৃত। সত্যজিতের জন্ম কলকাতার এক বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও শৈল্পিক পরিবারে। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কিশোরগঞ্জ (বর্তমানে বাংলাদেশ) কটিয়াদী উপজেলার মাসুয়া গ্রামটি তার পৈতৃক বাড়ি হিসেবে কাজ করত। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক শান্তিনিকেতনে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং একাডেমিক অধ্যয়নের জন্য কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন।
সত্যজিৎ একজন বহুমুখী এবং প্রবল চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন। 37টি ফিচার, ডকুমেন্টারি এবং শর্ট ফিল্ম সবই তাঁর দ্বারা নির্মিত। তার 1955 সালের প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী 11টি আন্তর্জাতিক প্রশংসা অর্জন করে, যার মধ্যে 1956 সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে "সেরা মানব ডকুমেন্টারি" পুরস্কার রয়েছে। অপু ত্রয়ী, পথের পাঁচালী, অপরাজিত (1956), এবং অপুর সংসার (1959) নামেও পরিচিত। ব্যাপকভাবে সত্যজিতের সেরা কাজ হিসাবে বিবেচিত। সত্যজিৎ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ তৈরি করেছেন যার মধ্যে রয়েছে চিত্রনাট্য লেখা, চরিত্র উন্নয়ন, সঙ্গীত রচনা, সিনেমাটোগ্রাফি, শিল্প নির্দেশনা, সম্পাদনা, শিল্পী ও প্রতিভাদের তালিকা এবং প্রচার নকশা।

[Infinix Hot 10]

চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি তিনি ছিলেন একজন কথাসাহিত্যিক, প্রকাশক, চিত্রকর, গ্রাফিক ডিজাইনার এবং সিনেমা সমালোচক। তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবন জুড়ে, তিনি অসংখ্য আন্তর্জাতিক সম্মান জিতেছেন, যার মধ্যে সবচেয়ে সুপরিচিত হল একাডেমী অনারারি পুরস্কার (অস্কার), যা তাকে 1992 সালে তার জীবনকালের কৃতিত্বের সম্মানে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও, তিনি 32টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একটি গোল্ডেন লায়ন এবং দুটি সিলভার বিয়ার পেয়েছেন।
তার ছোট গল্প এবং উপন্যাসের বইগুলি সাধারণত তরুণ এবং তরুণ পাঠকদের দিকে পরিচালিত হয়। গোয়েন্দা ফেলুদা এবং অধ্যাপক শঙ্কু তাঁর দুটি বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞানের সৃষ্টি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সত্যজিৎকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করে। সে বছর তিনি সরকারের কাছ থেকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্ন পান। সত্যজিৎ ভারতরত্ন এবং পদ্মভূষণের মতো প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় সম্মান অর্জন করেছেন।
2004 সালে, সত্যজিৎ বিবিসি কর্তৃক সর্বকালের 13তম সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। তার হৃদয়ের অসুবিধার কারণে, সত্যজিৎ 23 এপ্রিল, 1992 সালে মারা যান।

[Infinix Hot 10]

রায় পরিবারের ইতিহাস অনুসারে, তাদের একজন পূর্বপুরুষ শ্রী রামসুন্দর দেও (দেব) নদীয়া জেলার চাকদাহ গ্রামে বাস করতেন। ধন-সম্পদের সন্ধানে তিনি পূর্ববঙ্গের শেরপুরে গমন করেন। শেরপুরে জমিদার বাড়িতে তিনি যশোদলের জমিদার রাজা গুণীচন্দ্রের সাথে দেখা করেন। রামসুন্দাকে তার আকর্ষণীয় চেহারা এবং স্মার্টতার কারণে রাজা গুণীচন্দ্র জমিদারিতে নিয়ে আসেন। যশোদলে জমি ও বাড়ি-ঘর নিয়ে তিনি রামসুন্দরকে তাঁর জামাই করেন। এরপর থেকে রামসুন্দর যশোদল চলে যান এবং সেখানে বসবাস শুরু করেন। তারপর থেকে, তার পরিবার স্থানান্তরিত হয় এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে মসুয়া গ্রামে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। পারিবারিক ইতিহাসের ব্যাখ্যা

Source
বিজয়া রায় (অক্টোবর 1917 - জুন 2, 2015) একজন ভারতীয় লেখক এবং অভিনেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতীয় পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রী। তাদের ছেলে সন্দীপ রায় একজন চলচ্চিত্র পরিচালক। বিজয় ও সত্যজিৎ বিয়ের আগে থেকেই যুক্ত ছিলেন। 1944 সালে দীর্ঘ প্রেমের পর তাদের বিয়ে হয়। 1944 সালের বাংলা চলচ্চিত্র লক্ষ রক্ষায় বিজয়া রায় অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ড ভোকাল গেয়েছিলেন। ক্যাথরিন বার্গারের 1999 সালের ট্রিস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। ৯৭ বছর বয়সে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।