Better Life With Steem || The Diary Game || 25th January 2024||
আমার সারাটা দিন |
---|
Hello,
Everyone.
সকাল |
---|
শীতের এই মিষ্টি সকালে ঘুম ভাঙলেও কম্বলের উষ্ণতা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করছে না।কিন্তু কিছুই করার নেই , উঠতে হবে । আজ ছিল বৃহস্পতি বার তাই বাসায় কাজ থাকে বেশি তার সাথে আজ কিছু কাঁচা বাজার করতে হবে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সংসারে কিছু কাজ করে নিলাম । ভাবিকে ফোন দিলাম কাঁচা বাজারে যাওয়ার জন্য ।ভাবি এবং আমি একত্রে কাঁচা বাজারে গেলাম ।
আমরা সকাল সকাল বাজার গেলাম কারণ সকাল বেলা মার্কেটে গেলে ভালো হাঁস কিনতে পাওয়া যায়। গ্রাম থেকে হাঁস নিয়ে আসে। তবে আমি এটা ভাল দেখে কিনতে পারি না তার জন্য আমি ভাবির সাহায্য নিয়েছিলাম ।তিনি আবার বাজার খুব ভালো করতে পারেন ।
একটি হাঁস নিলাম ও কিছু সবজি কিনলাম ।তবে বর্তমান বাজারে সব কিছুরই মূল্য উর্ধ্বমুখী । এখনো রমজান মাস শুরু হতে অনেক বাকি তাও যেন দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে । হাঁস নিল ৬০০ টাকা (26.085 Steem) এবং ড্রেসিং করতে নিল ৪০ টাকা (1.739 Steem ) হাঁসটির মোট মূল্য হল ৬৪০ টাকা (27.824 Steem) এবং সবজিগুলো ২১০ টাকা (9.129 Steem) ।হাঁসটি পরিষ্কার করে নিলাম । কেটে ও ধুয়ে সমস্ত মসলা গুলো মাখিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে রাখলাম ।
দুপুর |
---|
যেহেতু আজকে লক্ষ্মীর বার তাই স্নান করে পুজোর কাজটি সেরে নিলাম। আজ ফুল কাকা একটি সুন্দর একসরা ( আম সরাত) দিয়েছে ।সত্যিই সরাতটি অনেক সুন্দর। পুজোর কাজ শেষ করে আমি দুপুরের রান্না করে নিলাম ।আজ তেমন কিছু একটা করিনি । যেহেতু বেশি সময় ছিল না তাই শুধু হাঁসের মাংস আর ভাত ।দুপুরে রান্না করতে করতে আমার তিনটা বেজে গেল । গরম গরম দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিলাম । ঘুম আসছিল না কিছু সময় টিভি দেখছিলাম । হাসির মাংস রান্না করেছি আর সাজের পিঠা হবে না তা তো আর হয় না। পিঠে তৈরির আয়োজন শুরু করলাম ।
পিঠের ব্যাটার গুলে রেখে সন্ধ্যাকালীন প্রার্থনা করে নিলাম ।এরই মাঝে মেয়ের টিচার আসলেন। আজ এটি নতুন পিঠা বানিয়ে ছিলাম ।যখন খুলনাতে ছিলাম তখন এক বাগেরহাটের ভাবি আমাদের এই পিঠা খাইয়ে ছিল ।এই পিঠার আসলে কি নাম তা আমি জানিনা ।তবে আমি এই পিঠাগুলোকে সিরিঞ্জ পিঠা বলি । এই পিঠাটি হাঁসের মাংস দিয়ে খেতে দারুন লাগে ।আসলে এক এক অঞ্চলে একেক খাবার খুব প্রিয় হয় ।আমাদের চাকরির সূত্রে বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন আমরা ঘুরেছি তেমনি সেই অঞ্চলের প্রিয় খাবারগুলো সম্বন্ধে কিছুটা ধারণা পেয়েছি। টিচার খেয়ে অনেক প্রশংসা করলেন ।
রাত |
---|
এই পিঠা দিয়ে রাতের খাবার সেরে নিলাম । বরিশাল অঞ্চলের মানুষ সাজের পিঠের সাথে হাঁসের মাংসটা বেশী পছন্দ করে। রাতের খাবার শেষে করে নিয়ে আমি আমার সংসারের টুকটাকি কাজ শেষ করে ল্যাপটপ নিয়ে বসে পরি। সারাদিনে কর্ম ব্যস্ততার পরও রাতে কিছু সময় আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে থাকা আমার নিত্যদিনের কাজে পরিণত হয়েগেছে ।
আপনাদের দিনটি কেমন কেটেছে তা জানাতে পারেন ।আজ অনেক রাত হল এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আসব। ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাবেন। সবার জন্য রইল শুভকামনা ।শুভ রাত্রি ।
https://twitter.com/muktaseo/status/1750980829365555683
আপনার মতো আমিও হাস দেখে শুনে ভালো টা কিনতে পারি না। আপনি বাজারে গিয়ে হাস ও কিছু সবজি কিনলেন।তারপর হাস পরিষ্কার করে মসলা মাখিয়ে রেখেছিলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।।
আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আমার মতামতের উওর দেওয়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।।
শীতের সময় হাসের মাংসের স্বাদই আলাদা। এটা শীত ছাড়া অন্য সময় এই স্বাদ পাওয়া যায় না।আমাদের এলাকায় সাজের পিঠাকে চিতই পিঠা বলে থাকে।
সিরিঞ্জ পিঠা অবশ্য চিনি না।
ভালো লাগলো আপনার দিনলিপি পড়ে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
শীতের সময় হাঁসের মাংস না খেলে কি হয়। আর এই পিঠা গুলোর সাথে হাঁসের মাংস খেতে বেশ ভালোই লাগে। আমাদের এখানে এই পিঠা গুলোকে চাপটি পিঠা বলা হয়ে থাকে। আমার মাও দেখেছি পিঠা ওগুলো তৈরি করে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শীতের দিনে হাসির মাংস খাওয়া এই খাবারটা একটি ভাইরাল খাবার এবং সবাই পছন্দ করে। চিতই পিঠা শীতের দিনের রস দিয়ে খেতে সবাই ভালবাসে এবং হাঁসের মাংস দিয়েও খেতে আমার কাছে খুব ভালোই লাগে।
থ্যাংক ইউ আপনার সারাদিনই ডাইরি গেম আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করলেন।