Better Life with Steem|| The Diary Game|| 29 September 2024|| অবশেষে প্রাণ ফিরে পেলাম ||
Made by Canva |
Hello,
Everyone,
আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন । আমিও আপনাদের আশীর্বাদ নিয়ে ভালো আছি । দীর্ঘ পাঁচ দিন পর আজ প্রাণ ফিরে পেলাম । এই পাঁচটি দিন আমার প্রিয় প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে পারেনি ।এমনকি , অনলাইন কোন মাধ্যমে যুক্ত হতে পারিনি সেজন্য আমি সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ।
ছবিগুলো ২৮ তারিখ রাতের তোলা , ইন্টারনেট চালু করার চেষ্টা |
---|
যখন আধুনিক প্রযুক্তির আবিষ্কার হয়নি তখনও আমাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে একটি দিনও আমরা ইন্টারনেট সেবা ছাড়া থাকতে পারিনা। মনে হচ্ছে যেন আমাদের কিছু একটা নাই ।কি এক অজানা শূন্যতা আমাদের কাজ করে সারাক্ষণ ।
যতই কাজ করি না কেন তারপরও মনে শান্তি পাচ্ছিনা কারন স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম দিনে অন্তত একবারও যুক্ত হতে হবে। এই প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়াটা আমার এখন নেশায় পরিণত হয়েছে। এই পাঁচটি দিন এত চেষ্টা করার পরও আমি যুক্ত হতে পারিনি। অবশেষে আজ আমার প্রাণ ফিরে পেলাম তাই তো আমি আবার আমার প্রিয় প্ল্যাটফর্মে চলে এসেছি আমার মনোভাব প্রকাশ করতে ।
২৮ তারিখ রাতে স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে পারছি না |
---|
ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও এর গতি খুবই কম। আমার পোস্ট শেয়ার করার জন্য তাই ল্যাপটপ নিয়ে টাইপ করতে বসে পড়লাম ।এরিমাঝে আমাদের কমিউনিটির অনেক সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা চলে গেল তাও অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। যা হোক ৫ দিন পরে আবার যুক্ত হতে পেরে ভালো লাগছে। আমার ২৯ তারিখের দিনলিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
কিছুদিন পরে যেহেতু সতা সনাতন ধের্মের বড় উৎসব ”শারদীয় দূর্গা উৎসব” তাই একটু ব্যাস্ততায় দিন পার করছি। ঘর গোছানো , আত্মীয় পরিজনদেরকে সাধ্যমত কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করা, এইসব নিয়ে দিনগুলো পার করছি। আজও খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলাম কারণ আজকে অনেক কাজ ছিল।
প্রথমত বাসায় গিজার বসাতে লোক আসবে, দ্বিতীয়ত পুজার শপিং করতে হবে তাই বিকেলবেলা মার্কেটে যেতে হবে। প্রতিটি নারী চায় তার ছোট্ট সংসার একটু একটু করে সাজাতে আমারও তাই ইচ্ছে ।আমার সাধ্যমত অল্প অল্প করে এই ছোট্ট সংসারটি গুছিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে খেলাঘর বাঁধতে এসেছি।
