Better Life With Steem || The Diary game || 29 March 2024||
Made by Canva |
Hello,
Everyone,
অন্য দিন থেকে আজকের সকালটা আমার অন্যরকম ছিল । এই দুই সপ্তাহ ধরে বাসার মালামাল গোছাচ্ছি তাও যেন গোছানো শেষ হয় না ।আজ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হলো । সাতটার সময় ট্রাক চলে আসবে ।আমার সবকিছু প্যাকিং প্রায় শেষ তবে রান্নাঘরে দুটি বক্স বাকি ছিল। সকাল সকাল উঠে আমি সেগুলো বক্স ভিতর দিয়ে দিলাম ।
মাসি বলেন, সকালের নাস্তা আর কোন ঝামেলা করতে হবে না তোমার, আমাদের বাসায় নাস্তা করবা। তাই সকালেও আমি কিছু তৈরি করিনি ।এরই মাঝে ট্রাকের লোকজন চলে আসলো মালামাল ট্রাক এ লোড করতে শুরু করে ।
চাকরিজীবী ফ্যামিলিদের এই একটি সমস্যা ।তাদের জীবন মনে হয় যেন ”ভাসমান জীবন” ।কথায় আছেনা ,পাখির বাসা ঠিক থাকে কিন্তু মানুষের বাসা ঠিক থাকে না আমাদেরও তিন বছর পর পর পোস্টিং হওয়া এবং তিন বছর পরে বাসা পরিবর্তন করা এ যে স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে ।
বরিশাল জেলাতে এসেছিলাম ২০১৯ সালে । এখানকার মানুষগুলোর সাথে ভালো একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল কিন্তু আজ হলো আমাদের সেই বরিশাল জেলা ছাড়ার পালা ।
গতরাতে তোলা ছবি |
---|
আমি যে শহরেই চাই না কেন সবসময় আমি ভালো প্রতিবেশী পেয়েছি । কিছু দিনের পরিচয় তাদের সাথে, মনে হয় অনেক দিনের চেনা তারা এবং অনেক আপনজন ।আমার জীবন চলার পথে তাদের সাথে কাটানো দিনগুলো আমার স্মৃতি হয়ে থাকবে ।মাসী আমাকে মেয়ের মত ভালবাসতেন । আজ আমরা চলে যাব তাদের সবার মন খারাপ ।আমার মায়ের সাথে মাসীর অনেক ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে । মাকে বলেন ,আমার একটি মিষ্টি মেয়ে চলে যাচ্ছে ।তাদের এই ভালোবাসা আমার সারা জীবনের আশীর্বাদ ।
আমি বাসায় কাজে ব্যস্ত থাকব তাই আমাকে রান্না করতে বারন করেছেন । ২৮ তারিখ আমাদের সকলকে নিমন্ত্রণ করেছিল ।খাবারে অনেক কিছু আয়োজন করেছিলেন । দাদা বৌদিও যথেষ্ট ভালো মানুষ ।
আমরা চলে যাব তাই রাতে মামনির তবলার শিক্ষক আসলেন কিছু গান রেকর্ড করলেন।
আমার বাসার অন্য জিনিসপত্র জন্য আমি আঠরটি বক্স করি । প্রতিটি বক্সের উপরে আমি লিখে রাখি। আমি মনে করি পরবর্তীতে এগুলো আমার খুঁজে নিতে খুবই সহজ হবে ।আমার দরকারি ফাইলগুলো আমি নির্দিষ্ট একটি বক্সে দিয়ে দেই এবং সেটিও লিখে রাখি।
যেহেতু এখন চৈত্র মাস তাই আমি এখন বাসায় উঠবো না ।আর্মি বাবু মালামাল নিয়ে বাসায় যাচ্ছে। আমরা মায়ের সাথে বাড়ি যাচ্ছি ।
ট্রাক লোট করতে ১১ টা বেজে গেল।আপনারও ফ্রেশ হয়ে দুপুর ১২টার সময প্রতিবেশীদের ছেড়ে মায়ে উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরলাম । মন খারাপ আর যেহেতু অনেক পরিশ্রম হয়েছে তাই শরীরটা খারাপ ছিল্ ।
বিকেল ৩ঃ০০ টার সময় আমরা বড়গুনা এসে পৌঁছেছি। যখন আমি বাবার বাড়িতে আসি তখনই আমি অসুস্থ হই । পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে আমার কিছুটা সময় লাগে। এই দুই বছর পরে বাবার বাড়ি আসলাম তাও এসে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লাম ।
প্রতিবারই বাসা পরিবর্তন করার সময় আমার বড় মামা সঙ্গে থাকতেন। তিনি ছিলেন আমার বন্ধুর মতো, বলতে গেলে সেই আমাকে সব কাজ শিখিয়েছেন ।কিভাবে কি গুছিয়ে নিলে জিনিসপত্র সুরক্ষিত থাকে ।আজ বড় মামা আমাদেরকে ছেড়ে না ফেরার পথে চলে গেলেন দু'বছর হ্যালো । সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রাথর্ণ করি তাকে স্বর্গের সুখে রাখবেন ।
এভাবেই কেটে গেলো দিনটি। আশা করি আপনাদের দিনগুলো খুব ভালো কেটেছে ।আজ এখানেই শেষ করছি ।
বাসা পরিবর্তন করা অনেক ঝামেলার কাজ। কত কিছুর দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। আমরাও এ বছর জানুয়ারিতে বাসা পরিবর্তন করেছি একদন নাজেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছিলাম।
কোথাও অনেক দিন থাকলে প্রতিবেশীরাও পরিবারের মতন আপন হয়ে যায়।
নতুন জায়গায় মানিয়ে নিতে একটু কষ্ট হয় ঠিকই কিন্তু কয়দিন পর সেটাকেও নিজের এলাকা মনে হয়। ধন্যবাদ আপনার দিনলিপি শেয়ার করার জন্য।
বাসা পরিবর্তন করা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর একটা বিষয়। তবে বাধ্য হয়ে অনেক সময় বাসা পরিবর্তন করতে হয় এবং সেক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমি নিজেও বেশ কয়েকবার বাসা পাল্টিয়েছি, আর সত্যি বলতে এটা খুব পরিশ্রমেরও কাজ বটে।।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।।
‘বাসা পরিবর্তন’ সত্যিই অনেক পরিশ্রমের বিষয়। ছোটবেলা মাকে দেখেছি আর এখন সেই কাজ আমাকেও করতে হচ্ছে।
আমরা হয়তো নতুন নতুন জেলায় তিন বছর থাকতে পারি ।সেই জেলা সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পারি । সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু এই বাসা পরিবর্তনের সময় আসলে তখন এই তিন বছরের আনন্দটা ভুলে যেতে হয়।তারপরও কিছুই করার নেই এভাবে করে যেতে হবে ।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
চাকরিজীবী মানুষদের এই একটা সমস্যা পোস্টিং হলেই সেখানে চলে যেতে হয়। আপনিও ঠিক তাই করেছেন। তবে আজকে আপনি বাসায় উঠবেন না আপনার হাজব্যান্ড বাসায় যাবে। আপনি আপনার বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আসলে একটা জায়গায় থাকতে থাকতে, সেখানকার মানুষগুলো অনেক বেশি পরিচিত এবং আপন হয়ে ওঠে। তাদেরকে আবার ছেড়ে যাওয়াটা খুব কষ্টকর হয়ে যায়। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রমে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক সুন্দর করে আপনার দিনলিপি তুলে ধরেছেন। বাসা পরিবর্তন করা অত্যন্ত ঝামেলা দায়ক একটি কাজ। গত মাসে খুব ঝামেলা করে একবার বাসা পরিবর্তন করেছি। এখন শুনছি সামনের মাসে নাকি আবার বাসা পাল্টাতে হবে। শুনেই মনটা খারাপ হয়ে গেল।
সত্যি কথা বলতে বাসা পরিবর্তন করাটা যে এতটাই ঝামেলার কাজ তা বলার মত নয়। শুধু পরিবর্তন করলে নয় সেগুলোকে আবার নতুন করে গুছানো খুবই বিরক্ত লাগে।
তার থেকে বড় টেনশন হয় নতুন জায়গায় গিয়ে সবাই সাথে মানিয়ে নেওয়াটাই বড় বিষয়।
ধন্যবাদ সারাদিনের কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।