কালী পুজোর কিছু পুরনো স্মৃতি
Made by Canva |
Source |
ছোটবেলার পুজোর সময় যে আনন্দটা আমরা উপভোগ করতে পারতাম বর্তমান সময়ে সেই আনন্দটা আর পাচ্ছিনা। আমাদের বাচ্চারাও সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।পুজো মানে স্কুল ছুটি ।পুজো মানে মামা বাড়িতে যাওয়া , অনেক মজা করা ।বিশেষ করে কালী পুজোতে মামা বাড়িতে আমাদের অনেক মজা হত । এখন পূজো মানে সেলফি তোলা, ফেইসবুকে পোস্ট করা ,লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করা।
Source |
মামা বিভিন্ন রকম আতশ বাজি । সারা রাত ধরে সেই আতশবাজি ফাটানো হতো । পুজো চলত সারারাত ব্যাপী আর ওদেরও আনন্দ চলতে সারারাত ব্যাপী ।কারো চোখে কোনো ঘুম থাকতো না। ঘট ভাজি সহ বিভিন্ন ধরনের বাজি বানাতো।
তুগ্রি ভাজি বা ঘট ভাজি এই বাজিটা মামারা খুব সুন্দরভাবে বানাত ।এই বাজিতে তারা ব্যবহার করত কুলকাঠ, পটাশিয়াম বা সোরা ,গন্ধক ও লোহাচূর্ণ ।কুল কাঠ কুড়িয়ে কয়লায় পরিণত করত এবং সেগুলো গুঁড়ো করে নিত ।পটাশিয়াম গুঁড়ো করে নিত ।গন্ধক ও লোহাচূর্ণ তাও গুঁড়ো করে সব একত্রে সব উপকরণ একত্রে মিশিয়ে তুব্রিবাজি বা ঘরবাড়ি বানাত। মাটির ঘটের ভিতরে এই উপকরণগুলো মিশিয়ে বাজি তৈরি করা হতো বলেই এটা কি ঘট ভাজি বলা হত ।সে সময় গুলো সত্যি অনেক সুন্দর ছিল। তখন হয়তো এতটা ডিজিটাল লাইটিং ছিল না ।তবে , তাদের আতশবাজিতে আলোকিত হতো ।
Source |
আবার পুজোর পরবর্তী দিনে অনেক মজা হত ।তখন কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে মেণা হত ।আমাদের অঞ্চলে তাকে” কালী দশরা ” বলত সেখানে সবার প্রতিমা একত্রিত করতো এবং সেখান থেকে বাছাইকৃত সুন্দর প্রতিমার প্রতিযোগিতা হত ।
|Source|
কিশোরী মেয়েরা শাড়ি পড়ে মেলাতে ঘুরতে যেত। আমি আমার বোনদের সাথে শাড়ি পরে ঘুরতে গিয়েছিলাম ।তখন আর্মি বাবু (আমার স্বামী) এসেছিলেন সেই মেলাতে । আমাদের প্রথম দেখা হয় ,তবে আমাদের কোন কথা হয়নি ।পরে শুনেছিলাম আমাকে প্রথম দেখায় নাকি খুব ভালো লেগেছিল তার ।কিন্তু তিনি সেটা সরাসরি কখনোই আমাকে বলেনি ।তার মায়ের কাছে বলেছিলাম এবং তিনি আমার বড় মামাকে বলেছিলেন ।
আমাদের দেখা হবার আট মাস পরে বড় মামা কে সাথে নিয়ে আর্মি বাবু আমাদের বাড়িতে আসেন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে । প্রেমের ফুল ফোটার আগেই আর্মি বাবু বিয়ের ফুল নিয়ে হাজির হলেন । আমি তখন দশম শ্রেণির ছাত্রী । পুজোর এই দিনগুলো এলে সেই পুরন স্মৃতিগুলো মনে পড়ে ।
এরকম কিশোর কিশোরী জীবনের হাজারোও স্মৃতি থাকে পুজোকে ঘিরে ।অনেকে পূজো দেখতে এসে প্রেমে প্রস্তাব দেয় আবার ঠাকুরদর্শনের সাথে সাথে তার জীবনসঙ্গীও খুঁজে পাচ্ছে ।পুজোর এই দিনে হাজারো ছোট ছোট ঘটনা থাকে সবার জীবনে । অনেক কিছু বলে ফেললাম আজ ।
পুজোর সময়ই দাদার সাথে আপনার দেখা আর পরবর্তী সময়ে বিয়ে হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। দাদাকে দেয়া আপনার এই আর্মি বাবু নামটা খুব ভালো লাগে। আমার পরিচিত একজন তার জামাইকে ডাকে সেজদা নলে।আমিতো শুরুর দিকে বোঝতেই পারতাম না কার কথা বলতেছে।তবে প্রিয় মানুষকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন সে প্রিয় ই থেকে যায়।
তবে ঘটবাজি যে বাড়িতে বানানো যায় এ সম্পর্কে কোন আইডিয়া ছিল না আমার। আপনার লেখা নতুন একটা জিনিস জানা হলো। শুধু তাই না কিভাবে তৈরি হয় সেটাও জানলাম । খুব সুন্দর করে আপনার স্মৃতিতে থাকা কালীপূজা শেয়ার করেছেন আপনি।
ভালো থাকবেন সবসময়। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
বাহ!খুব ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে কিভাবে আর্মি বাবু প্রেমের ফুল ফোটার আগে বিয়ের ফুল ফুটিয়ে দিলেন গল্পটি পড়ে খুব ভালোই লাগলো। তবে আর্মি বাবু সুন্দরভাবে সঠিক পথেই এগিয়ে ছিলেন।পারিবারিকভাবে নিজের পছন্দ ব্যক্ত করেছেন।এটি ভালো মানসিকতার উদাহরণ ।