এখনো সবকিছু গুছিয়ে নিতে পারেনি ।মধ্যবর্তী ফ্যামিলির সবকিছু একত্রে গোছানো সম্ভব না তাই আমাদের প্রতিনিয়ত হিসাব করে পথ চলতে হয় ।আমরা পরিবারের সকলকে নিয়ে সুখে থাকার চেষ্টা করি তাই মাঝে মাঝে নিজের ইচ্ছে গুলোকে বঞ্চিত করতে হয় ।গত মাসে মেয়ের পছন্দ অনুযায়ী একটি খাট তৈরি করা হয়েছে। এই মাসে সংসার সাজানোর কিছু জিনিস এবং দুটি গিজার বসালাম। যেহেতু শীত চলে এসেছে। এটি প্রয়োজন সব থেকে বেশি ।সকলের কথা বিবেচনা করে আমাদের কাজ করতে হয় কারণ বাসায় বৃদ্ধ বাবা-মা আসেন ।
দুইবাড়ির জন্য পূজার উপহার পাঠাতে হবে ,সবকিছু বিবেচনা করে চেষ্টা করছি সংসারকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে নেওয়ার। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবং গুরুজনদের আশীর্বাদ নিয়ে আমিও চেষ্টা করছি সকলের মন জয় করতে। জানিনা কতটা পারবো, তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আপনারা সকলেই জানেন, আমার রান্নার শেখা আমার হ্যাসবেন্ড (আর্মি বাবুর) কাছ থেকে ।আমরা প্রতি শুক্রবার নতুন নতুন রান্না করার চেষ্টা করতাম ।বাকিটা আমার চেষ্টায় আজ আমি সফল হয়েছে কিন্তু সব থেকে কষ্টের একটি বিষয়ের রান্না হল ”শুটকি মাছ” রান্না করা । যেটা আমি এত বছরেও চেষ্টা করেও খেতে পারেনি। শুটকি মাছটা তিনি খুবই পছন্দ করেন। কিন্তু আমি রান্না করে দিলে আমি নিজেই সেদিন ভাত খেতে পারি না ।জানিনা কেন এরকম হচ্ছে ,আমি বরিশালের মেয়ে বলে তাই !
অনেকে আমাকে নিয়ে হাসে । আমার মেজো জ্যা কুমিল্লার মেয়ে , সে শুটকি অনেক পছন্দ করে এবং সুন্দর করে রান্না করতে পারে। আমি রান্না করে দিতে পারি কিন্তু শুটকি মাছের সেই গন্ধে আমি সারাদিনই অসুস্থ থাকি। খাবার দাবার তো একদমই খেতে পারি না। আজ অনেকদিন পর তার ইচ্ছে হল শুটকি মাছ খেতে । আমি রান্না করলাম এবং দুপুরবেলা তারা তৃপ্তি করে খেলো ,তবে আজও আমি খেতে পারিনি।
আমরা বিকেল ৩টার সময় বাহিরে বের হলাম । মেয়ের জন্য নিলাম, বাবার বাড়ি জন্য ও শ্বশুর বাড়ির জন্য কেনাকাটা করলাম ।তারপরে গেলাম ইলেকট্রনিক্স শোরুমে ।যেহেতু আমার একটি ওভেন এবং ওয়াশিং মেশিনও দরকার। এই দুটি জিনিসের যা মূল্য চাচ্ছে তাতে আমার দুটি একত্রে ক্রয় করা সম্ভব না ।যেকোনো একটি ক্রয় করতে হবে তাই আজ আর একটাও নিলাম না ,শুধুমাত্র দেখেই চলে আসলাম। দেখি পরবর্তী মাসে কোনটি ক্রয় করা যায়।
বাসায় ফিরতে রাত নয়টা বেজে গেল । মেয়ের পছন্দের দই ফুচকা নিলাম, আমি চটপটি আর তিনি হালিম নিলেন , তবে আমি আর মেয়ে দই ফুচকা এবং চটপটি শেয়ার করে খেয়েছিলাম ।চটপটি অনেক ঝাল ছিল । তা খাবার শেষে দই ফুচকা নিলাম সবকিছু ব্যালেন্স হয়ে গেল ।বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
এভাবে কেটে গেল আমার প্রাণহীন আরেকটি দিন। সকলে ভালো থাতুন এবং পরিবারের সকলে মিলে সুস্থ থাকুন ।
Device | Description |
---|---|
Smartphone | oppo |
Smartphone Model | oppo A83(2018) |
Photographer | @muktaseo |
X
https://x.com/muktaseo/status/1840821304146214964
Your post has been supported by THE QUEST TEAM. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags