Better life with steem || The Diary Game || 4 September, 2024 ||
জীবন থেকে আরেকটি দিন পার হয়ে গেল। মনে হচ্ছে আমার বেঁচে থাকার ডাইরি থেকে আরেকটি পাতা ছিড়ে গেল। সকলে বলে, ”আমরা বড় হচ্ছি”। আসলে আমরা কি বড় হচ্ছি ? না. বরং আমাদের জীবন থেকে একটি দিন পার হয়ে গেলো।
গতকাল রাতে আমি ১১:৩০ মিনিটে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তাই আজ সব খুব সকাল বেলা উঠেপড়ি । ঘুম থেকে উঠে সূর্য দেবতা কে প্রণাম করি ।তখনও ওরা সকলে ঘুমাচ্ছিল । আজকের অফিস ছুটি ছিল তাই সকাল বেলা কাজের কোন চাপ ছিল না । আমাদের কমিউনিটিতে এমাসের প্রথম সপ্তাহের প্রতিযোগিতার চলছে ।এই প্রতিযোগিতা আমি আমার অংশগ্রহণ পোস্ট শেয়ার করি।
আজ লোকনাথ বাবার আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে আমি উপবাস ছিলাম। ছোট্ট করে বাসায় লোকনাথ বাবার পুজো করি। লোকনাথ বাবা ছিলেন একজন হিন্দু সিদ্ধপুরুষ। তিনি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ , খ্রিষ্টান এমন অনেক ধর্ম সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করেন । তিনি বিশ্বাস করতেন ধর্ম ভিন্ন হোক কিন্তু আমরা সকলেই মানুষ এবং আমাদের সকল ধর্মেরই এক সৃষ্টিকর্তা।
তিনি এক এবং অদ্বিতীয় তাই আমরা সকলেই সকলের ভাই অথবা বন্ধু । বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বারদী আশ্রম অথবা কলকাতার চাকলা বাবার মন্দিরে গেলে আমরা দেখতে পাই, সেখানে হিন্দু-মুসলিম সকল শ্রেণীর লোক বাবার ভক্ত ।
পোস্টটি করে মেয়ের জন্য নাস্তা দিলাম । আমি দুপুর ১২:৩০ মিনিটে বাসায় সমস্ত কাজ সেরে লোকনাথ বাবার পুজো করি এবং ফল ভোগ দিয়েছি। এবং আজকে শুধু মাছ ভাত রান্না করেছিলাম। আমি দুপুরে খাবার খেয়ে অনেকে ক্লান্ত ছিলাম তাই আজকের একটু বিশ্রাম নিলাম।
ল্যাপটপ থেকে স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে |
Facebook এর একটি পোস্ট দেখে সত্যি খুব অবাক হয়ে যাই। এই মাসটি হলো আমার মায়ের বান্ধবী। আমার বাবার যখন বরিশাল জেলার বেতাগী উপজেলায় পোস্টিং ছিলেন তখন তার সাথে আমাদের পরিচয় ছিল। তিনি খুব পরিপার্টি এবং খুব সুখী একজন মহিলা ছিলেন । একজন বড় ব্যবসায়ীর স্ত্রী ছিলেন ,তাদের অনেক নাম ডাকছিল । তার বাড়িতে দু- তিনজন কাজে লোক ছিল ।আমার বাবা অবসরে আসার পরে আমরা গ্রামের বাড়িতে চলে আসি কিন্তু তার সাথে আমাদের ফোনে যোগাযোগ ছিল ।
ল্যাপটপ থেকে স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে |
আমরা চলে আসার কিছু দিন পরে মেসো মারা যান ।মাসির দুটি ছেলে। বড় ছেলে বাবার ব্যবসা সামলাচ্ছে এবং ছোট ছেলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ।তার সংসারটা খুব সাজানো গোছানো ছিল। বড় ছেলে একটি মেয়েকে ভালোবাসতো ।বাবা প্রথমমতো এই সম্পর্ক মেনে নিয়েছিল না কিন্তু মা- ছেলের পক্ষ হয়ে বাবাকে বুঝিয়েছিলেন এবং সেই মেয়েকে তার ঘরের লক্ষী কি করে নিয়ে এসেছিল। আশ্চর্য ব্যাপার এই যে, মেসোমশাই মারা যাবার এক বছর যেতে না যেতেই সেই ছেলে ও বউয়ের আসল রূপ বেরিয়ে আসলো ।