আপনি অনেক ধরনের বাজির কথা বলছেন। বাজি সম্পর্কে আমার কখনো কোন ধারণাই ছিল না। এটি যে নিজেরাও তৈরি করা যায় এটা জানতাম না। পুরো পোস্টটি আপনি উপভোগ্য করে তুলেছেন আপনার লেখনীতে। এজন্য আপনাকে আজকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়।ভালো থাকবেন।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
দীপাবলির শুভেচ্ছা।।
আপনার লেখনী পড়ে আর্মি বাবুর সাথে প্রথম দেখার বিষয়টি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন সব সময়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ।
আপনার লেখাট পড়ে আপনার কালী পুজোর পূরানো স্মৃতি সম্পর্কে জানতে পারলাম। আপনি আপনার পোস্টের মধ্যে খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন।
আপনি আপনার পোস্টের মধ্যে একটা কথা বলেছেন প্রেম ফুল ফুটতে তে না ফুটতে আপনার বিয়ের ফুল ফোটে গেছে। যাইহোক খুবই ভালো লাগল আপনার পোস্টটি পড়ে।
আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় পোস্ট পড়ার জন্য অপেক্ষা থাকলাম এবং আপনি ভালো থাকবেন সবসময় সেই কামনা করি।
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার মন্তব্যের রিপ্লে দেওয়ার জন্য।
আপনি কালী পূজোর পুরনো স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ৷ আপনার কিছু পুরনো স্মৃতি গুলো জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো ৷ কালী পূজোতে অনেক আনন্দ করে থাকি আমরা সবাই ৷
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ।
আপনার কালী পূজা কে ঘিরে রয়েছে অনেক ম্মূতি।আপনি ঠিক ই বলেছেন।বিয়ে বা কোন সামাজিক উৎসবে গেলেই,অনেকেই বিয়ের বা প্রেমের প্রস্তাব পায়। আমি ও পেয়েছিলাম দিদি।
প্রেমের প্রস্তাব।তবে ছেলেটিকে আমার চোখে লাগেনি। তাই পাত্তা দেই নি। আগে দর্শন দারি পরে গুণ বিচারি। মানে তো সবাই জানি।তা ও বলছি।এর মানে হলো দেখতে সুন্দর না লাগলে এর গুণ বিচার করতে খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ
করেনা। ধন্যবাদ দিদি। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এভাবে সব সময় পাশে থাকবেন।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা ।
আপনাকে ও পুনরায় অসংখ্য ধন্যবাদ। খুব সুন্দর ভাবে আপনি কালী পূজা নিয়ে আপনার স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ আপু।
আজকে আপনি আপনার অতীতের কালীপুজোর দিনগুলো মনে পড়ে গেল। কেননা শৈশবের দিনে কালীপুজো নিয়ে আপনি অনেক বেশি আনন্দে মেতে থাকতেন। আপনার মামা আপনাদের জন্য আতশবাজি নিয়ে আসতো। সাত দিন ধরে সেই আতশবাজি নিয়ে ফোটানো শুরু করতেন।
কিন্তু আপনি লিখেছেন বর্তমানে সেই আনন্দ এখন আর খুঁজে পান না। আসলে আমাদের শৈশবটা হয়ে থাকে অনেক বেশি আনন্দঘন মুহূর্ত, আমরা সেই মুহূর্তটাকে হয়তোবা ভালোভাবে উপভোগ করতে পারিনি। কিন্তু সেই শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে পড়লে বেশ খারাপ লাগে। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনার জীবনে আনন্দগুলো আবারও ফিরে আসুক। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আজকে আপনি আপনার অতীতের কালীপুজোর দিনগুলো মনে পড়ে গেল। কেননা শৈশবের দিনে কালীপুজো নিয়ে আপনি অনেক বেশি আনন্দে মেতে থাকতেন। আপনার মামা আপনাদের জন্য আতশবাজি নিয়ে আসতো। সাত দিন ধরে সেই আতশবাজি নিয়ে ফোটানো শুরু করতেন।
কিন্তু আপনি লিখেছেন বর্তমানে সেই আনন্দ এখন আর খুঁজে পান না। আসলে আমাদের শৈশবটা হয়ে থাকে অনেক বেশি আনন্দঘন মুহূর্ত, আমরা সেই মুহূর্তটাকে হয়তোবা ভালোভাবে উপভোগ করতে পারিনি। কিন্তু সেই শৈশবের স্মৃতিগুলো মনে পড়লে বেশ খারাপ লাগে। আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আপনার জীবনে আনন্দগুলো আবারও ফিরে আসুক। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।