The diary game|| Better life with steem || 18-07-2024||Let independent Bangladesh come back again ||
স্বাধীন বাংলাদেশ আবার ফিরে অসুক |
---|
Hello,
Everyone,
প্রথমত, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।অনেকদিন পরে স্টিমিট প্ল্যাটফরর্মে যুক্ত হতে পেরেছি। আশা করি যে যেখানে আছেন সবাই ভালো আছেন । এত কঠিন সময় কখনো পার করতে হবে তা কখনো কল্পনা করিনি। কিছুদিন থেকে ছাত্রদের চলা শান্তিপূর্ণ কোটে আন্দোলনের ভিতর তৃতীয় পক্ষ আন্দোলনে নেমে পরেছে ।আর সেই আন্দোলনে সারাদেশ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে পরে। নতুন নতুন খবর গুলো শুনে সত্যি চোখে পানি চলে আসে ।
আর্মি বাবুর খুব তাড়াতাড়ি নাস্তা করে অফিসে চলে গেলেন এবং সে বললেন, ”আজ আসতে দেরি হতে পারে ”।মাঝে মাঝে অফিসের কাজের জন্য তিনি বাসায় আসতে পারেনা।কিন্তু আজ যেন খুব চিন্তা হচ্ছে।
এ যেন এক অচেনা দেশে আছি আমরা। আমাদের স্বাধীন সেই দেশ ফিরে পাবো কবে? ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা সবাই যেন গৃহবন্দী হয়ে গেছি। মানষিক চিন্তা নিয়ে আমি কিভাবে দিনটি কাটিয়েছিলাম তা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
যেহেতু ইন্টারনেট ছিল না তাই একমাত্র টেলিভিশন ছিল আমাদের ভরসা । অনেক সময় বসে খবর দেখছিলাম ।সারা দেশের খবর দেখি ছিলাম আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি , সবকিছু স্বাভাবিক করে দেও ।আমি যখন অনেক ভয়ে অথবা চিন্তায় থাকি তখন নিজেকে কাজের ভিতর ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করি ।
দুপুরে রান্না করার শেষে কিছু গাছ লাগাই। নীলকন্ঠ ফুলের এই বীজগুলো আমি বরিশাল থেকে নিয়ে এসেছিলাম । ব্যস্তর জন্য লাগানো হয়নি । সে বীজগুলো লাগিয়ে নিলাম ।
আকাশটা কত সুন্দর! নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ।আশা করি আমাদের এই বিপর্যয় কেটে যাবে , সুন্দর একটি দিন আমরা দেখতে পারব ।মেয়েটা তার ছোট মায়ের বাসায় ।একা একা ভালো লাগছে না। আর্মি বাবু ফোন দিয়ে বললেন , আজ বাসায় আসতে পারবে না , আমাকে খাবার খেতে বললেন। দুপুরে খাবার খেয়ে নিয়ে আবার টিভির সামনে বসে পরি।
মনে হচ্ছে যেন কি একটা নাই, অনেক অস্থির লাগছিল । সন্ধ্যাযকালীন প্রার্থনা করে নিলাম ।একা একা দিনটা পার করা অনেক কঠিন হয়ে যাচ্ছে । ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ ছিল। বাড়ি থেকে সবাই ফোন করে খোঁজ নিচ্ছিলেন । রাত যেন পার হচ্ছেনা । কিভাবে রাত পার করব তাই খুঁজে খুঁজে কাজ বের করে কাজ করছি।
এই ওয়ালমেটটি আমি শুরু করেছিলাম ২০২০ সালে। বিভিন্ন ব্যস্ততার জন্য এই কাজটি করা হয়নি । এটি খুজে বের করি এবং কাজ শুরু করি। এই ওয়ালমেটটির করার পিছনে একটি কাহিনী আছে, তা অন্য আরেকদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব। রাত বারোটা বেজে গেল তখনও খবর দেখছি আমি ।
কখন যে রাত ১টা বেজে গেলো বুঝতে পারিনি । হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজ শুনে মনটা ভয় কেঁপে উঠল । দরজার ওপার থেকে আর্মি বাবু বলনেন, আমি এসেছি। তার কন্ঠো শুনে অনেকটা শস্তি পেলাম।
সব সময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি, সকল মায়ের সন্তান যেন ভালো থাকুক ,নিরাপদে থাকুক। আমাদের দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসুক। আমরা আগের সেই চেনা দেশটি ফিরে পাবো। আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি, ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
সারাটা দিন মোটামুটি বেশ কাজ করেছেন আপনি । আপনার মত আমিও গাছ লাগাতে বেশ পছন্দ করি। ওয়ালমেট এর কাজ করা আমার বেশ পছন্দ তবে এখন আর সময়ের সুযোগের অভাবে করাই হয় না একটা দেখে কিন্তু বেশ ভালই লাগছে সম্পন্ন করে একদিন কাহিনীটা জানাবেন।