শুরু হলো মাসীর উপর অত্যাচার ।তার সংসারের সমস্ত কিছু তো নিয়ে নিয়েছে ।সংসারের চাবি, ব্যবসা-বাণিজ্য ।যেহেতু তার বড় ছেলে ব্যবসা চালাচ্ছে এদিক থেকে টাকা পয়সা তো সে এমনিতে পাচ্ছে। এবার লোভ পরলো শাশুড়ি মায়ের অলংকারের দিকে । মাসী তার দুই ছেলের জন্য সমানভাবে ভাগ করে তুলে রেখেছিলেন। যেহেতু বড় ছেলে বিয়ে করালো তাই সেই বড় ছেলের বউকে তার অর্ধেকটা অলংকার দিয়ে দেয় ।
ছোট ছেলে যেহেতু এখনো বিয়ে করেনি তাই তার জন্য রাখা অলংকার মাসির কাছে ছিল। এখন সেই লোভী বউ সেই অলংকারের দিকে নজর পরেছে ।সে সমস্ত অলংকার তার নিজের করে নিতে চাচ্ছে তাই কথায় কথায় শাশুড়ি নানা ভুল ধরে। এমনকি বাসায় দু -দুই জন কাজের লোক থাকার শর্তেও শাশুড়ি মাকে দিয়ে রান্না করাচ্ছে। যদি রান্নায় কোন ভুল ত্রুটি পেয়ে থাকে তাই নিয়ে প্রতিদিনই ঝগড়া লেগেই থাকে । এমন ছোট্ট একটি অজুহাত দিয়ে শাশুড়িকে এমন ভাবে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করে যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না ।এই পোস্টটি তারই প্রতিবেশীর মেয়ে শেয়ার করেছিল ।
ল্যাপটপ থেকে স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে |
যে মা এই ছেলে বউকে ঘরের লক্ষ্মী হিসেবে বরণ করার জন্য বাবার সাথে যুদ্ধ করেছে আর সেই ছেলে বউ তার শাশুড়ি মাকে এইভাবে প্রতিনিয়ত একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এতটা অত্যাচার করে ওর কি একটু বিবেকে বাধেনা! আজ না হয় সে বউ কিন্তু আগামী দিন তো সেও শাশুড়ি হবে। তার সাথে যে এই রকম ব্যবহার হবে না সেটা কি সে বলতে পারে ।তারপর ধরা যাক তার সাথে এরকম হবে না। তারও তো মা আছে।
আগের দিনে শুনতাম, শাশুড়িরা বউয়ের উপর অত্যাচার করতে আর এখন দেখছি তার বিপরীত ।ছেলে বউরা শাশুড়ি মা এর উপর অত্যাচার করে ।
আমাদের এই পৃথিবীটা সুন্দর ভাবে চলতে পারে না ।সকলের স্বার্থ একটু ত্যাগ করতে পারে না। হ্যাঁ ধরেনিলাম তার শাশুড়ি তাকে কিছু কথা শুনিয়েছেন তারপরেও সে তো গুরুজন ।গুরুজনরা কখনো সন্তানের খারাপ চাইতে পারেনা। হয়তো তাদের ভালোর জন্য দুটো কথা বলতে পারে তাই বলে তাকে এমন ভাবে আঘাত করা হবে।একই জায়গায় বারবার আঘাত করার পরে মার্সেল লক হয়ে রক্ত জমাট বেধে গেছে ।ডাক্তার বলেছেন ,যার কারণে তার পা নষ্ট হয়ে যেতে পারে
আজ তার চারতলা বাড়িতে থাকতে পারছে না। আজ তার ভাগ্নের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে ।আমরা সকলে ঘরের লক্ষী নিয়ে আসি ঘর গোছানোর জন্য আর সেই অলক্ষী এসে ঘরের লক্ষ্মীকে তাড়িয়ে দেয় ।এরা কি আইনগত শাস্তি পাবে বা ঈশ্বরের দেয়া শাস্তি পাবে ,আমি জানিনা ।তবে আমি ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা করি এই মেয়েটার শুভ বুদ্ধি উদয় হোক ।সৃষ্টিকর্তা অথবা আইন এমন মেয়েটাকে শাস্তি দিক যেন কোন ছেলের বউ আর শাশুড়িকে এইভাবে অত্যাচার না করতে পারে।
ঘুম হলো না আমার ।এভাবেই সময়টা কেটে গেল । সন্ধ্যা হয়ে আসে। ফ্রেশ হয়ে সন্ধ্যেকালের প্রার্থনা করে নিলাম ।মা লক্ষ্মী অচলা হয়ে এই সংসারে বিরাচ করুক ,সকল অশান্তি দূর করো ,সকলের মন মায়া, মমতা, ভালবাসায় ভরিয়ে দিও ।আজ এখানে শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং মা /শাশুড়ি মা, বাবা/ শ্বশুরমশাই এদের সবাইকে সমান চোখে দেখি এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি।
Device | Description |
---|---|
Smartphone | oppo |
Smartphone Model | oppo A83(2018) |
Photographer | @muktaseo |
আমরা নতুন সকাল দেখে যতটা খুশি হয় তার চাইতে হয়তোবা মন খারাপ করাটাই আমাদের বেশি প্রয়োজন । কেননা জীবন থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন ফুরিয়ে গিয়েছে । তবুও সবাই নতুন দিনে নতুন স্বপ্ন দেখার চেষ্টা করে।
মানুষ মানুষকে কিভাবে মারতে পারে এটা আমার বোধগম্য নয়। মানুষের ভিতরে মনুষত্ব যদি না থাকে আমি মনে করি সে মানুষ নায় পশুর চেয়েও অধম। তারাও তো একদিন বৃদ্ধ হবে তাদেরও তো ছেলে-মেয়ে বড় হবে সেই ছেলেমেয়ে যদি তাদের গায়ে হাত দেয় তাহলে তখন কেমন লাগবে । এই চিন্তা এই ভাবনাটা তাদের মাথায় কি একবারও আসে না। কিভাবে আমি সান্ত্বনা দেব এই ভাষাটা হারিয়ে ফেলেছি কেননা এরকম ঘটনা হয়তোবা অহরহ ঘটছে আমাদের চোখের আড়ালে।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
আমাদের সমাজে মানুষ রুপি কিছু অমানুষ আছে, যাদের ভিতরে সামান্য মনুষত্ববোধটুকুও নাই, একজন মানুষ কিভাবে পারে নিজের মাকে কষ্ট দিতে, এ সমস্ত কুলাঙ্গার সন্তানদের আইনের আওতায়নে শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন, আপনার পশু থেকে ভালো লাগলেও আপনার মাসির উপর অত্যাচার দেখে খুব খারাপ লেগেছে।
আয়নায় মানুষের বাহিরের অংশ না দেখিয়ে যদি মানুষের ভিতরের রূপটাকে দেখা যেত তবে বোঝা যেত যে মানুষ কতটা ভয়ংকর। সে তার নিজের রূপ দেখে ভয় পেয়ে যেত। আমিও চাই আপনার মত এর সঠিক বিচার হোক।
আপনার মাসির কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো। সত্যিই মানুষ এরকম কি করে হতে পারে। শাশুড়ি মায়ের উপর এইরকম অত্যাচার যারা করে তাদের মানুষ বলে মনে হয় না। তাদের সমাজে বাস করাই উচিত নয়। আমি শুনেছি শাশুড়িকে খেতে দেয় না। হয়তো বা বাড়িতে থাকতেও দেয় না। কিন্তু এভাবে গায়ে হাত তুলে অত্যাচার করে এই প্রথম শুনলাম। শিক্ষিত সমাজের এখনো এরকম ধরনের মানুষ বসবাস করে শুনে খুব অবাক লাগলো।
ঘুম হলো না আমার ।এভাবেই সময়টা কেটে গেল । সন্ধ্যা হয়ে আসে। ফ্রেশ হয়ে সন্ধ্যেকালের প্রার্থনা করে নিলাম ।মা লক্ষ্মী অচলা হয়ে এই সংসারে বিরাচ করুক ,সকল অশান্তি দূর করো ,সকলের মন মায়া, মমতা, ভালবাসায় ভরিয়ে দিও ।আজ এখানে শেষ করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং মা /শাশুড়ি মা, বাবা/ শ্বশুরমশাই এদের সবাইকে সমান চোখে দেখি এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি। 🙏💫🌈
ভাষা হারিয়ে ফেললাম তার পোস্টটি পড়ে, পৃথিবীতে এরকম অনেক কুলঙ্গার সন্তান আছে যারা আপন মায়ের প্রতিও সহানুভূতি দেখায়।। যে মেয়ের জন্য মা তার বাবাকে বুঝিয়েছে আর সেই মেয়ে তার উপর নির্যাতন করছে এরকম ছেলে এবং ছেলের বউকে ধিক্কার জানাই।।
আচ্ছা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন একটু শান্তির দেখা পায়।।